
সরকারের লোকেরাও বলছে বানিজ্য নিষেধাজ্ঞায় পড়লে সরকার বেকায়দায় পড়বে এবং দেশ বিপদে পড়বে। তথাপি সরকার তাদের নির্বাচনের কায়দা থেকে সরে আসছে না। কারণ তারা মনে করছে বিএনপির কায়দায় নির্বাচন করে তারা জয়ী হতে পারবে না। সেজন্য তারা নিজেদের কায়দায় নির্বাচন করছে। যেহেতু বিএনপির কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতা পাওয়া যাবে না, সেহেতু নিজেদের কায়দায় নির্বাচন করাটাকেই সরকার বুদ্ধির কাজ বলে ভাবছে। তাতে করে তারা যে কয়দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে সেটাকেই তারা তাদের জন্য লাভ জনক মনে করছে। অতীতে দু’বার নিজেদের কায়দায় নির্বাচন করে সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ পার করেছে। সেজন্য নিজেদের কায়দার প্রতি সরকারের পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তবে অতীতে বিদেশীরা সরকারের কায়দায় নাক গলায় নাই। কারণ তখন তাদের নাক নেহায়েত ছোট ছিলো। এবার তারা নাক গলাচ্ছে, কারণ এবার তাদের নাক বড় হয়েছে। সরকার বলছে, তাদের নির্বাচন, তারা তাদের মত করে করবে তাতে বিদেশীদের কি? কারণ বিদেশী এবং বিএনপি কায়দায় নির্বাচন করে তারা জয়ী হবে বলে মনে করে না। সরকার বলছে যে কোন কায়দায় তাদের ক্ষমতা পেতেই হবে। কারণ ক্ষমতা না পেলে তারা দেশ ও জাতির উন্নতি কেমন করে করবে?
সরকারের কায়দার নির্বাচনে বিএনপি আসেনি। কারণ তারা মনে করছে সরকারের কায়দার নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না। বিএনপি সরকারকে বেকায়দায় ফেলে তাদের কায়দার নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে আন্দোলন করছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে সরকারের আসন টলছে না। তারমানে আন্দোলনে বিএনপি সফল হচ্ছে না। আন্দোলনে অসফল হতে হতে একদা বিএনপি বিলুপ্ত হবে বলে সরকার মনে করছে। আর এভাবেই সরকারের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে বলে সরকার ভাবছে। আব্বাসীরা এভাবে সাড়ে সাতশত বছর কায়দা করে করে ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামীরাও এমন থাকতেই পারে। ইতিহাস বুঝে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন সরকার দলীয় সদস্য।
অনেক সচেতন সরকার বিরোধী এর মধ্যে অচেতন হয়েছেন। কারণ তারা ভাবছে তাদের চেতনা থেকেও মূলত কোন লাভ নাই। তবে বিদেশীরা আসলেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। এটা কিন্তু পাঁচ কথার এক কথা। এমতাবস্থায় সরকার স্বল্পায়ু হতেই পারে। তবে সরকার আপাতত বিদেশীদের কথা ভাবছে না। তারা গৃহপালিত বিরোধী সাথে নিয়ে হলেও নিজেদের কায়দার নির্বাচনের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতার নতুন আসনে বসতে চায়। শেষতক কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
যার যোগ্যতা আছে সে ক্ষমতায় বসবে। যার যোগ্যতা আছে সে ক্ষমতায় থাকবে। যার যোগ্যতা আছে সে যে ক্ষমতায় আছে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতায় বসবে। এটা নিয়ে চিৎপাতের তেমন দরকার নেই। জনগণের জন্য রাস্তা খোলা তারা যে পক্ষে ইচ্ছা যোগদান করবে। জনগণ সরকার বিরোধী পক্ষে যোগদান করেছে বলে মনে হয় না। তারা ঘরে বসে থেকে তারা সরকারের পক্ষে নেই এটা বলা আসলে অর্থহীন কথা। বিএনপি তাদেরকে সরকারে বিপক্ষে রাস্তায় নামতে বলেছে, কিন্তু তারা সরকারের বিপক্ষে রাস্তায় নামে নাই। ভবিষ্যতে তারা বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নামবে বিএনপি এখন সেই আশায় বসে আছে। ঠিক আছে তারা তাদের আশা নিয়ে বসে থাকুক। আশায় আশায় দিন যে গেলো আশা পূরণ হলো না। তথাপি একদিন আশা পূরণ হবে বিএনপি রয়েছে সেই আশায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




