ধুলিজমা মেঠোপথের ধারে,
আজন্মা বটবৃক্ষ আর সোনালী ধানক্ষেতের সমারোহ ছিল একদিন।
বটবৃক্ষ বাড়ে ধীরে, আর ধান ঝরে প্রতি মৌসুমেই।
মৌসুম যায় মৌসুম আসে,
বাড়ে বট, ক্ষেত প্রতিস্থাপিত হয় নতুন ধানে।
সক্ষতা গড়ে দুজনার মাঝে, গড়ে অসম বন্ধুত্ব।
সময়ের আবর্তে মেঠোপথটি থাকেনা আর কাচা মাটির আস্তাবলে।
জমেছে হেথায় পোড়ামাটির বক্রাকার কারুকার্য
আগে যেথায় চলত হন্ঠন,
আজি সেথায় দৈবাত মটোরের শব্দ শোনা যায়।
বাড়ে কোলাহল ধীরে, বাড়ে রঙ্গমঞ্চের আয়তন
শুধু কমতে থাকে সোনাঝরা ধানক্ষেতের বিশালতা।
আর বায়ুর অক্সিজেন।
বটবৃক্ষের কৈশর শেষে এসেছে দুরন্ত যৌবন
আজি যেন বিপুল বিস্তৃতিতে ধ্বংসযজ্ঞে মাতার সময় তার
বেড়েছে শাখা, বেড়েছে ডাল আর গুরির ব্যাসার্ধ
জটগুলো আজি মাটি ছুই ছুই।
শুধু নেই আজি আজন্ম বন্ধুত্বে বাধা
ধানক্ষেতের সোনাঝরা ধানের হাসি।
জন্মেছে হেথায় কনক্রিটের আকাশ্চুম্বি ঘর।
পোড়ামাটির পথেও আজি পিচ পড়েছে।
শন শন ছুটছে গাড়ি বটবৃক্ষের পাশদিয়েই।
আজো বেচে আছে বৃক্ষ
নগরের কোলাহলে জরাজীর্ন হয়ে