
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুর দেশ ভারত। সনাতনীরা ভারতের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠি।তারা মহাজগতকে ব্রমান্ড বলে। তারা বলে ব্রহ্মা সয়ম্ভু। তারমানে ব্রহ্মা সয়ম্ভু বা নিজে নিজে হয়ে তাঁর ভিতরে একটা ডিম তৈরী করে সেই ডিম থেকে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন। ব্রহ্মার ডিম থেকে ব্রহ্মা বড়। যা সবচেয়ে বড় তাকে ঈশ্বর বলে। সেজন্য সনাতনীরা ব্রহ্মাকে ঈশ্বর বলে। ব্রহ্মা সয়ম্ভু এর মানে ঈশ্বর সয়ম্ভু।
যারা বলে কোন ঈশ্বর নাই তারা বলে সব কিছু সয়ম্ভু। তাহলে ঈশ্বর নেই কেন? সবকিছুর গণনায় তো ঈশ্বরও সামিল।তাদের কথা অনুযাযী সকল সয়ম্ভুর মধ্যে যে সবচেয়ে বড় সে ঈশ্বর।সুতরাং সকল কিছু সয়ম্ভু হলেও ঈশ্বরকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।
যে সবচেয়ে বড় তাঁকে মুসলিমরা আল্লাহ বলে। তারা বলে মহাজগতের সব কিছু আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। মহাজগতের অবস্থা অনুযায়ী এটা পরিদৃষ্ট। মহাজগত কারো নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এমনি এমনি চলছে এটা বোধগম্য নয়। সেজন্য বিশ্বের ৮০% মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করছে। আসলে ঈশ্বরে অবিশ্বাসের কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। সেজন্য ৮০% মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করছে। আর যারা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করছে তাদের এ অবিশ্বাসের মূলত কোন কারণ নেই।
ঈশ্বরকে প্রথম ধরলে তার পূর্ব স্থান শূণ্য। তাতে কিচ্ছু না থাকায় তাতে সব কিছু এমনি এমনি হওয়া সাব্যস্ত। তবে এমনি এমনি হওয়ার মধ্যে প্রথমে শক্তি এমনি এমনি হবে। কারণ শক্তির গতি বেশী। শক্তির স্বভাব এটা এর অবস্থান স্থলের পুরোটা দখল করে। শূন্যে কোন প্রতিবন্ধক না থাকায় সেথায় শক্তির সভাব কার্যকর হবে। তারমানে সকল শক্তি শূন্যের পুরো স্থান দখল করবে। শূন্যে কিছু না থাকায় এটাকে সীমা দিয়ে সসীম করার সুযোগ নাই। সুতরাং ব্রহ্মার পূর্বের শূন্য অসীম ছিলো।তাতে এমনি এমনি সকল শক্তি অসীম হয়েছে। শূন্যে সীমা দেওয়ার কিছু না থাকায় তথায় কোন শক্তিকে কোন শক্তি থেকে আলাদা করা যায়নি। সুতরাং সকল শক্তি সম্মিলিত হয়ে অসীম সর্বশক্তিমাণ রূপে সয়ম্ভু ব্রহ্মা হলেন। আকারের সীমা থাকে। অসীমের সীমা না থাকায় ব্রহ্মা নিরাকার হলেন। নিরাকার ব্রহ্মার অবস্থান স্থলের সবটা দেখতে তখনও শূন্যই ছিলো।
বস্তু কোন এক দিকে ধাবিত হয়। ব্রহ্মা বস্তু সময়হকে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে দেখে তাদের গতি পরস্পরের দিকে করে দিলেন। ফলে সকল বস্তু একত্রে মিলে গোলাকার বস্তু পুঞ্জ গঠিত হলো, যাদের আলাদা কোন অস্তিত্ব ছিলো না।সেই বস্তু পুঞ্জ যেন একস্থানে থাকে সেজন্য ব্রহ্মা বস্তুপুঞ্জকে নিজের চারপাশে পাক খেয়ে ঘুরার ব্যবস্থা করলেন।অত:পর ব্রহ্মা বস্তুর আলাদা অস্তিত্ব গঠন করার জন্য গোলাকার বস্তুপুঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটালেন। ফলে বস্তুপুঞ্জ অসংখ্য অংশে বিভক্ত হলো। যাদের সকল অংশ নিজের চারপাশে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগলো এবং যাদের ছোট অংশ বড় অংশের চার পাশে পরিভ্রমণ করতে লাগলো। সবচেয়ে বড় অংশে ব্রহ্মা তাঁর কার্য ক্ষেত্রের কেন্দ্র স্থাপন করলেন। উহা শুধু নিজের চারপাশে পাক খেয়ে ঘুরে।বস্তু সমূহের মধ্যে পানি নামক বস্তু হতে ব্রহ্মা সকল প্রাণীর প্রাণ সৃষ্টি করলেন। তখন থেকে ব্রহ্মার কর্ম প্রক্রিয়া চলমাণ রয়েছে।
সনাতনীদের গ্রন্থে এক কলকি অবতারের কথা বলা আছে। মুসলিম মতে সেই কলকি অবতার হলো মোহাম্মদ (সা.)। মোহাম্মদ (সা.) কোরআন নামক একখানি গ্রন্থ প্রচার করে বলেন, এটা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত হয়ে তিনি প্রচার করেছেন। তো আল্লাহর সেই গ্রন্থ কোরআনে প্রদত্ত তথ্য অরুযায়ী আমরা ব্রহ্মা ও ব্রহ্মান্ডের বিবরণ দিতে সক্ষম হলাম। সনাতনীরা প্রথমে সঠিক পথেই ছিলো। পরে তারা ব্রহ্মার শরিক সাব্যস্ত করে পথভ্রষ্ট হয়। মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা ভারত জয় করে প্রায় একাধারে সাড়ে সাতশত বছর ভারত শাসন করে। এখন ভারতীয় উপমহাদেশের এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠি মোহাম্মদের (সা.) অনুসারী।
# আধুনিক যুগে যাদের অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধি তারা ঈশ্বর নেই, এমন অসংগত কথা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


