
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারোউপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
* আল্লাহ বলেছেন, সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি শীল, তাহলে হযরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক হযরত ফাতেমাকে (রা.) মনকষ্ট দেওয়া, হযরত ওমরের (রা.) কারণে হযরত ফাতেমার (রা.) আহত হওয়া, হযরত ওসমানের (রা.) মারওয়ানের শয়তানির বিচার না করা, হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) হযরত আলীর (রা.) সাথে যুদ্ধ করা, হযরত আমরের (রা.) হযরত আবু মুসা আল আশয়ারীকে (রা.) বোকা বানানো, হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) পরস্পরকে লানত প্রদান করা ইত্যাদি তবে কি? সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াত ও সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াত অনুযায়ী ইত্যাদী তাঁদের ত্রুটি। সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াত অনুযায়ী রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) পাপ থেকে পবিত্র করায় তাঁদের কোন পাপ নাই। আল্লাহ তাঁদের ত্রুটি ক্ষমা করে তাঁদেরকে মহাপুরস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করায় সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) গালি দিলে, তাঁদেরকে লানত প্রদান করলে, তাঁদের গীবত ও তাঁদের সমালোচনা করলে উক্ত আয়াত তিনটির কুফুরী হয়। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নিজেরা পরস্পর গালি দেওয়া, লানত প্রদান, গীবত ও সমালোচনা তবে কি? তাঁদের নিজেদের ক্ষেত্রে পরস্পরকে গালি দেওয়া, লানত প্রদান, গীবত ও সমালোচনা এবং পরস্পর যুদ্ধ করা সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াত অনুযায়ী আল্লাহর ক্ষমার প্রতিশ্রুতির আওতায় পড়েছে। সুতরাং সেসব এখন আর মুমিনদের আলোচ্য বিষয় নয়। তথাপি কেউ সেসবকে আলোচ্য বিষয়ে পরিণত করলে সে কোরআনের কুফুরীর আওতায় পড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


