
আইউব খানের অনেক দিনের পর গণঅব্যুত্থান হয়েছে, এরশাদের অনেক দিনের পর গণঅব্যুত্থান হয়েছে। শেখ হাসিনার অনেক দিনের পর কি হবে? গণঅব্যুত্থান এর আলামত দেখা যাচ্ছে। সেইটা হওয়ার পর কোন সরকারের টিকে থাকার ইতিহাস নাই। সুতরাং গণঅব্যুত্থানের আগেই সরকারের জনগণের ভোট দানের ব্যবস্থা করা উচিত। আঠরোতে যে ভোটার ভোট দিতে পারে নাই তার বয়স এখন অনেক বেড়েছে। সেই সাথে তার ভোট দিতে না পারার আক্ষেপও অনেক বেড়েছে।
আমি ভোট দিয়েছি। ভোট দিতে দারুন লাগে। নিজেকে নাগরিক নাগরিক মনে হয়। তখন ভোটের পর ভোট গণনার খবর শুনতে ভালো লাগে। অনেক রাত অবধি জেগে ভোটের খবর জানার আগ্রহ অন্য রকম। জনগণ এর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক দিন। সরকার যে ভোটের আয়োজন করে তাতে তার নিজের দলের লোকই ভোট দিতে যায় না। সুতরাং এ বেহুদা ভোটের গল্প শুনিয়ে আর লাভ নাই। জনগণের ঘরছেড়ে বেরিয়ে আসার আলামত দেখে মনে হচ্ছে তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট চায়। আচ্ছা জনগণ যদি তাদের জানের মায়া ত্যাগ করে তবে কি সরকার তাদের ক্রোধ থামাতে পারবে?
বুঝলাম ভোটার বিহীন আরেকটা নির্বাচন হলো। তাতে যদি জনগণের ক্রোধ আরো বেড়ে যায় তখন কি হবে? তখন কোনভাবেই কি আর জনস্রোত ঠেঁকানো যাবে? বুঝাযাচ্ছে জনগণ কোন কিচ্ছুর হিসাব আর করছে না। তারা শুধু স্রেফ ভোট দিতে চায়। অনেক দিন তো হয়ে গেল জনগণ ভোট দিতে পারছে না। তারা আর কত চুপ করে বসে থাকবে? বিএনপির বদনাম করে জনতার ক্রোধ কি থামানো যাবে? তারা যদি বলে বিএনপি বুঝি না বুঝি ভোট তাহলে কি হবে? সুতরাং আমি মনে করি এবার জনগণ যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। সরকারী দলের লোকেরাও ভোট দিতে চায়। কারণ বর্তমান ব্যবস্থায় তারাও ভোট দিতে পারছে না। সংগত কারণে ভোটের দাবী এখন গণদাবী। এ দাবীতে গণঅব্যুত্থান অসংগত নয়।
শাক দিয়ে আর মাছ ঢাকা নয়। থলের বিড়াল নাকি এর মধ্যে বেরিয়ে গেছে। এবার তবে সরকারের সুবোধ হওয়ার সময়। কারণ অবোধ লোকদের কপালে ঘৃণা জোটে। পাকিদের কপালে ঘৃণা জোটেছে। রাজাকারদের কপালে ঘৃণা জোটেছে। সরকার একবার সেটা পেয়েগেলে জনগণ তাদের দিক থেকে বিমুখ হবে। আমি কি ভুল বললাম? এদেশে কোন দলকে সুবুদ্ধি দিতে গেলেও বিপদ। দুষ্ট লোকেরা তখন এক গাদা কুকথা শুনায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


