
গুন কমে যাওয়ায় বিএনপির ভোট কমে গিয়েছিল। ভোটাররা মনে করছে জামায়াতের দিক থেকে দূর্নীতি কম হবে। সেজন্য জামায়াতের ভোট কিছুটা বেড়েছে। ডাকসু ও জাকসু ভোটের ফলে জামায়াতের ভোট বাড়ার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সেই সাথে বিএনপির ভোট খুব একটা না বাড়ারও প্রমাণ পাওয়াগেছে। আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে না থাকলে তাদের ভোট বিএনপির পক্ষে যাওয়ার নিশ্চয়তা নাই। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি তারা। বঙ্গবন্ধু হত্যায় তাঁর কন্যাগণ জিয়াকে সন্দেহ করেন। শেখ হাসিনার হত্যা চেষ্টায় তারেকের প্রতি আওয়ামী লীগের ঘোর সন্দেহ রয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে না থাকলে হয়ত তাদের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দিবে।
বিএনপির জামায়াত বিরোধী প্রচারণায় জামায়াতের ভোট কমলে সেই ভোট বিএনপি পাবে কি? বিএনপির গুন না বাড়লে সেই ভোটাররা বিএনপিকে কেন ভোট দিবে? তাহলে সেই ভোট কারা পাবে? হয়ত সেই ভোটররাও ভোট না দিয়ে ঘরে বসে থাকবে।সাকুল্য কথা হলো ভোট বাড়াতে বিএনপির গুন বাড়াতে হবে যেন তাদের কমে যাওয়া ভোট আবার তাদের দিকে ফিরতে পারে।শাসকের সবচেয়ে বড় গুন দূর্নীতি ও বেকার মুক্ত বাংলাদেশ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দক্ষতা। যুদ্ধ থেকে আত্মরক্ষা করতে পারাও একটা বড় বিষয়।দূনীতি নিরসনে দূনীতির অভিযোগ রাষ্ট্রীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। দূনীতির অভিযোগ মিথ্যা হলে অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে এবং দূনীতির অভিযোগ সত্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।বেকারত্ব নিরসনে শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে এবং আত্মকর্মসংস্থান ও উদৌক্তা বৃদ্ধির তৎপরতা দ্রুত বাড়াতে হবে।
শেখ হাসিনার প্রতি যারা বিরক্ত ছিল তাদের বেশী সংখ্যক ভোট সম্ভবত জামায়াতের দিকে গেছে, কারণ শেখ হাসিনা বলেছেন জামায়াত তাঁকে তাড়িয়েছে। সেই সব ভোটার ভাবছে শেখ হাসিনা থেকে আত্মরক্ষায় জামিায়াত তাদের নিরাপদ আশ্রয়।বিএনপির আওয়ামী প্রীতি দেখার পর তারা বিএনপির দিকে যাবে না। বিএনপির আওয়ামী প্রীতি মনে হয় বিএনপির রাজনীতির গুটির ভুল চাল।এরজন্য তারা আওয়ামী বিরক্ত ভোট যেমন পাচ্ছে না, তেমনি আওয়ামী লীগের ভোটও পাচ্ছে না।সাকিব কান্ডে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের রিজার্ভ ভোটে টান পড়েনি। তারা এখন সময়ের অপেক্ষায় আছে।
বিএনপির লোকাল লোকেরা বলছে হাই কমান্ড তাদেরকে ভোটের আগে নেতিবাচক দিক থেকে নিবৃত থাকতে বলছে। তারমানে ভোটে জয়ী হলে তারা নেতিবাচকতায় ঝাঁপিয়ে পড়বে। ভোটার এটা বুঝলে তারা বিএনপিকে কেন ভোট দিবে? বিএনপির একুল ওকুল সব কুলেই বন্যা পরিস্থিতি মনে হচ্ছে। আমি আজ স্বপ্নে দেখলাম আমি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর বিএনপির ভোট ব্যাপক হারে বেড়েছে। আমি বিএনপিতে যোগ দিলে তাদেরকে আওয়ামী লীগের ও জামায়াতের বিষয়ে নিরবতার উপদেশ দেব। কথায় আছে সাইলেন্স ইজ গোল্ডেন এবং ভোটার বাকয়াচ পছন্দ করে না। মোবাইলের কল্যাণে এখন শুনে শিক্ষিত সব ভোটার।সুতরাং এখন ভোট পেতে গুন লাগবে।
আমার সবচেয়ে বেশী উপকার করেছে আওয়ামী লীগ। যার নুন খায় তার গুনতো একটু গাইতে হয়।আমার উপকার করায় দ্বিতীয় স্থানে আছে জাশি। তৃতীয় স্থানে আছে বিএনপি এবং চতুর্থ স্থানে আছে চরমোনাই।জাশি ভোটারের উপকার করে করে ভোট বাড়ায়। জাশির বদনাম করলেই বিএনপির ভোট বাড়বে বিষয়টি সেরকম নয়। তাতে বরং ভোটারের বিরক্তি বেড়ে বিএনপির ভোট আরো কমতে পারে। বিএনপির একত্রিশ দফা পড়ার ভোটারের টাইম নাই। তারা অল্প কথায় তাদের কাজের কথা প্রচার করুক। তাহলে যদি ভোটর তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়! যারা পড়তে পারে না তাদের জন্য লাগবে ইউটিউব ভিডিও। ইত্যাদির মাধ্যমে ভোটার যদি বুঝে বিএনপিকে ভোট দিলে তাদের বড় রকমের উপকার হবে তাহলে হয়ত তারা তাদেরকে ভোট দিতে পারে।
বিএনপি আমার সংসার চালানোর ব্যবস্থা করলে আমি চাকুরী ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেব এবং তাদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেব। আর সরকারী চাকুরীতে থাকলে আমি নিয়ম অনুযায়ী নিরপেক্ষ থাকব। কারণ চার পক্ষই আমার মহা মহা উপকার করায় আমি কারো প্রতিপক্ষ হব না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


