somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বমানবের জন্য অতুলনীয়, অদ্বিতীয় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ব প্রকাশের পর:
বিশ্বমানবের জন্য অতুলনীয়, অদ্বিতীয় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এই পৃথিবীকে, এই মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। অত্যন্ত সুন্দর করে, নয়নাভিরাম করে তিনি একে তৈরী করেছেন। এই পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সব কিছু তৈরী করার পর, এই পৃথিবীতে মানব আগমন ও একে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে সাজানোর পর এবার তিনি এর চাইতেও সুন্দরতমভাবে সৃষ্টি করেছেন মানুষ। অনেক আদর ও মমতায় তৈরী করেছেন আমাদেরকে। তিনি ইরশাদ করছেন,
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ.
অর্থ: “অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।” (সূরা তীন ৯৬, আয়াত ০৪)
সকল মাখলুকাত ও সৃষ্টির মাঝে তিনি মানুষকে এভাবে করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ সম্মানিত। বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়ে তিনি ইরশাদ করেন,
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آَدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا.
অর্থ: “আর আমি তো আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিয্ক। আর আমি মানুষকে আমার অনেক সৃষ্টির উপর অনেক মর্যাদা দিয়েছি।” (সূরা ইসরা ১৭, আয়াত ৭০)

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মানুষকে তার সকল সৃষ্টির মাঝে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। মানুষকে তিনি এমন এক আকল বা বুদ্ধি দিয়েছেন, সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী এমন বিবেক দান করেছেন যা তিনি তার অন্য কোনো সৃষ্টিকে দেন নি। তাই মানুষের আচরণ অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা পৃথিবীর সকল প্রাণী ও বস্তুরাজিকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য। এই পৃথিবী ও তার সকল সম্পদরাজি এবং তার মধ্যকার সকল উপায় উপকরণ মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র মানুষের জন্য। এই মানুষের জন্যই তিনি সৃষ্টি করেছেন চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র। মানুষের সেবায় তিনি নিয়োজিত করেছেন সকল মাখলুকাতকে। যার বর্ণনা স্বয়ং মহান আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন এভাবে-
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (২৯)
অর্থ: “তিনিই সেই মহান আল্লাহ, যিনি যমীনের সকল কিছুকে তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। অত:পর আসমানের প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সাত আসমানে সুবিন্যস্ত করলেন। আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞাত। অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।” (সূরা বাকারা ২, আয়াত ২৯)

উপরোক্ত এই আয়াত হতে আমরা পরিস্কারভাবে বুঝতে পারলাম যে, এই পৃথিবী ও তার সকল সম্পদরাজি এবং তার মধ্যকার সকল উপায় উপকরণ মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র মানুষের জন্য। এই মানুষের জন্যই তিনি সৃষ্টি করেছেন চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র। মানুষের সেবায় তিনি নিয়োজিত করেছেন সকল মাখলুকাতকে। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এই পৃথিবীতে একমাত্র তাঁর ইবাদত ও আনুগত্য করার জন্য। এ বিষয়টির প্রতি খেয়াল করার জন্য তিনি ইরশাদ করেছেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلا لِيَعْبُدُونِ.
অর্থ: “আমি জীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।” (সূরা যারিয়াত, আয়াত ৫৬)
অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে,
وَمَا أُمِرُوا إِلا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ.
অর্থ: “তাদেরকে এ ছাড়া কোন হুকুমই দেয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে, একনিষ্ঠভাবে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে।” (বাইয়্যিনাহ, ৯৮ঃ ৫)

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে মান্য করার নামই ইবাদত। এর মধ্যে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন-যাপন যেমন অন্তর্ভুক্ত, তেমনি তার পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, আন্তর্জাতিক জীবনও সমভাবে অন্তর্ভুক্ত। আর যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব, তাই তারা দলবদ্ধ ও সমাজবদ্ধ না হয়ে চলতে পারে না। সমাজবদ্ধ হয়ে সুশৃংখলভাবে জীবন যাপন করাটাই বুদ্ধিমান মানুষের প্রথম পছন্দ। তবে মানুষের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন আচরণ ও কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে থাকে তাদের বিশ্বাস ও আদর্শ অনুযায়ী।

