
হাসিনা নামক পাথর সরাতেই ক্ষমতায় ইউনুস। কিন্তু ইউনুস হাসিনার মত ওজনদার হওয়ার কথা নয়। সেজন্য বিএনপি এ পাথর সরিয়ে দ্রুত ক্ষমতায় জেঁকে বসতে চায়।আর ক্ষমতাকে স্থায়ী করণ করতে তারা ভারতকেও খুশী রাখতে চায়। এখন তারা বিভিন্ন অংকের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত। জামাই বাবাজী বলেছে আজও সে বাসায় খাবে না, ওয়াজ মাহফিলে নেতার সাথে খাবে। ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতা ধরে রাখা আসলেই খুব কঠিন।
অস্তিত্ব রক্ষায় জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগের পিছনে লেগে ছিল। অবশেষে তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে পেরেছে। বিষয়টাকে আওয়ামী লীগ পিছু হটা বলেছে। এখন তারা ট্রাম্পের আশায় বসে আছে। এদিকে জামায়াত-শিবিরও ক্ষমতার আসা করছে। তাদের একজন আমাকে বলেছে, আপনি আমাদের দলে আসেন। আগেও তারা এমন বলেছে। আমি তখন বলেছি সরকারী চাকুরী জীবিদের এসব করতে নেই। এখন তাদের প্রস্তাবে আমি সাড়া না দেওয়ায় তারা বলছে এখন সমস্যা কি? তারা তো এটা বুঝতে চাইছে না যে তারপর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমার চাকুরীর সমস্যা হতে পারে। তা’ছাড়া জামাতার দল ছেড়ে আমি অন্য দলে যাবই বা কেন? তবে আমার ইচ্ছা নিরপেক্ষ থাকা।
সারা বিশ্বে প্রচার পেয়েছে আওয়ামী জনসমর্থনে ধ্বস নেমেছে। ভারতও সেটা বিশ্বাস করে।নির্বাচনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা তাদের সাথে কাজ করবে। কারণ বাংলাদেশ নামক দেওয়ালের পিছনে তাদের সাত বোন। তারা দেওয়ালটা উপড়ানোর চিন্তা বাদ দিয়েছে। কারণ তারা ঝুঁকিতে যেতে চায় না। কারণ দেওয়াল উপড়াতে গিয়ে উপড়াতে না পারলে দেওয়াল আরো মজবুত হয়ে তাদের পিছনে যাওয়া বন্ধ করে দিবে।সুতরাং জামায়াতও যদি ক্ষমতায় যায় তবে ভারত তাদের সাথেও কাজ করবে। জামায়াত এ বিষয়ে তাদেরকে সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছে। আসলে বাংলাদেশের জন্য ভারত এমন একটা দেশ যা বাংলাদেশের যে কোন দলের শান্তিতে দেশ শাসনের জন্য দরকারী একটি দেশ। জনগণের যাদের মাথায় বুদ্ধি খানিকটা কম তারা ভারতকে তুচ্ছ করে কথা বলে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার। তার থেকে বাংলাদেশ কম খরচে পণ্য ক্রয় করে। আর এখন ওরা সব ধরণের পণ্য বিক্রি করে। নিতান্ত মাথা নষ্ট না হলে বাংলাদেশ পণ্যক্রয়ের এমন একটি বাজার নষ্ট করবে না।ভারতও সহজে বাংলাদেশে সহজে পণ্য বিক্রি করে। একাত্তরের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত বাংলাদেশ নামক বাজার নিজের করে নিয়ে ছিল। সেজন্য মহাবন্ধু পঁচাত্তরে নিহত হলেও এ বিষয়ে ভারত তেমন উচ্চ-বাচ্চ করেনি। এখনও হাসিনা পতনে তারা সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছে। সব পণ্য বিক্রয়ের বাজার ধরে রাখার জন্য। আর সাত বোনের দেওয়ালের বিষয়টা তো চির বিদ্যমাণ। ইউনুস সরকার তাদেরকে শুরুতেই সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সেজন্য হেরে যা্ওয়ার ভয়ে তারা রেগে যেতে পারেনি। এ রাগটা বাংলাদেশকেও দমাতে হবে। দাঁতে-দাঁত চেপে যতই খিঁচ দেওয়া হোক মনে থাকতে হবে আমরা শান্তি চাই। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অটুট থাকুক এটা উভয় দেশের কাম্য হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



