somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি - প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্মরণকালের মধ্যে এবারই বোধহয় আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে আমেরিকানসহ বিশ্ববাসীর মধ্যে এত আগ্রহ, উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনা দেখা গেছে। কিন্তু, আমেরিকান নির্বাচন পদ্ধতিটা এত জটিল যে, আমেরিকার বাইরের মানুষ এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার ধারণা রাখেন বলে মনে হয় না। আমার নিজেরই এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না কয়েকদিন আগেও। ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যতখানি বুঝেছি, তা থেকে আমি অল্প কথায় বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করছি। তথ্যে বা পদ্ধতি বর্ণনায় কোথাও ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের জন্য তুলে ধরার অনুরোধ রাখলাম। মূলত United States Electoral College আর্টিকেলটিই আমার এ লেখাটির প্রধান উৎস।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মোটা দাগে দুই ধাপে সম্পন্ন হয়, যা নিম্নরূপ :

ক। প্রথম ধাপে সারাদেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের নির্বাচন করা হয়, যাদেরকে বলা হয় ইলেক্টর।
খ। দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্টরগণ নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে থাকেন, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচত হোন।

এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের সংজ্ঞাদুটো আগেভাগে বুঝে নিলে সুবিধা হবে :

ক। পপুলার ভোট বা জনগণের ভোট : প্রতি ৪ বছর পর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন বছরের ০১ নভেম্বরের পরের প্রথম মঙ্গলবার হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সুনির্দির্ষ্ট ‘নির্বাচন দিবস’। এইদিন জনগণ যে-ভোট দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের বা ইলেক্টরদের নির্বাচন করে থাকেন, তাকে এই আর্টিকেলে ‘পপুলার ভোট’ বলে ধরে নি্তে হবে। নির্বাচন দিবসে ওয়াশিংটন ডিসি ও ৫০টি অংগরাজ্যের জনগণ প্রত্যক্ষ ভোটে ৫৩৮ জন ইলেক্টর নির্বাচন করেন।

খ। ইলেক্টোরাল ভোট : জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি’র ইলেক্টরগণ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এই ইলেক্টরগণ যে-ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে থাকেন, তাকে ইলেক্টোরাল ভোট বলা হবে। পপুলার ‘নির্বাচন দিবস’-এর পরের মাসে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২য় বুধবারের পর প্রথম সোমবারে প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করেন।

আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে যাদের ধারণা কম, বা ধারণা নেই, তারা হয়ত সংজ্ঞাদুটো ভালোমতো বোঝেন নি; তবে, পুরো পোস্ট পড়ার পর আবার এসে পড়লে সংজ্ঞাদুটো ক্লিয়ার হবে বলে আশা করি।

চলুন বিস্তারিত বর্ণনায়।

নির্বাচন দিবসে, ওয়াশিংশটন ডিসিসহ আমেরিকার ৫০টা অঙ্গরাজ্য থেকে সর্বমোট ৫৩৮জন ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে, এবং এই ভোটারগণই প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। একেকটা অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা একেক রকম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটার হলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় – ৫৫জন। এর পরের অবস্থানে টেক্সাস- ৩৮। নিউ ইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ২৯জন করে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ১২জন এবং ওয়াশিংটন ডি,সি,’র ৩জন।

