‘আপনার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব’ এমন সমাজ হিতৈশি ভোটার সব নির্বাচনে দেখা যায়। এরা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। তারা যে পক্ষের জয়ে কাজ করে সে পক্ষ তাদেরকে বাহবা দেয়। ভোট গ্রহিতারা অনেক সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে। এতে ভোট সুষ্ঠ হয় তবে অনেকের ভোট কতিপয় দেয় এ টুকু সমস্যা হয়। এর জন্যতো আর ভোট সুষ্ঠ হয়নি বলা যায় না।
যারা অন্যের ভোট নিজে প্রদানের মহান দায়িত্ব পালন করে তারা যাকে ভোট দিবে বলে অনুমেয় তাকে ভোট না দিয়ে যদি অন্যকে ভোট দেয় তাহলে ঘটনা কিছুটা ঘোলাটে হয়ে যায়।এমন চক্করে যদি আওয়ামী লীগ পড়ে তাহলে আওয়ামী লীগের খবর আছে। জনাব চাঁদগাজীর আশংকা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ যদি (রাগো, ক্ষোভে, দুঃখে) আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মহান দায়িত্ব পালন করে তাহলে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত জয় নিশ্চিত পরাজয়ে পরিনত হতে পারে। ভোটে আবার দখল সংক্রান্ত ঘটনা ঘটে এ কারবার যে কার পক্ষে যায় কে জানে? কাজেই ডঃ কামাল প্রধামন্ত্রী হলেও হতে পারেন। এ আশাতেই হয়ত তারা কোমর বেঁধে ভোটে নেমেছেন। তারা বলছেন তারা ভোট পাহারা দিবেন যেন ভোটের হাওয়া তাদের প্রতিকূলে প্রবাহিত হতে না পারে। আর তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলে ফখরুল আর কামাল যে প্রধানমন্ত্রী হোক তাতে তার আপত্তি থাকার কথা নয়।
আওয়ামী প্রতিপক্ষের সব শেষ হয়ে এখন শুধু আশাটুকুই বেঁচে আছে। সেই আশাতেই তারা ভোট যুদ্ধে নেমেছে। এ দিকে আওয়ামী লীগতো আর সবার আশা পূরণ করেতে পারেনি। তাদের শাসনে অনেকে হতাশ হয়েছে তারাও মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগকে হতাশায় ডুবাতে চায়। আমাদের দেশের ভোট হলো সুযোগ পেলে কতিপয় মিলে ভোট বাক্স ভরানো। এটা যে দল যে ভাবে করতে পারে জয়ের ফসল তারাই ঘরে তোলে।
সে যাই হোক কেউ ঘটনার অপেক্ষায় আর কেউ অঘটনের অপেক্ষায়। এরপর দেখা যাক ঘটনা আসলে কি ঘটে।তবে আওয়ামী লীগের জয় একেবারেই নিশ্চিত এটা বলার সুযোগ নেই। পরিস্থিতি বলবে ঘটনা আসলে কি ঘটবে। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। কারো আগাম খুশি আপাতত দরকার নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