মহাজগতের প্রাথমিক অবস্থার পূর্বাবস্থা নিয়ম অনুযায়ী শূন্য ছিল। সেই শূন্যকে পূর্ণ করার দৌড়ে শক্তি এগিয়ে ছিল। কারণ বস্তুর চেয়ে শক্তির গতি বেশী। সুতরাং শক্তিসমূহ শূন্যকে পূর্ণ করে দিল। তবে শূন্যতে শক্তি সমূহকে আলাদা করার মত কিছুই না থাকায় শক্তিসমূহ একত্রিত হয়ে সর্বশক্তিমান হলেন। শূন্যতে বস্তুর পূর্ণ করার মত কোন স্থান থাকলো না। সর্বশক্তিমান তখন বস্তু সমূহ ও সসীম শক্তি সমূহকে সৃষ্টি করে নিজ দখলীয় এলাকায় স্থান দিলেন। তবে তিনি এদেরকে নশ্বর করে দিলেন, কিন্তু তিনি নিজে অবিনাশী থাকলেন। অবিশ্বাসীরা এ সাধারণ হিসাবের বিষয়টা না দেখেই এটা অবিশ্বাস করে বলে তাদেরকে অন্ধ অবিশ্বাসী বলে। আর বিশ্বাসীরা এ সাধারণ হিসাবের বিষয়টা দেখে বিশ্বাস করে বলে তাদেরকে অন্ধ বিশ্বাসী বলার কোন সুযোগ নেই।
চোর ভালো মানুষকেও চোর মনে করে। কারণ সে নিজে চোর বলে অন্যদেরকে ভালো মানুষ ভাবতে পারে না। সেকারণে অন্ধ অবিশ্বাসীরা বিশ্বাসীদেরকে অন্ধবিশ্বাসী বলে তারা নিজেরা অন্ধ অবিশ্বাসী হওয়ার কারণে। তারা নিজেদেরকে যথেষ্ট জ্ঞানী মনে করে। অথচ সর্বশক্তিমান সংক্রান্ত তাদের জ্ঞান শূন্যের কোটায়। এদের এ বেহাল দশার কারণ হলো পাপ। তারা মনে করতে চায় পাপের কারণে তাদের শাস্তি হবে না। কারণ তারা মনে করে সর্বশক্তিমান নেই। সুতরাং কেউ তাদেরকে শাস্তি দিবে না। তারা বলে সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে সর্বশক্তিমান এমনি এমনি হলেন না কেন? সর্বশক্তিমান নিরাকার, অথচ বস্তুর আকার আছে। সুতরাং বস্তুর চেয়ে সর্বশক্তিমানের এমনি এমনি হওয়া সহজ। আর হয়েছেও সেইটা। সর্বশক্তিমান বললেন তারপর কোন কিছু হতে চাইলেও তিনি তাদেরকে বিলিন করে নিজে বাকী থাকলেন। তারপর তিনি নিজের মত করে সব কিছু সৃষ্টি করলেন।
সর্বশক্তিমান বললেন, মহাজগতের শৃঙ্খলা দেখে তাঁকে অনুভব করা যায়। আর এভাবেই তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে। তাঁকে ঠিকঠাক বিশ্বাস না করলে তিনি শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত বার্তা তিনি মোহাম্মদের (সা.) নিকট পৌছে দিয়েছেন। মোহাম্মদ তাঁকে খুশী রাখতে তাঁর কষ্টকর ইবাদত করলেন। তিনি প্রতারক হলে আরবগণ তাঁর ইবাদতে ত্রুটি পেতেন। সেটা না পাওয়ার কারণে আরবগণ মোহাম্মদের (সা.) কথা বিশ্বাস করলেন। তারপর পারসিক ও রোমানগণও তাঁর কথা বিশ্বাস করলেন। এখন সরা বিশ্বে মোহাম্মদের কথায় বিশ্বাসী আছে। মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তিনি ও তাঁর অনুসারীদেরকে আল্লাহ সাহায্য করেন। বিষয়টা বাস্তব হিসাবে দেখা গেছে। মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর অনুসারীরা একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যা তেরশত বছর টিকে ছিল। মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তাঁর অনুসারীরা বিশ্ব জয় করবে। মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা এখন সে অপেক্ষায় আছে। এত ঘটনার পর অন্ধ অবিশ্বাসীরা হাস্যকরভাবে মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীদেরকে অন্ধবিশ্বাসী কেমন করে বলে? বিষয়টা অন্ধ চক্ষুষ্মানকে অন্ধ বলার মত। কারণ নিজে অন্ধ হওয়ার কারণে সে অন্ধ চক্ষুষ্মানের চক্ষু দেখতে না পেয়ে চক্ষুষ্মানকে অন্ধ বলে বসে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ৩:২৯