জাতিগতভাবে আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নিজের ভাষাকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এজন্যই দেখা গেছে, যখনই যে জাতি অন্য জাতির ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গেই সে তার নিজের ভাষাকেও চাপিয়ে দিয়েছে বা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। এটি পুরাকালের গ্রিক-লাতিন থেকে শুরু করে পরে স্প্যানিশ-ফরাসি-ফারসি ভাষা হয়ে এখন ইংরেজিতে এসে ঠেকেছে। এর কারণ আধিপত্যবাদীদের পালাবদল। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভাষাগত আধিপত্য বিস্তারে সারা বিশ্বে ইংরেজি সবচেয়ে এগিয়ে। বলা চলে ৪০০ বছর ধরে ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য, বিনোদনসহ সব ক্ষেত্রেই সারা বিশ্বে এ ভাষার ব্যাপক ব্যবহার ও বিস্তার লক্ষণীয়।
কিন্তু এই ইংরেজি ভাষাও যে একসময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে, সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ ভাষাবিদ নিকোলাস অসলার। নিকোলাস অসলার তার সাম্প্রতিক বই ‘দ্য লাস্ট লিংগুয়া ফ্রাংকা : ইংলিশ আনটিল দ্য রিটার্ন অব বাবেল’ বইতে বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ইংরেজির যত আধিপত্যই থাকুক না কেন, লাতিন বা সংস্কৃত ভাষার মতো এ ভাষাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
অসলার তার বইতে দেখিয়েছেন, বিশ্ব ইতিহাসের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ইংরেজি ভাষা ‘লিংগুয়া ফ্রাংকা’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। লিংগুয়া ফ্রাংকা হচ্ছে এমন একটি ভাষা, যা দিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কিন্তু সেটি আদৌ তাদের মাতৃভাষা নয়। একটা সময় ছিল যখন ইংরেজির মতোই বহু মানুষের জন্য লিংগুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যবহৃত হতো লাতিন, ফারসি বা সংস্কৃতের মতো ভাষা। কিন্তু সেসব ভাষা এখন বলা চলে একেবারেই আধিপত্যহীন, কোনো কোনোটা তো বিলুপ্তপ্রায়।
লিংগুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ফারসির বিলুপ্ত হতে সময় লেগেছে প্রায় ৭০০ বছর। আবার লাতিন টিকে ছিল এক হাজার বছরের মতো। এসব ভাষার তুলনায় ইংরেজি অনেক বেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবহৃত হলেও এ ভাষাটিও একদিন হারিয়ে যাবে বলে ধারণা অসলারের। অসলারের মতে, তিনি ইংরেজির টিকে থাকার পক্ষে কোনও বিশেষ কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
‘দ্য লাস্ট লিংগুয়া ফ্রাংকা : ইংলিশ আনটিল দ্য রিটার্ন অব বাবেল’ বইটিতে অসলার ইংরেজি কেন বিলুপ্ত হবে তার বহু কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ৪০০ বছর ধরে ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে থাকলেও ফ্রান্স, ব্রাজিল, রাশিয়া বা চীনের মত দেশগুলোতে এ ভাষার তেমন কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়া তার মতে, গ্লোবালাইজেশনের ফলে ইংরেজি ভাষার সাথে অন্য ভাষার মিশ্রণে আলাদা এক ভাষার সৃষ্টি হবে, যা হয়ে উঠতে পারে নতুন লিংগুয়া ফ্রাংকা।
অসলার মনে করেন, অনেক প্রাচীন ভাষার মতো মূল ইংরেজি ভাষাও একসময় কেবল ইতিহাসের অংশ হয়েই থাকবে।
সূত্র : গার্ডিয়ান
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।