somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুদ্ধের যথোপযুক্ত সম্মান অথবা পূজা // চন্দন রিমু

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কারো চুলের পেছনে, নখের পেছনে, দাঁতের পেছনে ছুটে পূজার্চনা করে মানব জীবনের এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করা, আত্মশরণ হওয়া জরুরী। নিজেকে দেখা, নিজের মুক্তি অন্বেষণে দৃঢ় সংকল্প হওয়া জীবনের অন্যতম প্রধান প্রচেষ্টা হওয়া উচিৎ।

চুল, দাঁত, নখের দোহাই দিয়ে যারা মানুষকে ধর্মচর্চায় উৎসাহিত করছে, তারা অন্তরের দীপ জ্বালাবার সকল সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছে। ধার্মিকতার মোড়কে উল্লাস করছে দলবদ্ধ দৃষ্টিহীন পতঙ্গ। তাদের ফাঁদে মন দেবেন না, নিজের মগজ সক্রিয় করুন, সুরক্ষিত রাখুন।

নিজের মাঝে সন্ধান করুন, ভাবুন কিসে বন্ধী আছেন এবং কোন বন্দীদশা থেকে আপনার মুক্তি প্রয়োজন।

বহু রঙ ও নামের পোষাক পরিহিত ভাঁড় আর বাকপটু হকারদের কাছ থেকে রেডিমেইড মুক্তি কিনে ঠকা খাবেন না, (এসব বাজারি সং বাহারি মুক্তি জনসাধারণের বিকলাঙ্গ মস্তিষ্কের অন্যতম কারণ) কারো বুদ্ধির দাস হয়ে উঠবেন না।

অর্থহীন, অকর্মণ্য সমস্ত পূজার্চনা পরিহার করে একটি সুনিপুণ মানবিক হৃদয়ের অধিকারী হওয়া এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে নিজেকে আলোকিত করা মানবজন্মের সার্থকতা। এটাই বুদ্ধের সমগ্র শিক্ষার সারমর্ম।

পরিনির্বাণ সুত্রে বুদ্ধ বলে গেছেন_
আনন্দ! তথাগতের দেহপূজার জন্য তোমরা ব্যস্ত হইও না। নিজেদের মুক্তি অন্বেষণ করো, দৃঢ় সংকল্প হও।

হে আনন্দ! কোনো ভিক্ষু বা ভিক্ষুনী, উপাসক বা উপাসিকা ধম্মানুধম্ম প্রতিপন্ন ও ধম্মানুচারী হয়ে অবস্থান করে, বিচরণ করে, সে তারাই তথাগতের যথোপযুক্ত সৎকার করে, মানে এবং পরম পূজা করে।

অতএব ধম্মানুধম্ম সম্পন্ন ও ধম্মানুচারী হয়ে সর্বত্র অবস্থান এবং বিচরণ করবো, আনন্দ! তোমরা এই শিক্ষাই গ্রহণ করবে।
কারো চুলের পেছনে, নখের পেছনে, দাঁতের পেছনে ছুটে পূজার্চনা করে মানব জীবনের এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করা, আত্মশরণ হওয়া জরুরী। নিজেকে দেখা, নিজের মুক্তি অন্বেষণে দৃঢ় সংকল্প হওয়া জীবনের অন্যতম প্রধান প্রচেষ্টা হওয়া উচিৎ।

চুল, দাঁত, নখের দোহাই দিয়ে যারা মানুষকে ধর্মচর্চায় উৎসাহিত করছে, তারা অন্তরের দীপ জ্বালাবার সকল সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছে। ধার্মিকতার মোড়কে উল্লাস করছে দলবদ্ধ দৃষ্টিহীন পতঙ্গ। তাদের ফাঁদে মন দেবেন না, নিজের মগজ সক্রিয় করুন, সুরক্ষিত রাখুন।

নিজের মাঝে সন্ধান করুন, ভাবুন কিসে বন্ধী আছেন এবং কোন বন্দীদশা থেকে আপনার মুক্তি প্রয়োজন।

বহু রঙ ও নামের পোষাক পরিহিত ভাঁড় আর বাকপটু হকারদের কাছ থেকে রেডিমেইড মুক্তি কিনে ঠকা খাবেন না, (এসব বাজারি সং বাহারি মুক্তি জনসাধারণের বিকলাঙ্গ মস্তিষ্কের অন্যতম কারণ) কারো বুদ্ধির দাস হয়ে উঠবেন না।

অর্থহীন, অকর্মণ্য সমস্ত পূজার্চনা পরিহার করে একটি সুনিপুণ মানবিক হৃদয়ের অধিকারী হওয়া এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে নিজেকে আলোকিত করা মানবজন্মের সার্থকতা। এটাই বুদ্ধের সমগ্র শিক্ষার সারমর্ম।

পরিনির্বাণ সুত্রে বুদ্ধ বলে গেছেন_
আনন্দ! তথাগতের দেহপূজার জন্য তোমরা ব্যস্ত হইও না। নিজেদের মুক্তি অন্বেষণ করো, দৃঢ় সংকল্প হও।

হে আনন্দ! কোনো ভিক্ষু বা ভিক্ষুনী, উপাসক বা উপাসিকা ধম্মানুধম্ম প্রতিপন্ন ও ধম্মানুচারী হয়ে অবস্থান করে, বিচরণ করে, সে তারাই তথাগতের যথোপযুক্ত সৎকার করে, মানে এবং পরম পূজা করে।

অতএব ধম্মানুধম্ম সম্পন্ন ও ধম্মানুচারী হয়ে সর্বত্র অবস্থান এবং বিচরণ করবো, আনন্দ! তোমরা এই শিক্ষাই গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×