নীচে দেখুন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা।

আলবামা-৯, আলাস্কা-৩, আরিজোনা-১১, আরকানসাস-৬, ক্যালিফোর্নিয়া-৫৫, কোলোরাডো-৯, কানেক্টিকাট-৭, ডেলাওয়ের-৩, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া-৩, ফ্লোরিডা-২৯, জর্জিয়া-১৬, হাওয়াই-৪, ইডাহো-৪, ইলিনয়-২০, ইন্ডিয়ানা-১১, আইওয়া-৬, কানসাস-৬, কেন্টাকি-৮, লুইজিয়ানা-৮, মাইনে-৪, ম্যারিল্যান্ড-১০, ম্যাসাচুসেটস-১১, মিশিগান-১৬, মিনেসোটা-১০, মিসিসিপি-৬, মিসৌরি-১০, মনটানা-৩, নেব্রাস্কা-৫, নেভাদা-৬, নিউ হ্যাম্পশায়ার-৪, নিউজার্সি-১৪, নিউ মেক্সিকো-১৪, নিউইয়র্ক-২৯, নর্থ ক্যারোলিনা-১৫, নর্থ ডাকোটা-৩, ওহাইও-১৮, ওকলাহোমা-৭, অরেগন-৭, পেনসিলভানিয়া-২০, রোডে আইল্যান্ড-৪, সাউথ ক্যারোলিনা-৯, সাউথ ডাকোটা-৩, টেনেসে-১১, টেক্সাস-৩৮, উতাহ-৬, ভারমন্ট-৩, ভার্জিনিয়া-১৩, ওয়াশিংটন-১২, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-৫, উইকনসিন এবং উইয়োমিং-৩।

৫৩৮ সংখ্যাটা যেভাবে এলো : প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা) ও সিনেটরের সংখ্যা মিলে যে সংখ্যাটা দাঁড়ায়, তাই হলো ঐ অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২জন সিনেটর আছেন এবং ৫৩টা ডিস্ট্রক্টের জন্য ৫৩ জন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আছেন। ২ ও ৫৩ মিলে ৫৫ হয়। প্রতিটিতে ২জন করে সিনেটর ধরে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মোট সিনেটরের সংখ্যা হয় ১০০। ৫০টা অঙ্গরাজ্যে মোট কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট্রের সংখ্যা ৪৩৫, যার প্রতিটিতে একজন করে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন; মোট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা ৪৩৫। ১০০ + ৪৩৫ = ৫৩৫। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৩জন ইলেক্টোরাল নির্বাচিত হোন। ৫৩৫+৩=৫৩৮।

জনসংখ্যার ভিত্তিতে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ১৯১৩ সালে এই ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ৪৩৫ নির্দিষ্ট করা হয়। তবে, জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে কিছুকাল পরপর সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয় এবং মোট সংখ্যা ৪৩৫ স্থির রেখে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বেশেষ ২০১২ সালে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্য্যা ৫৩৭ ছিল, এবং ১৯৬৪ সাল থেকে এ সংখ্যা ৫৩৮। এর মধ্য থেকে ২৭০ বা তার চাইতে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হোন।

ইলেক্টর মনোনয়ন। ইলেক্টর মনোনয়নের বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও সচরাচরর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পলিটিক্যাল পার্টিগুলো প্রতি অঙ্গরাজ্যে বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিগণকে ‘ইলেক্টর’ হিসাবে মনোনয়ন দান করে। এই মনোনীত ইলেক্টরগণ বিজয়ী হলে নিজ নিজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই ভোট দিবেন বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই হলো এই ইলেক্টোরাল ভোটারদের একমাত্র কাজ।

ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচন পদ্ধতি (গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটিই)। ইলেক্টোরাল ভোটারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিকে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ বলা হয়। বাস্তবে এই কলেজের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভোট শেষ হওয়ার পর এই ভোটারদেরও আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতিটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ভোট গ্রহণের দিন প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের জনগণ ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট প্রদান করেন (ডাক ও মেইলযোগেও ভোট প্রাদনের নিয়ম আছে, এমনকি অগ্রিম ভোটও দেয়া যায়)। মাইনে ও নেব্রাস্কা ছাড়া, অন্য প্রতিটা অঙ্গরাজ্যে যে দল সর্বোচ্চ ভোট পাবে, ঐ অঙ্গরাজ্যে ঐ দলই বিজয়ী হবে এবং ঐ অঙ্গরাজ্যের মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ঐ দলের অনুকূলে যাবে। এ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ২০২০ নির্বাচনে ক্যালিফোর্নিয়ায় জো বাইডেন পেয়েছেন 10,268,890, ট্রাম্প পেয়েছেন 5,368,263 পপুলার ভোট। জো বাইডেন এখানে বিজয়ী। এই রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৫৫। এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারই জো বাইডেনের অনুকূলে থাকবেন, অর্থাৎ, এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারের সবাই জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসকে ভোট দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে, টেক্সাসে ট্রাম্প পেয়েছেন 5,865,913, আর জো বাইডেন 5,218,631। এই রাজ্যে ট্রাম্প বিজয়ী এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৩৮-এর পুরোটাই চলে যাবে ট্রাম্পের অনুকূলে। নেব্রাস্কা এবং মাইনে অঙ্গরাজ্যের জন্য নিয়মটা ভিন্ন। এই দুই অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত পপুলার ভোটের হিসাবে ২জন করে ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হবেন। বাকি ইলেক্টোরাল ভোটার প্রতিটা কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পপুলার ভোটের ভিত্তিতে আলাদা ভাবে নির্বাচিত হবেন। এখানেও উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। মাইনে অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন পেয়েছেন 430,023 এবং ট্রাম্প পেয়েছেন 359,502 পপুলার ভোট। এখানে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ২ এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৪। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের হিসাবে জো বাইডেন এই রাজ্যে বিজয়ী এবং ৪ ইলেক্টোরাল ভোটারের ৪জনই তার অনুকূলে থাকার কথা। কিন্তু, এখানকার পলিসি ভিন্ন; ফলে, পুরা অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন বেশি পপুলার ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ায় পেয়েছেন মোট ২ ইলেক্টোরাল ভোটার। ২ ডিস্ট্রিক্টের ১টিতে জো বাইডেন সর্বোচ্চ, অন্যটিতে ট্রাম্প সর্বোচ্চ পপুলার ভোট পেয়েছেন। ফলে ডিস্ট্রিক্টওয়াইজ জো বাইডেন ১ এবং ট্রাম্প ১জন ইলেক্টোরাল ভোটার পেয়েছেন। মাইনে অঙ্গরাজ্যের চূড়ান্ত ইলেক্টোরাল ভোট : জো বাইডেন ২্+১=৩, এবং ট্রাম্প ১।

এখানে একটা মজার জিনিস লক্ষণীয়। জনগণ যদিও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ইলেক্টরদের নির্বাচন করেন, কিন্তু ব্যালটের মধ্যে সচরাচর ইলেক্টরদের নাম থাকে না, তার বদলে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম থাকে। তবে, কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়, যেমন, ৮টি অংগরাজ্যের ব্যালটে থাকে ইলেক্টরদের নাম।

প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের বিজয়ী ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। দিনটি হলো ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বুধবারের পর প্রথম সোমবার। ভোট দেয়ার পর প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টরগণ একটা সার্টিফিকেটে এই মর্মে স্বাক্ষর করেন যে, তারা তাদের নিজ নিজে অঙ্গীকারকৃত প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। ৬ কপি সার্টিফিকেটের প্রধান কপিটি যায় সিনেটে।



ইলেক্টোরাল ভোটারগণ নিজ নিজ অঙ্গীকারাবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে থাকেন। তবে, কেউ যদি বেইমানি করে ফেলেন, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ১৭১ জন ফেইথলেস ইলেক্টরের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তাদের ফেইথলেসনেসের কারণে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান পরিবর্তন হয় নি, যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান বদলে যাওয়ার রেকর্ড আছে।

ব্যাপারটা অনেক জটিল এবং বিতর্কিতও। এই পদ্ধতিতে পপুলার ভোটে জিতলেও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যাওয়ার রেকর্ড আছে। হিলারি ক্লিন্টনসহ আরো অনেকে পপুলার ভোটে জিতেছিলেন, কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান। আমেরিকায় এখন এটা নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক বিতর্ক হচ্ছে।

পোস্টে অনেক কিছুই উহ্য রয়ে গেছে। কেউ বুঝে থাকলে ভালো। না বুঝে থাকলে প্রশ্ন করুন, চেষ্টা করবো বোঝানোর জন্য। কেউ যদি আরো সহজ ভাষায় কোনো বিষয় বোঝাতে পারেন, কমেন্টে লিখুন প্লিজ। পোস্টটি আরেকটু আপডেট করবো সময় পেলে।

পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
১৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×