somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের ব্যভিচার আইন : একটা পর্যালোচনা ও কিছু সুপারিশ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

BANGLADESH PENAL CODE
CHAPTER XX
OF OFFENCES RELATING TO MARRIAGE

497. Adultery.— Whoever has sexual intercourse with a person who is and whom he knows or has reason to believe to be the wife of another man, without the consent or connivance of that man, such sexual intercourse not amounting to the offence of rape, is guilty of the offence of adultery, and shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to five years, or with fine, or with both. In such cash, the wife shall not be punishable as an abettor.


Bangladesh Penal Code (BPC) বা বাংলাদেশ দণ্ডববিধি-১৮৬০-এর ২০তম পরিচ্ছেদে বিবাহ-সংক্রান্ত অপরাধসমূহ সম্পর্কিত অধ্যায়ে ৪৯৭ নং ধারায় ‘ব্যভিচার’-এর সংজ্ঞা ও শাস্তি সম্পর্কে নিম্নরূপ আইন লিপিবদ্ধ রয়েছে :

“যদি কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অপর কোনো লোকের স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোনো নারীর সঙ্গে উক্ত নারীর স্বামীর সম্মতি বা সমর্থন ব্যতিরেকে এরূপ যৌন সম্পর্ক করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নহে, সে ব্যক্তি ব্যভিচারের অপরাধে দোষী এবং যে-কোনো বিবরণে কারাদণ্ডে যার মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে ব্যভিচারে অংশগ্রহণকারী নারী দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে দণ্ডিত হবেন না।”

আইনের ওই বিধান অনুযায়ী যদি স্বামী পরকীয়া করেন, তাহলে স্ত্রী তার স্বামী বা অন্য নারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না। আবার স্ত্রী যদি পরকীয়া করেন, তাহলে স্বামীরও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। তবে স্ত্রী যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াবেন, তার স্বামী ওই পুরুষটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। অন্যদিকে স্বামীর অনুমতি নিয়ে পরকীয়া করলে তাও অপরাধের পর্যায়ে পড়বে না। সূত্র

ব্যাভিচার সংক্রান্ত আইনটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কোনো পুরুষ (আলোচনার সুবিধার্থে তাকে ‘যৌনকর্তা’ বলবো) যদি অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, সেই নারীর স্বামীর কোনো আপত্তি না থাকলে তিনি নির্দ্বিধায় বিনা বাধায় আজীবন দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারেন। যৌনকর্তা পুরুষ অবিবাহিত হলে কোনো সমস্যাই নাই, কিন্তু সে বিবাহিত হলে তার স্ত্রীই একমাত্র বাধাদানকারিনি ব্যক্তি হতে পারেন। তবে, স্ত্রী যদি এক্ষেত্রে সম্মতি দান করেন, তাহলে পুরুষ মানুষটি গুলশান-বনানিতে ১৬ কোটি টাকা দামে একটা বাড়ি কিনে, কিংবা মাসিক দেড় লাখ টাকায় একটা বাসা ভাড়া করে পরকীয়া প্রেমিকাকে সেখানে রাখতে পারেন। এতে একটা সুবিধা আছে, যৌনকর্তা পুরুষটির স্ত্রীও ইচ্ছে করলে স্বামীর মতোই অন্য এক পুরুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হতে পারেন। আমাদের ব্যাভিচার আইনটি আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই ভাবে যে, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সম্মতিতে যার যার পছন্দমতো, সুযোগ ও সুবিধামতো অন্যের সাথে পরকীয়ায় মাতোয়ারা হতে পারেন।

এই আইনে আরো ফাঁক আছে। পরকীয়া নারীকে এই আইনে আমরা অন্যের স্ত্রী, অর্থাৎ স্বামী বর্তমান আছেন এমন বিবাহিতা নারী হিসাবে দেখতে পাচ্ছি। কোনো অবিবাহিত স্ত্রীর কথা আইনে নেই। এর ফলে, এই আইনটি ‘পরকীয়া’র ক্ষেত্রে আরো অনেক অনেক পথ উন্মুক্ত বা সুগম করে দিচ্ছে। পরকীয়া নারীটি যদি অবিবাহিতা, কলেজ বা স্কুলছাত্রী হয়ে থাকে, তাহলে নিজের স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো শক্তি নাই যে, এই পরকীয়ায় তাকে বাধা দিবে বা তার নামে মামলা করবে। যৌনকর্তা পুরুষ বিবাহিত স্ত্রীকে ঘরে রেখে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণে যেতে পারেন। এটা একটু পড়ুন সিনেমার নায়িকাদের নিয়ে দুবাইয়ে পারসোনাল বোটে একান্তে সময় কাটাতে পারেন। তিনি যে আরো কত কিছু করতে পারেন, তার তালিকা করে শেষ করা যাবে না।