একারণেই একজন অমুসলিম বা অবিশ্বাসী ব্যক্তির সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধান মানবরচিত কোনো ব্যবস্থার আলোকে কিংবা তার মনগড়া হলেও একজন মুসলিমের জন্য এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ একজন মুসলিমের ব্যক্তিগত জীবনের মতো তার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল বিধি-বিধান এবং নিয়ম-কানুনও পরিচালিত হতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার দেয়া দিক-নির্দেশনা তথা কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে। তাইতো ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلامُ.
অর্থঃ “নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীম দীন হলো ইসলাম।’ (সূরা আল ইমরান ৩, আয়াত ১৯)
অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে,
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ.
অর্থঃ “কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।” (সূরা আল ইমরান ৩, আয়াত ৮৫)

এভাবে ইসলামকে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দীন বলে ঘোষণা এবং ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ব্যবস্থা ও মতবাদকে মুসলিমদের জন্য হারাম সাব্যস্ত করার পর মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মুসলিমদের মধ্যকার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে ঘোষণা করছেন,
وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آَتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ.
অর্থঃ “আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আপনি তাদের মধ্যে ফয়সালা করুন আল্লাহ যা নাযিল করেছে তদানুসারে এবং আপনার কাছে যে সত্য এসেছে তা ছেড়ে তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি নির্দিষ্ট শরীয়ত ও নির্দিষ্ট পন্থা।
আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে অবশ্যই তিনি তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তাঁর মাধ্যমে। অতএব নেক কাজের প্রতি ধাবিত হও। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তারপর তিনি তোমাদের অবহিত করবেন সে বিষয়ে যাতে তোমরা মতভেদ করতে।” (সূরা মায়িদাহ ৫, আয়াত ৪৮)

পরের আয়াতে একই বিষয় আবারো তাকিদের সাথে বলা হয়েছে এভাবে,
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ.
অর্থ: “আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অত:পর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক।” (সূরা মায়িদাহ ৫, আয়াত ৪৯)
এই আয়াতের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর মূলনীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ রহিত করা হয়েছে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে। একইভাবে মুসলিমদের মধ্যকার যে কোনো বিরোধ ও মিমাংসাও হতে হবে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে। ইরশাদ হয়েছে,
فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
অর্থঃ “অতঃপর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয় তাহলে তার ফায়সালা ও সমাধানের জন্যে তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর দিকে প্রত্যাবর্তন কর। যদি তোমরা আল্লাহ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাসী হয়ে থাকো।” (সূরা নিসা, আয়াত ৫৯)
শুধু ফায়সালার জন্যে কুরআন ও সুন্নাহর দ্বারস্থ হয়েও শেষ নয় বরং এক্ষেত্রে দ্বিধাহীনভাবে, সন্তুষ্টচিত্তে কুরআন ও সুন্নাহর দেয়া ফায়সালা মেনে নিতে হবে এবং এ স¤পর্কে অন্তরে কোন ক্ষেদ বা দ্বিধা-সংশয় রাখা যাবে না। তাইতো ইরশাদ হয়েছে:
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ.
অর্থঃ “আর ঈমানদার কোন মুমিন পুরুষ বা মহিলার জন্যে মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কৃত ফায়সালার উপর স্বাধিকারের কোন অবকাশ নেই।” (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৬)
অপর এক আয়াতে আরো দৃঢ় ও কঠিন ভাষায় ইরশাদ হয়েছে:
فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا.
অর্থঃ “আপনার রবের শপথ! কখনোই তারা কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তারা নিজেদের মধ্যকার ব্যাপারে আপনাকে সালিশ না মানবে। অতঃপর আপনি যেই ফায়সালা করে দিবেন সে ব্যাপারে তারা নিজেদের মনের মধ্যে আর কোন ধরনের জড়তা ও সংকোচ অনুভব না করবে এবং দ্বিধাহীনচিত্তে পূর্ণরূপে আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিবে।” (সূরা নিসা, আয়াত ৬৫)

রাসূল সা. এর প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রদত্ত শাসন সংক্রান্ত এই নির্দেশনা তাঁর উম্মাহ্’র প্রতিও সমভাবে প্রযোজ্য। এর অর্থ হল উম্মাহ্কে অবশ্যই রাসূল সা. এর পরে এমন একজন শাসক নিযুক্ত করতে হবে যিনি আল্লাহ’র কিতাব অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। উসূল-উল-ফিকহ্ এর নীতি অনুসারে এই আদেশের ভাষা অকাট্য (قطعى) যা থেকে বোঝা যায় যে, নির্দেশটি অবশ্য পালনীয় অর্থাৎ ফরয।
রাসূল সা. এরপর আল্লাহ’র আইন দ্বারা মুসলিমদের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য যাকে নিয়োগ করা হবে তিনিই খলীফা। একইভাবে সেই শাসন পদ্ধতির নাম হল খিলাফত। এছাড়া এ ব্যাপারে আরও যে দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করা যায় তা হল, ইসলামী শারী’আহ্ অনুযায়ী আইনী শাস্তির বিধি-বিধান (হুদুদ) এবং অন্যান্য শারী’আহ্ আইন (আহ্কাম) বাস্তবায়ন করা মুসলিমদের জন্য ফরয। আর এটা সর্বজনবিদিত যে, একজন শাসক ছাড়া হুকুম-আহকাম বা শাস্তির বিধিবিধান কোনকিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শারী’আহ্’র মূলনীতি অনুযায়ী কোন ফরয বাস্তবায়নের পূর্বশর্ত সমূহও যেহেতু ফরয তাই ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কবার ব্যাপারে কর্তৃত্বশীল একজন শাসক নিযুক্ত করাও ফরয। এক্ষেত্রে, শাসক হলেন খলীফা এবং শাসন ব্যবস্থাটির নাম হল খিলাফত।

