
বাইডেনের সাথে সেলফি তোলা শেখ হাসিনা বা হিলারী ক্লিনটনের বন্ধু ইউনুসকে ট্রাম্প পছন্দ করে না।ট্রাম্পের পছন্দ এখন তারেক জিয়া। ট্রাম্পের আমেরিকার রাষ্ট্রিপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনুস সরকার বিদায় গ্রহণ করে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে।তারপর নির্বাচনে জিতে তারেক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে। তারেকের ক্ষমতা গ্রহণে সমস্যা হলে হয়ত কিছু দিন ফখরুল প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।এসব আমার নিজস্ব অনুমান। সঠিক হতেও পারে, আবার সঠিক নাও হতে পারে। তবে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফিরে না আসা মোটামুটি নিশ্চিত। আওয়ামী অপরাধীদের বিচার হয়ত ট্রাম্পের কাম্য। তারজন্য বিএনপির ক্ষমতায় ফিরে আসা জরুরী। কারণ বিএনপির উপর আওয়ামী লীগের অত্যাচারের বদলা নিতে আওয়ামী অপরাধীদের বিচারে বিএনপি যত্নশীল হবে।তাদের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ ফাঁসি দিয়ে ছিল।আর তাদের নেতা ইলিয়াস আলীকে আওয়ামী লীগ গুম করে হত্যা করেছে। ঘটনা চক্রে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন হত্যা মামলার আসামী। জামায়াতের পুরস্কার হলো বিরোধী দল হওয়া। ছাত্র ভায়েরা হয়ত ভালো চাকরী-বাকরী পেতে পারে। আর বিএনপি হয়ত ভারতের সাথে লিয়াজো মেনটেন করে চলবে। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার হবে।
ট্রাম্পের বিজয়ে আওয়ামী লীগের আনন্দ জলে যেতে পারে।আওয়ামী লীগ আপাতত তাবলীগ করে সময় কাটাতে পারে। সেইটাও যেহেতু লীগ সেহেতু তাবলীগ করে আওয়ামী লীগ দুধের সাধ ঘোলে মিটাতে পারে। আওয়ামী হিন্দু লীগ ভারতে তীর্থ যাত্রায় যেতে পারে। সুতরাং আওয়ামী লীগ ইহকাল ছেড়ে পরকাল চিন্তা্য় মগ্ন হতে পারে।বিজেপির এখন নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা। তারা মনে হয় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করবে না। শেখ হাসিনা মেজর ডালিমের মত পালিয়ে থাকলে হয়ত আরো কিছু কাল বেঁচে থাকবেন।
তারেক জিয়া অনেক কিছু শিখার মত অনেক সময় পেয়েছেন। সেই সব শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জনতার মন জয় করতে পারলে বিএনপি দেশ শাসনে ভালো করবে। আওয়ামী লীগ খেতে গিয়ে বেশী খেয়ে ফেলেছে। সেজন্য জনগণ তাদের উপর মহাবিরক্ত।তাদের যারা ধরা খেয়েছে তাদের মহাবিপদের সম্ভাবনা। জনতার মন শান্তির জন্য তাদের কিছু লোকের কঠিন শাস্তি হতে পারে।কোমর ভাঙ্গা বিএনপি কোমর সোজা করে হয়ত ক’দিন পরে দৌড়াবে। জামাই বাবা এখন ব্যস্ত। এখনই তার অনেক কাজ।দল গোঁছাতে অনেকে ডোনেশন দিচ্ছে। সেসব ডোনেশন কাজে লাগাতে জামাই বাবাজীকে রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে। বাসায় খাওয়ার তার সময় নাই। মেয়ে একা রান্না করে একা খায়। মেয়ের মা মেয়েকে বুঝিয়ে বলছে- রাজনীতি করা ছেলেরা এমনই হয়। রুমির ফারহানা নাকি রাজনীতির জন্য বিয়ে করতে পারেনি।এখন বুঝতে পারছি রাজনীতিতে অনেক কাজ। তবে জামাই বাবজির মান ইজ্জত দেখে শান্তি লাগে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তার মান ইজ্জত আরো বাড়বে। মেয়, জামাই এবং দেশের ভালো হোক। আল্লাহর দরবারে সেই কামনা থাকলো।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



