somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিধ্বংসী বোলিং || এ খুশিতে শুনুন ভূপেন হাজারিকার 'কেঁদো না কেঁদো না তুমি আমার নতুন কন্যা'

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ২য় দিনে বাংলাদেশের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসই দুইমাত্র দল, যাদের বিপক্ষে জয়লাভ অত্যন্ত প্রত্যাশিত, কারণ, শক্তিমত্তায় এ দুদল বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে। আমাদেরকে এ দু দলের বিপক্ষে অবশ্যই জয়লাভ করতে হবে, বাকি 'বিগফিশ'গুলোর মধ্যে দুই/তিনটা ধরতে পারলে তো টাইগারদের সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত।

টসে জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিয়েছে। আমি সারাজনম বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিঙে পাঠানোর পক্ষে। তবে, দল যেহেতু ফিল্ডিং নিলই, জিততে পারলে কোনো আক্ষেপ নাই। অবশ্য আগে ব্যাটিং করলেই যে জিতে যাবে, তাও বলছি না, তবে পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে জিতেছে বেশি।

আজ বাংলাদেশের ফিল্ডিং হচ্ছে মারাত্মক ভালো। তবে, প্রথম উইকেট পড়তে অনেক সময় লাগায় খুব খারাপ লাগছিল। শেষ ওভারে সাকিব আল হাসান বোলিঙে এসে ১ম ওভারেই উইকেট পান। আমি এ পোস্ট লেখার সময় পর্যন্ত আফগান স্কোর ৬ উইকেটে ১৩৮, ওভার ৩১।৪।

Fall of wickets:

1-47 (Ibrahim Zadran, 8.2 ov), সাকিব
2-83 (Rahmat Shah, 15.1 ov), সাকিব
3-112 (Hashmatullah Shahidi, 24.4 ov), মেহেদি হাসান মিরাজ
4-112 (Rahmanullah Gurbaz, 25.2 ov), মুস্তাফিজ
5-122 (Najibullah Zadran, 28.4 ov), সাকিব
6-126 (Mohammad Nabi, 29.6 ov) তাসকিন
7-150 (Rashid Khan, 34.2 ov), মিরাজ
8-156 (Azmatullah Omarzai, 35.2 ov), শরীফুল
9-156 (Mujeeb Ur Rahman, 36.3 ov), মিরাজ

ক্রিকেটের অনিশ্চয়তার কথা মনে রেখেই বলছি, আফগানদেরকে ২০০ রানের মধ্যে আটকে ফেলতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষে জেতা সহজ হবে। তবে, কোনোমতেই ২৫৯/৬০ অতিক্রম করতে দেয়া যাবে না, তাতে কঠিন হয়ে পড়বে বাংলাদেশের জন্য।

উপরের লাইন লিখেছিলাম আগে। পোস্ট লেখা শেষ করে সাবমিট করার সময় আফগান স্কোর ১৫৬/৯

যাক, মনটা এখন ফুরফুরে। সাকিব অলরেডি ৩ উইকেট নিয়েছে। দলনেতা হিসাবে সামনে থেকে দলকে লিড করছেন। আমরা চাই, আজকের দিনটা সাকিবের হোক, আর সাকিব আজকের প্রত্যাশিত জয়টা সমগ্র দেশবাসীকে উপহার দিন। দলের মনোবল খুবই চাঙ্গা দেখা যাচ্ছে এ মুহূর্তে।

আচ্ছা, এবার আসা যাক গানের ব্যাপারে। এ গানটা আমার অনেক প্রিয়। আসলে ভূপেন হাজারিকার কোন গানটা কার কাছে প্রিয় নয়, সেটা গবেষণা করে বের করার বিষয়। আমি গাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার আগের একটা পোস্টে জাদিদ ভাই আমার কণ্ঠে ভূপেন হাজারিকার ফ্লেভার পান বলে যে লজ্জা দিয়েছিলেন আর গেঁয়ো ভূত ওরফে মল্লিক ভাই তাতে সায় দিয়ে সেই লজ্জা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা থেকেই মনে হলো - তা হলে হয়েই যাক ভূপেন হাজারিকার একটা গান :) ভূপেন হাজারিকার 'তোমরা গেইলে কি আসিবেন আমার মাহুত বন্ধু রে' গানটার আমি একটা বাংলাদেশীয় ভার্সন করেছিলাম ২০১৫ সালের দিকে। সেই আদি ভিডিওটি আর নাই, পরের দিকে আবার গেয়ে আপলোড করেছিলাম - গরুরে চরাও, গরুরে খাওয়াও। খালি গলায় গাওয়া গানটির লিংক দিয়ে দিলাম এখানে।

