
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আফসোস করে বললেন, কমলা, আপেল ও আনারের মত মার্কা ছেড়ে নির্বাচন কমিশন ট্রাক ও ঈগলকে কেন নির্বাচনের মার্কা করলেন সেটা জাতির বোধগম্য নয়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ গোফরান বললেন, ট্রাক ড্রাইভার মাহিয়া মাহী যেভাবে উত্তেজিত অবস্থায় ট্রাক চালাচ্ছেন তাতে সেই এলাকার নৌকার মাঝি আহত হবেন বলেই সেই এলাকার জনগণ মনে করে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মহাজাগতিক চিন্তা বলছেন, নির্বাচনে কি হয় না হয় তা’ কিছু দিনের মধ্যেই জানা যাবে।
এদিকে নৌকা চলবার খালে কিছু সংখ্যক রাষ্ট্রদ্রোহী আবর্জনা ও জঙ্গল ফেলছে। সেগুলো খাল থেকে তুলে নৌকার চলার পথ সুগম করার জন্য নির্বাচন কমিশন বিজিবি ও সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে। জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা শ্লোগান শুনা যাচ্ছে। নির্বাচন পর্যালোচক লোকজন বলছেন, আচানক ট্রাক এক্সিডেন্ট ও ঈগলের আক্রমনে কোন কোন নৌকার মাঝি আহত হলেও সমস্যা নাই। সে ক্ষেত্রে ট্রাক ড্রাইভার ও ঈগলের পোষককে নৌকার মাঝি বানিয়ে নিলেই চলবে। বাঙ্গালী সকল কাজের কাজী হওয়ার কারণে কোন সমস্যাই তাদের নিকট সমস্যা নয়।
বাংলাদেশে ভোটারদেরকে অনেক সময় ভোট না দিলেও চলে। কারণ তাদের ভোট স্বেচ্ছাসেবকগণ দিয়ে দেন। সেজন্য আশা করা যায় নির্বাচনে অনেক ভোট পড়বে। সেজন্য আবার অনেক লোক লিফলেট বিতরণ করে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে। কারণ সেসময় ভোটারগণ অন্য কাজ করলে জাতি উপকৃত হবে। সে যাই হোক। কিছু লোক অবশ্যই ভোট দিবে। তাতেই জিতবে এবার নৌকা এবং নিকট অতীতের সব নির্বাচনেই নৌকা জিতে ছিলো। সেজন্য নির্বাচন এলে বাচ্চা ছেলে-মেয়েরাও বলে থাকে জিতবে এবার নৌকা।
সারাদেশে নৌকার জয় জয়কার চলছে। নৌকা না থাকায় কোন কোনখানে লাঙ্গল জয় লাভ করতে পারে। তবে কোন কোন স্থানে লাঙ্গলও নৌকার মাঝির বিপদের কারণ হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করে। তবে সরকার চালকদের চড়িবার মত নৌকা জয়ী হওয়া বিষয়ে কারো মনে কোন সন্দেহ নাই। যদিও রাষ্ট্রদ্রোহীরা নৌকার মাঝিদেরকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে তথাপি তারা তাদেরকে ভয় পাচ্ছে না। কারণ বিগত পনের বছরে তারা নৌকার মাঝিদের ক্ষতি করতে গিয়ে দেশের ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। এবারও তারা রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে পারলেও মূলত নৌকার মাঝিদের কোন ক্ষতি করতে পারবে বলে মনে হয় না।
জনগণ অনেক কথাই বলে, যা শুনারমত পর্যাপ্ত সময় নৌকার মাঝিদের নেই। কারণ তাদের ঘর-সংসার আছে। তার জন্য তাদের সম্পদ সঞ্চয়ের দরকার আছে। জনগণের চিন্তা এখন তারা নিজেরাই করছে। কারণ তাদের ভাবনা-চিন্তা করার মত কেউ এখন দেশে নাই। সেজন্য তাদের অনেকে দেশে না থেকে বিদেশেও চলে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে টাকা এনে তারা জাতিকে সমৃদ্ধ করছে, বিনিময়ে জাতি তাদেরকে দিচ্ছে বিবিধ অবব্যবস্থা। এক পক্ষ বিদেশ থেকে দেশে মূদ্রা আনছে। অন্য পক্ষ দেশ থেকে মূদ্রা পাচার করছে। এমতাবস্থায় জাতি উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্র গতিতে চলছে বলে কেউ কেউ বলছে। সবার সব কথাই জনগণ শুনছে, তবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




