somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়েক জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদঙ্গল আড্ডাবাজ যুবকযুবতী প্রেম করছে। ওরা হুটহাট প্রেমে পড়ে, বিয়ে করে; বিয়ে ভেঙে যায়, আবার প্রেম। জীবনচক্রের মতোই ওদের প্রেম আর বিয়ের চক্র নিত্যতাময়।

সুজন আর মালতি আমাদের প্রথম জুটি। শুরুতে ওদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা কিছুই ছিল না। দল বেঁধে ওরা ক্যাম্পাসে আড্ডা দিত। মালতি খুব মুখরা, আড্ডাবাজদের সেলিব্রেটি, ওর কাছে বন্ধু মানে বন্ধু, ছেলেমেয়েতে কোনো ভেদাভেদ নেই। তবে, প্রেমিকাদের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য, যেমন একটুখানি আহ্লাদপনা বা ঢং করা, প্রেমিকের সাথে খুনসুটি করা, ইত্যাদি সে পছন্দ করে না, সে বলে এসব খুব ব্যাকডেটেড কনসেপ্ট। আজকাল সমকামিতার যুগ। কেউ স্বামী বা কেউ স্ত্রী নয়। হ্যাঁ, এ পয়েন্টে তার ভীষণ একটা বক্তব্য রয়েছে। দুটো মেয়ে-মেয়ে বা ছেলে-ছেলেতে বিয়ে হলে ওদের কোনো স্বামী-স্ত্রী স্টেটাস থাকে না। We are spouses. তেমনি ছেলে-মেয়েতে বিয়ে হলে স্বামী-স্ত্রীর মান্ধাতার আমলের সম্পর্ক ধ্বংস করে তাদের স্পাউস ডাকাই উত্তম। মালতির এরকম যুগান্তকারী কিংবা যুগপরিবর্তনকারী অনেক কনসেপ্ট কিছু কিছু ছেলেমেয়ে সানন্দে গ্রহণ করেছে, তবে বেশিরভাগই এটাকে অতিরিক্ত আদিখ্যেতা বলে থাকে। এমন একটা মেয়ে সচরাচর বিতর্কিত চরিত্রেরই হয়ে থাকে, কিন্তু মালতির বেলায় তা হয় নি। সে খুব সুন্দরী ও সপ্রতিভ; বাগ্নিতায় চৌকষ। মালতির ব্যাপারে এ বিরাট ফিরিস্তির মধ্যে যেমন সুজনের উল্লেখ খুব কম হয়েছে, বাস্তবক্ষেত্রে সুজনের উপস্থিতি বন্ধুরা এর চেয়ে কিছুটা বরং কমই অনুভব করতো।

কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই ওদের প্রেম হয়ে গেলো।
ওরা মাঠের মাঝখানে গোল হয়ে বসে দেধারসে আড্ডা দিচ্ছিল। দূরে মাথা নীচু করে ওদের কথা একমনে শুনে যাচ্ছিল সুজন। তবে তার চোখেমুখে বিষণ্ণতার একটা প্রগাঢ় ছাপ ছিল।
‘এই হ্যালো, ব্যাপার কী?’ বলেই জায়গা থেকে ধেয়ে ছুটে গেলো সুজনের কাছে। মাথায় একটা হালকা থাপ্পড় মেরে মালতি গালিগালাজ শুরু করে দিল।
‘তোর সমস্যা কী? কথা বলতে পারিস না? ওরে বান্দর, তুই কি জানিস, আমি তোর প্রেমে পড়ে গেছি?’
সুজন ঘটনার আকস্মিকতায় বিমূঢ়। আমতা আমতা করে সে কিছু বলতে চেয়ে উঠে দাঁড়ালো।
‘তোর বিশ্বাস হয় না?’ মালতি বললো।
বন্ধুরা সবাই অবাক। আদতে কারোই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
‘এই দেখ’- বলেই সে তামাম আড্ডাবাজদের সামনে সুজনক কষে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ এক চুমো খেলো।

জীবনটা উপভোগ করতে শেখো। মনে যা লয় তাই করবে। সময় ও সুযোগ বসে থাকে না। এগুলো মালতির কথা।
ওদের মধ্যেই সত্যিই অনেক অন্তরঙ্গত্ব সৃষ্টি হলো।
‘শোনো, একটা সম্পর্ক এক বছরের বেশি মিষ্ট থাকে না। এক বছরের মাথায় আই উইল জাস্ট ডিভোর্স ইউ।’ ওরা বিয়ে করে নি। মালতির কাছে ‘ডিভোর্স’ কথাটা ‘তালাক’-এর পরিভাষাগত শব্দই নয়, সেপারেশন বা কাউকে ত্যাগ করাও বুঝিয়ে থাকে সে।

