
সরকার বিএনপি বা বিদেশী কারো কাছে মাথা নত করছে না। বিদেশীদের সাজেশন হলো তিন দলের সংলাপ। সেটা সম্ভব না হলে বিএনপি দু’দলের সংলাপে বসতে পারে।তারমানে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সংলাপে বসতে পারে। তারপর দু’দলের সমঝোতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ অথবা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বিদেশীদের সাজেশন অনুযায়ী তিন দলের দু’দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তারা বলতে পারবে নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হয় নাই। তারপর নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হয়নি এ অযুহাতে বিদেশীরা সরকারকে চাপে রাখতে পারবে। তখন হয়ত স্বল্প সময় ব্যবধানে তিনদলের সমঝোতায় আরো একটি নির্বাচন হতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে যেতে চায় তবে তাদের সাথে জোট করে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে তাদের জোটের নাম হতে পারে জাতীয় জোট। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জাতীয় জোট নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে এর প্রমাণ সংগ্রহে রাখবে। তারপর তারা নির্বাচনে হেরে গেলে সুষ্ট নির্বাচন না হওয়ার অযুহাতে আবার সুষ্ঠ নির্বাচন করার দাবীতে সরকারের বিরেুদ্ধে আন্দোলন করতে পারবে। তখন বিদেশীরা তাদের সাথে একজোট হলে হয়ত তারা সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন আদায় করতে পারবে।
তিন দলের দু’দল নির্বাচনে গেলে নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হয়নি এটা হয়ত বিএনপি বিদেশীদেরকে বুঝাতে পারবে না। আর তখন বিদেশীরা নির্বাচন মেনে নিলে সরকার তার আরো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে। কারণ বিএনপির কর্মীরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেই থাকবে ঘঠনা এমন ঘটবে না।
পনের বছরেও বিএনপি যদি তাদের সক্ষমতা বুঝতে না পারে, তাহলে বুঝতে হবে বিএনপি দলগতভাবে মেধাবী নয়। ফলাফল বিহীন বিএনপির আন্দোলন জনগণের নিকট বিরক্তিকর। পনের বছরেও তারা একটা গণ অব্যুত্থান ঘটাতে পারেনি। তাহলে তারা আর কিসের অপেক্ষায় বসে আছে? জাতীয় জোটে নির্বাচন করে তারা যদি নির্বাচনে জিতে যায় তাহলে যে দল থেকে এমপি বেশী হবে সে দল থেকে প্রধানমন্ত্রী হলেই হবে। পনর বছর ধরে তো বিএনপি নির্যাতন ছাড়া কিছুই পাচ্ছে না, তাহলে তাদের জাতীয় পার্টির সাথে সম আসনে নির্বাচনে যেতে ক্ষতি কি? তারা সম আসন নিয়ে সমমনাদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দিয়ে জোটকে আরো শক্তিশালী করতে পারে। এ ক্ষেত্রে যাদের দল নাই তারা জাতীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে চরমোনাই তাদের মার্কায় নির্বাচন করলে করুক। যাদের মার্কা নাই তারা লাঙ্গল, ধানের শীষ ও হাত পাখার যেকোন একটি মার্কা নিয়ে নিয়ে নির্বাচন করুক।
এভাবে জোট গড়ে নির্বাচনে না গিয়েও আন্দোলন করা যায় এবং নির্বাচনে গিয়েও আন্দোলন করা যায়। আর নির্বাচন যেভাবেই হোক জাতীয় জেোটে ভোটে গেলে তারা কিছু সীট তো পাবে। তারপর সংসদের ভিতরে বাইরে সরকারকে চাপে রাখা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