সুন্নাহ্ ভিত্তিক দলিল-প্রমাণের দিকে আমরা আলোকপাত করলে দেখতে পাবো,
عن عبدالله بن عمر قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ্র مَنْ خَلَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ لَقِىَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ حُجَّةَ لَهُ وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِى عُنُقِهِ بَيْعَةٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উমর (রা.) বলেছেন, “আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি, “যে আনুগত্যের শপথ (বাই’আত) থেকে তার হাত ফিরিয়ে নেয়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার সাথে এমনভাবে সাক্ষাৎ করবেন যে, ঐ ব্যক্তির পক্ষে কোন দলিল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে যে, তার কাঁধে কোন আনুগত্যের শপথ নেই, তবে তার মৃত্যু হবে জাহেলি যুগের মৃত্যু।” (সহীহ্ মুসলিম, হাদীস নং-১৮৫১, আবু আওয়ানাহ্ ৭১৫৩, বাইহাক্বী ১৬৩৮৯, জামেউল আহাদীস ২২১৪৮)
অপর এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,
عن ابن عمر قال سمعت رسول صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول: مَنْ مَاتَ وَلَاْ بَيْعَةَ عَلَيْهِ مَاتَ مِيْتَةً جَاهِلِيَّةٍ.
অর্থ: ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি; যে ব্যক্তি বাইআ’ত বিহীন মারা গেল সে জাহেলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করল।” (তাবরানী ১/৭৯ নং ২২৫, জামেউল আহাদীস ২৩৯৩৮, কানযুল উম্মাল ৪৬২)

রাসূল সা. প্রত্যেক মুসলিমের উপর বাই’আতের শপথকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। যে বাই’আত (আনুগত্যের শপথ) ছাড়া মৃত্যুবরণ করে তার মৃত্যুকে ইসলামপূর্ব অজ্ঞানতার (জাহেলিয়াতের) যুগের মৃত্যু হিসাবে বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবী সা.।
আর উপরোক্ত হাদীসটি যেহেতু প্রত্যেক মুসলিমের কাঁধে বাই’আতের শপথ থাকাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে, তাই একইসাথে এ হাদীসটি মুসলিমদের উপর একজন খলীফা নিযুক্ত করাকেও বাধ্যতামূলক করেছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আল-আরাজ ও সেই সূত্রে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন,
إنما الإمام جنة. يقاتل من ورائه ويتقى به.
অর্থ: “নিশ্চয়ই খলীফা বা ইমাম হচ্ছেন ঢাল স্বরূপ। মুসলিমরা তার পেছনে থেকে যুদ্ধ করে এবং নিজেদের আত্মরক্ষা নিশ্চিত করে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৪১)

আবু হাজিমের বরাত দিয়ে ইমাম মুসলিম আরও বর্ণনা করেন যে, আমি আবু হুরায়রার সাথে পাঁচ বছর অতিবাহিত করেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছি, রাসূল সা. বলেছেন,
عَنْ أَبَي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ্র كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِىٌّ خَلَفَهُ نَبِىٌّ وَإِنَّهُ لاَ نَبِىَّ بَعْدِى وَسَتَكُونُ خُلَفَاءُ فَتَكْثُرُ গ্ধ. قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ ্র فُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ وَأَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ
অর্থ: “রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বনী ইসরাইল এর নবীগন তাদের উম্মত কে শাসন করতেন। যখন কোন একজন নবী ইন্তেকাল করতেন তখন অন্য একজন নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন। আর আমার পরে কোন নবী নেই, তবে অনেক খলিফা হবে। সাহাবাগন আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ আমাদের কে কি নির্দেশ করছেন? তিনি বললেন তোমরা একের পর এক তাদের বাইআ’তের হক আদায় করবে। তোমাদের উপর তাদের যে হক রয়েছে তা আদায় করবে। অবশ্যই আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) তাদেরকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের ব্যাপারে জবাবদিহি করবেন।” (সহীহ বুখারী-৩৪৫৫। মুসলিম ৪৮৭৯)
প্রথম হাদীসে খলীফাকে ঢাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে ‘ঢাল’ শব্দটি নিরাপত্তা বা আত্মরক্ষার প্রতীক হিসাবে উল্লেখিত হয়েছে। মূলত: এ হাদীসে ইমামকে ‘ঢাল’ হিসেবে বর্ণনা করে ইমামের উপস্থিতির বিষয়টিকে প্রশংসা করা হয়েছে এবং সেই সাথে, ইমামের উপস্থিতির ব্যাপারে অনুরোধ (তালাব) জানানো হয়েছে।

