
বিএনপি ও জামায়াত নৌকার ভোট পেতে আশাবাদী। অথচ নৌকার ভোটাররা বলছে নির্বাচনে নৌকা না থাকলে তারা মোটে ভোট দিতেই যাবে না। তবে অন্য ভোটাররাও যেন ভোট দিতে না যায় তারা সেই চেষ্টা করবে। এর মধ্যে তারা নিজেদেরকে গুছিয়ে নিয়েছে। জুলাই আন্দোলনে তারা হতবম্ব হয়ে গিয়েছিল।সময়ের সাথে তারা নিজেদেরকে সামলে নিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী নয়। তারা সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দিলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রশ্নবিঁদ্ধ করতে চেষ্টা করবে। এ অযুহাতে তারা বাংলাদেশের উপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আদায়ের চেষ্টা করবে। ড. ইউনূস নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে গেলে তিনি আর নির্বাচিত সরকারের কোন রকম সহায়তা করবেন না। ফলে নির্বাচিত সরকারের বেকায়দায় পড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাবার সম্ভাবনা আছে।তখন আওয়ামী লীগ নির্বাচীত সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করতে চেষ্টা করবে।
জাশি ও বিএনপিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করতে দেখা যাচ্ছে। সেই কাদা মাখিয়ে এবং শুকিয়ে তারা স্টাচু হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ গ্রহণ করবে। ২০২৬ সালেই তারা ক্ষমতায় ফিরতে চায়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদেরকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত।জাশি ও বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে পারলে তারা আবারও তাদেরকে বনসাই বানাবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি/জাশি জয়ী হলে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কি? ক্ষমতা পাওয়ার চেয়ে এটা ধরে রাখা কঠিন। ড. ইউনূস অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার আশা করেছেন। সেটা সম্ভব নয় দেখে তিনি মানে মানে কেটে পড়ছেন।
রাষ্ট্র সংস্কার চেয়ে জনগণ আওয়ামী বিরোধীতায় নেমে ছিল। বহু দিন গত হলেও তারা সংস্কারের কিছু পায়নি। সংস্কারের নামে বিএনপি তাদের একত্রিশ দফা বাস্তবায়নের কথা বলছে। কিন্তু জনগণ তাদের একত্রিশ দফা বাস্তবায়নে রাস্তায় নেমেছে কি? সামনে আওয়ামী লীগ লগি বৈঠা নিয়ে রাস্তায় নামলে এবং জনগণ তখন তাদেরকে প্রতিরোধ করতে রাস্তায় না নামলে বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে নাকি ছেড়ে পালাবে? বিএনপির কার্যক্রম আমার ঠিকঠাক মনে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপি নিয়ে আমার টেনশন কেন? আমি তখন তাদেরকে জামাই বাবার কথা বললাম। বিএনপির তবে করনীয় কি? তাদের সবচেয়ে বড়কাজ জুলাই ঐক্য ধরে রাখা। সেইটাতে সফল না হলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে ফূদিয়ে উড়িয়ে দিবে। তাদের কিছু লোককে নমিনেশন না দেওয়া ঠিক হয়নি। এটা তাদের জন্য আত্মঘাতি হতে পারে।
ইউপি পর্যায়ের ছাত্র লীগ কর্মী দলের জন্য পঁচাত্তর হাজার টাকা খরচ করার কথা বলেছে। অতীতে এ দলটি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। সাময়িক তারা একটু অসুবিধায় থাকলেও তাদের সে অসুবিধা কাটিয়ে উঠার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




