
চার হাজারের উপর ধর্ম ও মত থেকে পরিস্কার মানুষের মধ্যে মতভেদ কি পরিমাণ? চাঁদগাজী তাঁর সাথে যারা মতভেদ করেন তাদেরকে লিলিপুটিয়ান, ডোডো পাখি, পিগমি, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন ইত্যাদি বলে থাকেন। রানু তার মত প্রতিষ্ঠায় বিরতিহীন ভাবে লিখে চলছে। অপর মতের উপর জয়ী হতে ক্রসেড যুদ্ধ চলেছে বহুকাল।ধর্মের বিরুদ্ধে অনেকে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলছেন। সেই দলের একজন চাঁদগাজী জ্বীন বিশ্বাস করতে চায় না বিজ্ঞানে নেই বলে। কিন্তু বিজ্ঞানে এককালে যেটা থাকে না অন্য কালে সেটা বিজ্ঞানে থাকে নব আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানের জ্বীন আবিষ্কারের আগে চাঁদগাজী মারা গেলে তার আর জ্বীন বিশ্বাস করা হবে না।
সব বিজ্ঞানীর সব কথা লজিক্যাল নয়। কিছু বিজ্ঞানী বলছে, সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নাই। অথচ আমরা সব কিছু বানালে হতে দেখি। সুতরাং সবকিছু এমনি এমনি হয়েছে এমন কথা মূলত মিথ্যা। এমন ডাঁহা মিথ্যা কথা কোন বিজ্ঞানী বললেও মানা যায় না। আর সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সৃষ্টিকর্তা বসে থাকলেন কোন আক্কেলে? তিনি এমনি এমনি কেন হলেন না? সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সবকিছুর সাথে সৃষ্টিকর্তাও এমনি এমনি হওয়ার কথা। সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তার না থাকার কথা বলায় মূলত কোন লজিক নাই। সেটা কোন বিজ্ঞানী বললেও সেটা মানা যায় না।
আমরা দেখছি বানালে হয়, বিজ্ঞানী বলছে এমনি এমনিও হয়। দু’টা্ সত্য হলে গবেষণার বিষয় হলো এমনি এমনি কি হয়? ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যেহেতু সবচেয়ে বড় তাহলে তাঁকে আর কে বানাবে? সুতরাং এমনি এমনি হওয়ার তালিকার প্রথম স্থানে আমরা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে রাখতে পারি। তো কেউ এমনি এমনি হলে সসীম হবে নাকি অসীম হবে? এ ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হলো কেউ এমনি এমনি হলে অসীম হবে। কারণ এমনি এমনি হওয়ায় সীমাদাতা থাকে না। আর সীমাদাতা না থাকার করণেই এমনি এমনি হতে গিয়ে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা অসীম হয়েছেন। অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে অসীমে সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং অসীম শুধুই একজন ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা। পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি সমগোত্রিয় হয়। অসীম একাধীক না হওয়ায় তাঁর পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি কিছুই নাই।
ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসীরা তাঁর থাকার কথা বিশ্বাস করে। যারা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার থাকায় অবিশ্বাস করে তাদের নিজে নিজে হওয়া সূত্রেই ঈশ্বরের থাকার বিষয় সহজভাবে বোধগম্য হয়। সুতরাং ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা না থাকার গল্প কোনভাবেই সঠিক নয়।
কোন একজনকে দেখে থাকলে বা তার কথা শুনে থাকলে তাকে বিশ্বাস করা যায়। আমি জ্বীনের কথা নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করি। চাঁদগাজী জ্বীন দেখেননি এবং জ্বীনের কথা শুনেননি সেজন্য তিনি জ্বীন বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব? আমার মা জ্বীনের কথা শুনেছেন। আমি আমার মায়ের কথা বিশ্বাস করি। আমি চাঁদগাজীর কথা বিশ্বাস করি না। জ্বীন বিষয়ে চাঁদগাজীর কথায় কোন লজিক নাই।
হাজার মানুষ হাজার রকম কথা বলে।তাদের মধ্যে রয়েছে অন্তহীন মতভেদ। তার মধ্যে থেকে আমি সেইমত গ্রহণ করব যেটা লজিক্যাল। আমার মা আবার বাবার কথা বলেছেন। সেটা মেনে আমি চির জীবন একজনকে বাবা মেনে আসছি। তাহলে আমি তাঁর কথায় জ্বীন কেন বিশ্বাস করব না? চাঁদগাজীর কথায় আমি জ্বীন অবিশ্বাস করব কোন কারণে? চাঁদগাজী এ ক্ষেত্রে কিভাবে সঠিক? তথাপি এ বিষয়ে চাঁদগাজী মতার মত অযথা সবার উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে। যা নেহায়েত বিরক্তি কর।আমার মত হলো মতভেদ হতে আমি সেই মত মানব যেটা লজিক্যাল। বিজ্ঞান লজিক্যাল কথা বললে আমি অবশ্যই তা’ মেনে নেব। কিন্তু বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ লজিক বিহীন কথা বললে আমি তা’ মানতে মোটেও বাধ্য নই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