ব্যভিচার আইনের মজা হলো এইখানে- যখন পুরুষ ও নারী উভয়েই অবিবাহিত। দুজনে একমত হয়ে যদি যৌনকর্ম করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কথা বলার কে আছে? কোন সাহসে, বা কোন আইনে তাকে কে দণ্ডাবে? ছেলে-মেয়ে রাজি, চলো রিসোর্টে যাই। মৌজ-মাস্তি করি। পোয়াবারো অবস্থা আর কাকে বলে! শুধু এইক্ষেত্রে এটা স্মরণ রাখতে হবে যাতে তাদের এ কাজগুলো প্রকাশ্যে সংঘটিত না হয়, যা পাবলিক নুইস্যান্স (দণ্ডবিধি-২৬৮ ও ২৯০, ২৯১) আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় 'অভিযুক্ত' হতে পারে।

আপনারা স্মরণ করুন, ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ (জাদুঘর)-এর সাবেক পরিচালক এক নারীসহ আটক হয়েছিলেন। তারা স্বামী-স্ত্রী নন, ঐ নারী ২য় স্ত্রী ছিল কিনা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বাক-বিতণ্ডা হয় নি। কিন্তু, পুলিশ ও জনতা কেন তাদেরকে ধরলো, কোন আইনে ধরলো, তা নিয়ে আমাদের একটা বিরাট গোষ্ঠি ব্যাপক গোস্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারা দুজনেই পরস্পরের সম্মতিতে এ কাজ করেছিলেন। খবরে জানা গিয়েছিল যে, ১৩ জুন ২০১৯ তারিখের সকালে যাদুঘরের ডাক বাংলোর ভিতরের একটি কক্ষ থেকে উক্ত ব্যক্তি ও এক নারীকে আটক করা হয়। সূত্র-১ সূত্র-২ তিনি দায়িত্ব পালন কালে তার অফিসের পিছনেই একটা বেডরুম তৈরি করেন। যেখানে নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাদুঘরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আগের রাতে উক্ত ব্যক্তির বড়ো ছেলের শ্বশুর মারা যান, এ সংবাদ পেয়ে তার ২ ছেলে ও নাতিরা সেখানে চলে যাওয়ার সুযোগে উক্ত ব্যক্তি সকালে একটি মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় যাদুঘরের ডাক বাংলোতে।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়ে। দীর্ঘ সময় মেয়েটি ডাকবাংলো থেকে বের না হওয়ায় তারা সেখানে গিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপের সময় হাতে নাতে তাকে আটক করে।

ঐ ঘটনায় আমাদের বিশেষ গোস্মা গোষ্ঠির অভিযোগ ছিল, এদের আটক করা অন্যায় হয়েছে। পুলিশ এবং পাবলিক উভয়েই অন্যায় করেছে। তারা পরস্পরের সম্মতিতে একে অপরকে উপভোগ করেছেন। পুলিশ বা পাবলিক কোন আইনে তাদের আটক করেছে?

সত্যিই তো! কোনো আইন নেই তো তাদের আটক করার। ঐ নারী, যদ্দূর জানা গিয়েছিল, স্বামীহীনা ছিলেন (অবিবাহিতা, নাকি ডিভোর্সী, এই তথ্য এখন মনে নেই)। আইন অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার কেউ ছিল না। কাজেই, তাদের আটক করা গর্হিত অন্যায় কাজ ছিল।

আমার মনে নেই, ঐ কেইসের সমাধান পরে কীভাবে হয়েছিল। কিন্তু একবার ভাবুন, যে ব্যক্তি এই কাজটাকে ‘অবৈধ’ বা ‘অন্যায়’ মনে করেন না, তিনি ঘরে ফিরে যদি দেখেন স্বয়ং তার স্ত্রীই অন্যের বাহুলগ্না হয়ে সঙ্গমরত অবস্থায় আছে, তখন কি তিনি বলে উঠবেন- বাহ! চালিয়ে যাও, কোনো সমস্যা নাই!

