
আমাদের অফিস তোফায়েল আহমদের শ্বশুরের ভোলা তালুকদার বাড়ীতে ছিল।আমি তাঁর ছোট শালা পিন্টু তালুকদারের ছেলে-মেয়ে আব্দুল্লাহ ও মিথিলাকে আমি পড়াতাম লজিং সূত্রে।অনেকে আবার লজিং বাড়িকে শ্বশুর বাড়ি বলতো।তালুকদার বাড়ির ম্যানেজার হাফেজ সাইফুল্লাহ আমাকে জামাই বলে ডাকতেন। তিনি আমাকে জোরে-সোরে জামাই বলে ডাকলে আমার কম্পিউটারের ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো।তখন আমি বলতাম এখানে এটা আমার ডাক নাম।ছাত্র আব্দুল্লাহকে বলতাম তোমার আপুকে আমার নিকট বিয়ে দিবা? আব্দুল্লাহ বলতো হ্যাঁ দেব। আমি বলতাম কেন? ও বলতো তাহলে আপনার নিকট কম্পিউটার শিখা যাবে। মিথিলাকে বলতাম তুমি কি আমার স্ত্রী হতে রাজি? মিথিলা মিস্টি করে হেসে চুপ থাকতো। ও তখন ক্লাস সেভেনে পড়তো।
তালুকদার বাড়ির পাশেই ছিল মোল্লা বাড়ি। ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর একটা বাগানবাড়ি ছিল।মজনু ভাই বলেছেন যখন আপনার মন চাইবে তখন আপনি আমার বাগানবাড়িতে বেড়াতে যাবেন।তাঁর বাগান বাড়িতে আনকমন সব গাছ-পালা ছিল। আমি বেশ উপভোগ করতাম।তাঁর চাচাত ভাই আমার ছাত্র ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা ছিলেন বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।তাঁর আরেক চাচাত ভাই সাইদুল ইসলাম বাবু মোল্লা ছিলেন নাট্য অভিনেতা। টিভিতে তার অনেক নাটক ও মডেলিং দেখেছি।তাদের বাড়িতে একটা বিয়েতে আমি যাব না বলায় বাবু আমাকে কোলে করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছিল। তখন তোফায়েল আহমদের সাথে আমি এক সাথে বাবুদের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেলাম। আমার চাকুরীটাও আওয়ামী সূত্রে পাওয়া।ভোলা থেকে বদলী হয়ে পিরোজপুর গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আরিফুর রহমান ডেকে বললেন, আপনার কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন।সেখান থেকে ঝালকাঠি আসার পর আমু ভাইয়ের লোকেরা আমাকে বেশ সমিহ করতেন।তারা এমন ভাবদেখাতেন যেন আমি তাদের অত্যন্ত আপন জন।অফিসের যারা আওয়ামী ঘরনার তারা এখনও আমাকে বেশ সমিহ করে।
এখন জামাই পেলাম বিএনপি। জামাই বাবা এ্যানি চৌধুরীর খুব কাছের মানুষ। আমার মতে আওয়ামী লীগের কিছু দিন রেস্টের প্রয়োজন আছে। অন্যরা দেশ চালাতে অপারগ হলে না হয় তাদেরকে আবার ডেকে নেওয়া যাবে। আওয়ামী ইতিহাস বেশ লম্বা। তাদের ইতিহাসের সবটা হয়ত মুছে ফেলা যাবে না।বিএনপির খায়ের ভূইয়া নিজেই মেঝে মেয়েকে দশ হাজার টাকা সেলামী দিয়ে তাকে কলেজে চাকুরী দেওয়ার কথা বলেছেন। মেঝ মেয়ে মাস্টার্সে পড়ে। আমি জামাইকে তিন মেয়ের চাকুরীর কথা বলেছি। সে বলছে, ঠিক আছে। অবশ্য আমার সব মেয়েই মেধাবী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