কিন্তু এক বছরের মাথায় ওদের সেপারেশন হলো না। মালতি বলে, ‘সুজন, তুই একটা বড্ড সুপুরুষ।’ সুজনের ভালো লাগে।
কিন্তু একদিন ওদের মধ্যে একটা কাণ্ড ঘটে গেলো। মালতি বললো, ‘রাহার কথা মনে পড়ে।’
‘রাহা কে? নাম শুনি নি তো!’ সুজন জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়।
‘হি ইজ মাই ফার্স্ট লাভ। আই ডেডিকেটেড মাই ভার্জিনিটি টু হিম।’
‘কখনো বলিস নি কেন?’
‘আই ফরগট এন্ড ফরগিভন দিস পুওর ফেলো।’
‘অবনক্সাস।’
‘নট রিয়েলি।’
সুজন প্রথমে উত্তেজিত হয়েছিল। তারপর শান্ত হতে থাকে। সে গোবেচারা।
কারো অতীত ঘাটতে যাবি না। এমনকি বর্তমানও না। সুখ হলো একটা মুহূর্তের আনন্দ। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করতে চাই। আই উইল নেভার আস্ক ইউ হাউ মেনি গার্লস ইউ পেনিট্রেটেড। লেট ইট বি উইথ ইউ। সেইম ফর মি এ্যাজ ওয়েল। মালতি এ কথা বলতে বলতে সুজনের বুকের উপর নেতিয়ে পড়লো। সে তখন পুরোদস্তুর ইনটক্সিকেটেড।



একদিন শেষরাতের দিকে পুরো মহল্লা সচকিত হয়ে গেলো। দক্ষিণ লেনের ৪তলা ফ্ল্যাটের ভাড়াটে দম্পতির ঘরে বিরাট হৈচৈ।
ঘটনা ভয়াবহ। বাড়িওয়ালা মাখন সাহেব স্বামী বেচারার লিঙ্গটি গোড়া থেকে কেটে আলাদা করে ফেলেছেন। সে মুমুর্ষূ অবস্থায় ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে কাতরাচ্ছে। এককোণে হাঁটুর উপর মুখ গুঁজে শিমু ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
মাস তিনেক হলো ওরা বাসায় উঠেছে। শিমু ভার্সিটিতে পড়ে। সব গল্পের নায়িকারা যেমন অপূর্ব সুন্দরী হয়, শিমু তার চেয়েও একটু বেশি। সকালবেলা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। ফিরে দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, কিংবা রাতে। এতক্ষণ কিন্তু স্বামী বেচারা ঘরে বসে থাকে না। তার একটা ব্যবসা আছে। সে ফিরে রাত হলে। অবশ্য মাঝে মাঝে খুব ভোরেই ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়ে।
এদিকে ক্যাম্পাসে শিমু জনে জনে প্রেম বিলিয়ে বেড়ায়। ক্লাসমেট, সিনিয়র, জুনিয়র, মোটামুটি সবার সাথেই ফেইসবুক ও বাস্তবে হটলাইন অন থাকে।

বিশালদেহী, কালো ভয়ঙ্কর চেহারার মাখন সাহেব সিরিয়াস ভঙ্গিতে একটা সোফায় বসে আছেন। তার দু পাশে মাখন সাহেবের নিজস্ব লোকজন। রাগে তার চোখ থেকে আগুন বের হচ্ছে। তিনি সবকিছু জেনেশুনে ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন।
এদের সামনে মাথা নীচু করে হাঁটুতে ভর করে বসে আছে চাকা।
চাকা এবং রাকা। এটা ওদের নিকনেইম। রাকা ধীরে ধীরে শিমু হয়ে গেছে, কিন্তু চাকা আসল নামে ফিরে যেতে সময় পায় নি।
চাকার দু হাত বাঁধা। শিমুও মাথা নীচু করে একপাশে দাঁড়িয়ে।
মাখন সাহেব খাস বাংলায় শুরু করলেন।
- ঐ মাগি, আগে তুই আয়। তর ঐ জায়গা ফাইরা নুন মরিচ লাগাই।
শিমু হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।