ইসলামী শারী’আহ্’র নীতি অনুযায়ী যখন আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সা. আমাদেরকে এমন কোন কাজের ব্যাপারে অবহিত করেন যার সাথে তিরষ্কার সূচক শব্দ ব্যবহৃত হয়, তখন ধরে নেয়া হয় যে মুসলিমদের সে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিপরীতভাবে কুর’আনের কোনও আয়াত বা রাসূলের সা. কোনও হাদীসে যদি কোনও কোন কাজের ব্যাপারে প্রশংসা সূচক শব্দ উল্লেখিত হয়, তবে ধরে নেয়া হয় যে, মুসলিমদের সে কাজটি করতে উৎসাহিত বা আদেশ করা হয়েছে। আর, এ কাজটি যদি আল্লাহ্’র কোন আদেশ বাস্তবায়নের জন্য অবশ্য পালনীয় হয় কিংবা, এ কাজে অবহেলা প্রদর্শন করলে যদি আল্লাহ্’র কোন আদেশ লঙ্ঘিত হয়, তাহলে এটি অকাট্যাদেশ বা অবশ্য পালনীয় কাজ হিসাবে গৃহীত হয়।
রাসূল সা. এর পরে কেবলমাত্র খলীফাকেই বাই’আত দেয়া যায়। যা সুন্নাহ থেকে পরিস্কারভাবে আমরা জানতে পেরেছি। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে,
اَلْبَيْعَةُ لَاْ تَكُوْنُ إِلَّاْ لِوَلِيِّ أَمْرِ الْمُسْلِمِيْنَ يُبَايِعُهُ أَهْلُ الْحَلِّ وَالْعَقْدِ ، وَهُمْ الْعُلَمَاءُ وَالْفُضَلَاءُ وَوُجُوْهُ النَّاسِ ، فَإِذَا بَايَعُوْهُ ثَبَتَتْ وَلَايَتَهُ ، وَلَاْ يَجِبُ عَلَىْ عَامَّةِ النَّاسِ أَنْ يُبَايِعُوْهُ بِأَنْفُسِهِمْ ، وَإِنَّمَا الْوَاجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَلْتَزِمُوْا طَاعَتَهُ فِيْ غَيْرِ مَعْصِيَةِ اللهِ تَعَالَىْ
অর্থ: “বাইআ’ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র মুসলিম খলিফার। তার কাছে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ (গধহ ড়ভ চড়বিৎ ধহফ রহভষঁবহপব) বাইআ’ত দিবে। তারা হচ্ছেন উলামা এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। যখন তারা আমীরের কাছে বাইআ’ত দিবে তখন আমীরের কর্তৃত্ব সাব্যস্ত হবে। প্রত্যেক জনসাধারণ আমীরের কাছে আলাদাভাবে বাইআ’ত দেয়া ওয়াজীব নয়। বরং তাদের জন্য ওয়াজীব হচ্ছে আমীরের আনুগত্যকে অত্যাবশ্যকীয় করে নেওয়া আল্লাহর নাফরমানী ছাড়া।” (-বাইআতু জামাআতিত্ তাওহীদ ওয়াল জিহাদ)

উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে আমরা এটাও জানতে পারি যে, মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয় দেখাশুনার দায়িত্ব হচ্ছে খলীফাদের Ñযা কিনা প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের উপর একজন খলীফা নিয়োগ করার ব্যাপারটিকেই নির্দেশ করে। এছাড়া, আল্লাহ’র রাসূল সা. মুসলিমদের খলীফার আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং খলীফার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে কেউ তার সাথে বিরোধে লিপ্ত হলে তার সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা প্রকৃত অর্থে একজন খলীফা নিয়োগ করা ও তাকে শক্তিশালী করার সীমাহীন গুরুত্বের প্রতিই নির্দেশনা প্রদান করে। এটি একজন খলীফার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং খিলাফতকে যে কোনো অবস্থায় প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে হলেও রক্ষা করার এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ।

