‘আজ সারাদিন একটুও ভালো বাসি নি’ – এতটা
আকুল হয়ে দ্রুত এসে কপোলে ছোঁয়াতে ঠোঁট
তারপর পাগলের মতো ভালোবাসতে একচোট।
‘এদিকে এসো তো সোনা, কী মধু ওখানে
মেঘের আকাশে? এসো, এইখানে শোও।’
তারপর দেখতাম, কীভাবে আলগোছে মাথা টেনে
উরুতে শুইয়ে, নিশ্বাস ঘন করে আশ্চর্য প্রেমিকা হও।
‘আজ তুমি কোথাও যাবে না। আজ শুধু সারাবেলা ভালোবাসবে
বাসতে বাসতে আজ আমায় করে ফেলবে খুন।’
তারপর এক ফু’য়ে দেশলাই জ্বেলে দিয়ে সারাদিন ছড়াতে আগুন।
তোমার হৃৎপিণ্ড পাম্প করতো রক্ত নয়, প্রেম।
প্রেমের আতিশয্য যেন এক অদ্ভুত মধুর নির্যাতন।
কতবার সেই ঘোরের ভেতর মরে যেতে চেয়েছি, কোনো এক
মিথুনরাঙা ভোরে। হায়, সে হতো আমার শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ।
আজ এক উচ্ছল, প্রাণবন্ত, পুরোনো প্রেমিকাকে খুঁজি
তোমার সমস্তটা জুড়ে,
আর অনেক অনেক অবাক হয়ে দেখি, সেই তুমি
কখ্ন, কীভাবে যে চলে গেছ অনেক অনেক দূরে।
সবখানি শুকিয়ে গেছে নদী, নেই জোয়ারের কলকল ঢেউ
কে যেন কুরে কুরে খেয়ে ফেলেছে প্রেম তোমার হৃৎপিণ্ড হতে
প্রেম ছাড়া বাঁচতে পারে না কেউ। দেখে নিও, প্রেমের জন্যই
এক রাতে ঘর ছেড়ে চলে যাব গহিন অরণ্যে, সন্ন্যাসব্রতে।
৫ অক্টোবর ২০২১
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৩