কৈশোর থেকেই শিমু আর হিমুর মধ্যে প্রেম ছিল। বাবা-মার অমতে ওরা বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর বিধবা মা-ই হিমুকে বউসহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সংসার ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু প্রেম খেয়ে তো আর বেঁচে থাকা যায় না, তাই হিমু একদিন চাকরির জন্য দেশ ছাড়লো। বিদেশে যাওয়ার পর ওদের প্রেম আরো গভীর হয়ে উঠলো।
শাশুড়ির সাথে শিমুর সম্পর্ক হয়ে গেলো মা-মেয়ের মতো। তখনও শিমুর জীবনটা ভালোই যাচ্ছিল। পড়া আর ক্যাম্পাস। এর বাইরে শিমুর আর কোনো কাজ নেই। শাশুড়ি সকালে উঠে নাস্তা বানিয়ে দেন, শিমু আলগোছে খেয়ে বেরিয়ে পড়ে। তার ঘরে ফেরার নিয়ম ঐ একটাই- দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, বা রাতে। রাতে ফিরে দেখে শাশুড়ি ভাত সামনে রেখে তার জন্য বসে আছেন।

পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণ কাহিনি বুঝে গেছেন, তাই না? তবুও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। ভাবছেন, এতো ডিটেইলস যেহেতু লিখছি, নিশ্চয়ই এটা একটা সত্য কাহিনি বই কিছু না। জি। আমি একটা সত্য কাহিনিই লিখতে যাচ্ছি। বিশ্বাস করা বা না করা পাঠকের দায়িত্ব।
গণ্ডগোলের সূত্রপাত হলো সেদিন, যেদিন শিমুর শাশুড়ি ৩দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলো।
না, শাশুড়ি এ ব্যাপারটা জানতেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কিছুদিন পর বাড়ির দারোয়ান একদিন শাশুড়িকে একটা গোপন খবর দিল। তিনি যখন হাসপাতালে ছিলেন, তখন একটা ছেলে রাতে তার বাসায় এসে থাকতো। ছেলেটা কে?
শাশুড়ির মাথায় চক্কর খায়। বউকে জিজ্ঞাসা করবেন কী করবেন না ভেবেও একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম, তখন তোমার সাথে বাসায় কে ছিল?
খুব সাধারণ ভাবে একটা উত্তর এলো শিমুর কাছ থেকে।
- আমার ভাই।
-কেমন ভাই?
-মামাতো ভাই।
-তোমার তো কোনো মামা খালা কিছুই নাই।
-চাচাতো মামার ছেলে।
-আগে তো কোনোদিনি বলো নাই?
শিমু রেগে গেলো। এতোকিছু জিগান ক্যান? আমার ভয় লাগছিল, তাই আমার ভাইরে ডেকে আনছিলাম।
-আমারে বলতা, বিলাকে আসতে বলতাম।
শিমু আরো ক্ষেপে গিয়ে কেঁদেকেটে অস্থির। তারপর হিমুর কাছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে নালিশ করে দিল।
হিমুর ছিল শিমুর উপর অগাধ বিশ্বাস। হিমু মাকে মৃদু ভর্তসনাসহ উপদেশই দিল- তুমি চিন্তা কইরো না মা। শিমু খুব ভালো মেয়ে।
কিন্তু ভালো মেয়েটার চোখে শাশুড়ি ক্রমশই বিষ হয়ে উঠলেন। পদে পদে শাশুড়ির সাথে ঝগড়া। একদিন সকালে শিমু নিজের বাসন-কোসন-বসন-ভূষণ নিয়ে শাশুড়ির ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। শাশুড়ি তো বউয়ের জন্য অস্থির। কিন্তু ছেলে সময়মতো মাকে জানিয়ে দিল- শিমু ভালো আছে। ওর কোনো খোঁজখবর করার দরকার নাই।