আব্দুল্লাহ্ বিন আমর বিন আল আস (রা.) হতে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন,
عَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صلى الله عليه و سلم َمَنْ بَايَعَ إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ إِنِ اسْتَطَاعَ فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَ الآخَرِ
অর্থ: “আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যেই ব্যক্তি ইমামের (খলীফার) বাইআ’ত করল এবং অন্তর হতে সেই বাইআতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করল, সে যেন যথাসাধ্য তার আনুগত্য করে। ইহার পর যদি কোন ব্যক্তি (ইমামত বা খেলাফতের দাবী তুলে) প্রথম ইমামের মোকাবেলায় দাঁড়ায়, তখন তোমরা পরবর্তী দাবীদারের ঘাড় সংহার করে দাও।” (সহীহ মুসলিম ৪৮৮২। সুনানে আবু দাউদ ৪২৫০; সুনানে নাসায়ী ৪২০২; মুসনাদে আহমদ ৬৫০১। )

অপর হাদীসে আরো ইরশাদ হয়েছে,
عَنْ عَرْفَجَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ ্র إِنَّهُ سَتَكُونُ هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ هَذِهِ الأُمَّةِ وَهْىَ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كَانَ س
অর্থ: “আরফাজা রা. বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: অচিরেই বিভিন্ন ধরণের নতুন নতুন বিশৃঙ্খলা ও কলহ-বিবাদের সৃষ্টি হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি এই উম্মতের (উম্মতে মুহাম্মদীর) ঐক্য ও সংহতির মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে চায় এবং তাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করে, তলোয়ার দ্বারা তোমরা তাকে শায়েস্তা কর। চাই সে যে-কেউ হোক না কেন।” (সহীহ মুসলিম ৪৯০২। মুসনাদে আহমদ ১৯০০০।)
عَنْ عَرْفَجَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ ্র مَنْ أَتَاكُمْ وَأَمْرُكُمْ جَمِيعٌ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ يُرِيدُ أَنْ يَشُقَّ عَصَاكُمْ أَوْ يُفَرِّقَ جَمَاعَتَكُمْ فَاقْتُلُوهُ
অর্থ: “আরফাজা রা. বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি: যদি কোন ব্যক্তি বৈধ ও নির্বাচিত খলীফার বিরুদ্ধাচরণ করবে সংকল্প নিয়ে তোমাদের নিকট আসে, অথচ অবস্থা হল যে, তোমরা কোন একজন খলীফা বা শাসকের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তবে যে লোক তোমাদের সেই ঐক্য ও সংহতিকে বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাকে কতল করে দাও।” (সহীহ মুসলিম ৪৯০৪)
অতএব, খলীফার আনুগত্যের আদেশটি প্রকৃতপক্ষে একজন খলীফা নিয়োগ করার আদেশ, কারণ একজন খলীফা উপস্থিত না থাকলে খলীফাকে মান্য করার আদেশটি রহিত (‘আদেশটি কার্যকরী হয় না’ - এভাবে বললে ভাল হয়) হয়ে যায়। আর, যারা খলীফার সাথে দ্বন্দে লিপ্ত হয় তাদের সাথে যুদ্ধ করার আদেশটি মূলত: একজন খলীফার উপস্থিতির বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বর্ধিত দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করে।
আর সাহাবীদের ইজ্মার বিষয়ে বলা যায় যে, তাঁরা (রা.) রাসূল সা. এর মৃত্যুর পর তাঁর সা. উত্তরাধিকারী হিসেবে একজন খলীফা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন। তাঁরা সকলেই আবু বকর (রা.) কে রাসূল সা. এর উত্তরাধিকারী হিসেবে এবং আবু বকর (রা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে উমর (রা.) কে নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে একইভাবে তাঁরা উসমান (রা.) কে এবং তাঁর মৃত্যুর পর আলী (রা.) কে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসাবে নিয়োগ করেন।
চলবে...

পূর্বের লেখা:
রাসূল সা. এলেন মদীনায়
রহস্যে ঘেরা মদীনা:
মদীনায় অবস্থানকারী জাতি-গোত্রসমূহ
ঈমানের আলোয় আলোকিত হৃদয়
নির্মিত হলো কুবা মসজিদ
সৌভাগ্যের রহস্য
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×