এবার কভার করলাম ভূপেন হাজারিকার 'কেঁদো না কেঁদো না তুমি আমার নতুন কন্যা' গানটি। গানটি কে লিখেছেন, কে সুর করেছেন তা আমি খুঁজে পাই নি। কারো জানা থাকলে প্লিজ জানাবেন। এটি একটি মানবিক গান। এক সৎ কিন্তু অসচ্ছল বাবা তার নবজাতক কন্যার উদ্দেশে কথাগুলো বলছেন। বাবাটি কোনো ধনীর দুলাল নন। বৈশ্বিক চাকচিক্য ও বিলাসিতা দেয়ার মতো সাধ্য তার নেই। তার সাধ্যের মধ্যে যা আছে, তাই তিনি কন্যাকে দিতে চান। গানের কথায়ই সেগুলো উল্লেখ আছে।

কেঁদো না কেঁদো না তুমি
আমার নতুন কন্যা
পাহাড় খুঁজে এনে দেব
কথা কওয়া ময়না ময়না
কেঁদো না কন্যা

পরের সোনা লুকিয়ে রাখার
শিক্ষা বাবা দেয় নি
পরের টাকায় ঝুলি ভরার
দীক্ষা আমি পাই নি
ধনীর দুলাল নই তো আমি
গড়িয়ে দেব গয়না
পাহাড় খুঁজে এনে দেব
কথা কওয়া ময়না ময়না
কেঁদো না কন্যা

বড়ো লোকের ঘরে তোমার
বিয়ে হলে কন্যা
বাক্স ভরা নকশা কাটা
পেতে অনেক গয়না
শুধু ভুলতে যদি চাও গো মেয়ে
পেটের ক্ষুধার যাতনা
শুনে আমি দিতে পারি পাংশ বধের
গাওনা গাওনা
কেঁদো না কন্যা

ধান চালের কালো বাজার
শিক্ষা গুরু দেয় নি
সরষে তেলে ভেজাল দিতে
আমায় কেউ শেখায় নি
শুনতে যদি চাও গো মেয়ে
শোনো গো ও ললনা
আগাল বাঁশের বাঁশির সুর
এই তো তোমার পাওনা পাওনা
কেঁদো না কন্যা

কথা ও সুর : জানা যায় নি। কেউ জানালে খুশি হবো।
মূল শিল্পী : ভূপেন হাজারিকা
মিউজিক ও কভার : খলিল মাহ্‌মুদ

গানের লিংক : কেঁদো না কেঁদো না তুমি আমার নতুন কন্যা



কেঁদো না কেঁদো না তুমি আমার নতুন কন্যা - কোরাস



কেঁদো না কেঁদো না তুমি আমার নতুন কন্যা - ভূপেন হাজারিকা






সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের ট্যাক্স এর টাকা খরচ করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তারা কি আমাদের সেবা দিতে পারছে?

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬



আমার আব্বুর চাকরির সুবাধে বিভিন্ন জেলায় ঘুরা লাগে। তাই কমলাপুর ট্রেন স্টেশনও বহুবার গিয়েছি। আমরা গুলিস্থান থেকে ঢাকা টু দাউদকান্দি বাসে চরে ভবেরচর যাই। এখন কথা হচ্ছে কমলাপুর এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই জঞ্জাল স্বাধীনতার পর থেকেই, শুধু এক যুগের নয়....

লিখেছেন আমি সাজিদ, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

এক, মানুষের মেন্টালিটি পরিবর্তন না হলে কোনও সরকার কিছু করে দিতে পারবে না।
দুই, কোন কারনে উপরের এক নাম্বার মন্তব্যটি করলাম?
স্বৈরাচার পতনের পর কি কি পরিবর্তন হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু হিন্দু অখন্ড ভারত চায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮




মুসলিম অখন্ড ভারত শাসন করেছে তখন তারা ছিলো সংখ্যা লঘু। খ্রিস্টান অখন্ড ভারত শাসন করেছে, তারা তখন সংখ্যা লঘু মুসলিম থেকেও সংখ্যা লঘু ছিলো। তারপর মুসলিমদেরকে সাথে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। টাইম ম্যাগাজিনের আগামীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১২




নাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গল্প প্রকাশিত হবার পর নিষিদ্ধ হয়

লিখেছেন জাহিদ শাওন, ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫০


এক কাপ চা, শীতের সন্ধ্যায় বেশি ঝালের ভর্তায় মাখানো চিতই পিঠার অজুহাতে বুকপকেটে কতবার প্রেম নিয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম সে গল্প কেউ জানে না।
আজকাল অবশ্য আক্ষেপ নেই।
যে গল্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×