মাখন সাহেব কুঁদে উঠলেন।
- মাগি, তর ভাতার বিদেশে গেছে দুই বছর। দুই বছরে মোট কয়বার অ্যাবরশন করাইছস আমারে হেইডা একবার ক।
- চাচাজান, আর না। এই একবার মাত্র। শিমু কাঁদতে কাঁদতে বলে।
- আবার কতা কয় মাগি। ঐ, ওরে চিত কইরা শোয়া তো দেহি, একটানে ফাইড়া ফালাই। এতক্ষণ লজ্জার ভয় ছিল, কিন্তু শিমু এখন জীবনের ভয়ে কাতর হতে থাকে।
একটু চুপ থাকার পর মাখন সাহেব চাকার দিকে তাকান।
- আরে বান্দর, চেহারাডা তো নায়কের লাহান। এতো মাগনা খাইবার সাধ লয় ক্যান? একটা বিয়া কইরা নিবার পারস নাই।
চাকা একটু মাথা উঁচু করে কাঁচুমাচু করে ফস করে বলেই ফেললো-
- আমি তো শিমুরেই বিয়া করতে চাই।
মাখন সাহেব গর্জে উঠলেন।
- ওরে, এই বাইঞ্চোতের বাচ্চা বাইঞ্চোত কয় কী রে? আমারে ধর। আমারে ধর তরা। এই হালারে আইজকা আমি মুসলমানি করাইয়া দিমু রে...
পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা চাকু বের করলেন; সাঙ্গপাঙ্গদের ইশারা দিতেই তারা দুদিকে থেকে চাকার ট্রাউজারটা খুলে ফেললো, আর মাখন সাহবে কাঁচি দিয়ে গোড়া থেকে কচু কাটার মতো বাম হাত দিয়ে মাখনের লিঙ্গটি টেনে ধরে এক পোচে চাকু দিয়ে গোড়া থেকে আলাদা করে ফেললেন। চাকার জীবনে ততক্ষণে রোজকিয়ামত শুরু হয়ে গেছে; আর শিমু ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো।

এই সরল গল্পটা যাদের কাছে জটিল মনে হলো, তাদের জন্য একটু সারাংশ বলে দেয়া ভালো মনে করছি।

হিমু আর শিমু হলো জামাই বউ। ওরা প্রেম করে বিয়ে করেছিল। হিমু বিদেশে চলে যাওয়ার পর শিমু বিভিন্ন নাঙ্গের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে। ওর শাশুড়ি যখন হাসপাতালে তখন চাকা পর পর ৩ রাত শিমুর সাথে রাত কাটায়। এ তথ্য ফাঁস হবার পর বাকি কাহিনির জন্ম হয়। শিমু একটা ইস্যু তৈরি করে শাশুড়ির সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং চাকাকে ‘স্বামী’ সাজিয়ে অচেনা এক জায়গায় ঘর ভাড়া করে।
শিমুর আসল স্বামী হিমুর কথা ভাবছেন? হ্যাঁ, ও একটা আস্ত গোবট, সরস বাংলায় যাকে আবাল বলা যায়। আবালরা এসব মেয়েকে অন্ধের মতোই বিশ্বাস করে থাকে।

এরপর চাকা আর রাকার জীবনে কী ঘটেছিল তা জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিবেন না। ওটা ছোটোগল্পের ‘শেষ হইয়াও হলো না শেষ’ হয়েই থাক।



নোভা আর হিরনের ২ বছরের নির্দোষ প্রেম বিয়েতে গড়িয়েছিল। বিয়ের পর কয়েক মাস ওদের প্রেম খুব উদ্দাম ছিল। এরপর ভাটা পড়ে; তারপর মরানদীর মতো ওদের প্রেম মরে গেলো। প্রেম মরে গেলে স্ত্রী পানসে হয়ে যায়।
কখনো কখনো প্রেমের উদ্দামতা অর্থক্ষমতার সমানুপাতিক হয়ে থাকে; হয়তোবা এটা একটা চিরন্তন সত্যও হয়ে থাকবে। হিরনের জীবনে স্ত্রী একসময় খুব বোঝা হয়ে উঠলো, যখন সে একেবারে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়লো।
- চলো, আমরা ডিভোর্স নিয়ে ফেলি। তোমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করবে কেন?
আশ্চর্য, সত্যিই ওরা পরস্পরের কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে নিল।

নোভার জীবনে সুখ নেমে এলো, দু বছর পর পরিবারের দেয়া সেটল্‌ড ম্যারেজের মাধ্যমে। আহা, এতো সুখ ওর কপালে ছিল, তা কি সে নিজেই জানতো?

নোভা একদিন স্বামীর সাথে ঘুরতে বেরোলো। ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলো হিরনের বাড়ি।
আমাদের চোখের সামনে, কিংবা বাস্তব জীবনে কত নাটকীয়তা ঘটতে দেখি প্রতিদিন তার কোনো শেষ নেই।
হিরনের অবস্থা সামান্য ভালো। একটা শনের ঘর। একটা বউ। একটা চিকন, শুকনো শরীর, আর আছে মহাজনের একটা রিকশা।
নোভা নিশ্চয়ই এতোখানি ভাবে নি। কিন্তু জীবন এমনই। নোভার মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো।



চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭
২৮টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×