কোনো ঘটনা যতক্ষণ না নিজের জীবনে সংঘটিত হয়, ততক্ষণ আমরা তার আসল প্রভাব উপলব্ধি করতে পারি না।

ব্যভিচার সমাজের জন্য অধঃপতন ডেকে আনে। আইনের শাসন যদি না থাকে তাহলে আইন করে কোনো লাভ নাই। এ কথাটা সত্য হলেও আমাদের বিদ্যমান ব্যভিচার আইনটি অবশ্যই সংস্কার করা দরকার বলে আমি মনে করি। এতে সরাসরি ব্যভিচারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরোক্ষভাবে, সকল সামাজিক অনাচারেরও অনুমোদন রয়েছে এতে। বর্তমানে আমাদের সমাজের শৃঙ্খলা এত নেমে গেছে যে, এই আইনে অনাচার, ব্যভিচারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। আমি কোনো আইনজ্ঞ না, সাধারণ নাগরিক হিসাবে এটা আমার অভিমত। বর্তমান আইনটি সংশোধনের জন্য ভারতের মতো বাংলাদেশেও ২০১৯ সালে আদালতে রিট হয়েছে, রিটের ফলাফল জানি না। কিন্তু এই রিটের বিষয় ছিল এই আইনে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও সমান অধিকার দেয়া। স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামী পরকীয়া প্রেমিকের নামে মামলা করতে পারবে। কিন্তু, স্বামী পরকীয়া প্রেম করলে তার স্ত্রী কেন স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার বিরুদ্ধে বা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না? রিটের বিষয়বস্তু ছিল এরকম। সূত্র

কিন্তু, এতটুকু সংশোধন করলেই কি সুরাহা হবে? ব্যাভিচার একটা সামাজিক ব্যাধি। এটার ব্যাপকতা বাড়ছে প্রথমত এ ব্যাপারে উপযুক্ত আইন না থাকাতে, দ্বিতীয়ত, আমাদের বহুল ব্যবহৃত বয়ান ‘আইনের শাসন নেই’ তো আছেই।

ব্যভিচার আইনকে সম্প্রসারিত করে এর সাথে আরেকটা ক্লজ/উপধারা যুক্ত করা উচিত। দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারায় ব্যভিচারকেও ‘পাবলিক ন্যুইসেন্স’-এর উপাদান হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিভিন্ন হোটেল, পার্ক, ইত্যাদি জায়গায় মাঝে মাঝেই পুলিশ হানা দিয়ে যাদের ধরেন, আমার জানা নেই তাদের কোন আইনে ফেলা হয়। এ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট আইন না থাকায় ওখানেও নানা ধরনের অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, অর্থাৎ মুচলেকার বিনিময়ে ‘অভিযুক্ত’দের ছেড়ে দেয়া।

বিকল্প পন্থায়, বিবাহিত স্ত্রী ব্যতীত অন্য কারো সাথে দৈহিক স্থাপন করাকেই ‘ব্যভিচার’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে আইন সংশোধন করা যায়। যখন জড়িতরা যদি স্বামী-স্ত্রী না হয়, সেক্ষেত্রে মামলা করার জন্য ২৬৮, ২৯১ ধারা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করা যায়, যেখানে পুলিশ, পিতা-মাতা, ভাইবোন বা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ বাদী হয়ে মামলা করতে পারবেন।

বাংলাদেশ মুসলমান প্রধান দেশ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ‘ঈদ’ বানানে যখন পরিবর্তন এনে ‘ইদ’ করা হয়, তখন ধর্মীয় চেতনায় জেহাদের ডাক ওঠে। ইসলাম নিয়ে কেউ একটা তির্যক কথা বললে আমরা ফেইসবুক রক্তাক্ত করে ফেলি। আরো কত কী করি (তা বললাম না, আমারও ভয় আছে)। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যায়। কিন্তু, ঘুষের টাকায় পাহাড় গড়ে তুলতেছে মোমিনরা। খুন, ধর্ষণের রেকর্ড করতেছে। দুর্নীতির শেষ নাই। তো, এত ইমানদারের দেশে এত দুর্নীতি, এত জেনা, এত নারী কেলেঙ্কারি কেন হবে?

২৯ এপ্রিল ২০২১
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৪
১৭টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×