প্যারেডোলিয়া নামে একটি রোগ আছে, যেটিতে আক্রান্ত হলে চাঁদে মানুষের অবয়ব, মেঘে হাতির শুঁড়, ও গরুর মাংসে আরবি হরফে ‘আল্লাহ’ লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এটি একপ্রকার পার্সেপচুয়াল বায়াস। এ রোগীরা নানা বিষয়ে শুধু পছন্দের প্যাটার্ন খুঁজে পায়। তবে এর সাথে যখন সেলফ-সার্ভিং বায়াসের সমন্বয় ঘটে, তখন কগনাটিভ ডিজাস্টার অনিবার্য।
আবুল হোসাইন যদি সামান্যও চক্ষুষ্মান হতেন, তাহলে বুঝতেন— তিনি যে-প্রক্রিয়ায় মানুষের কংকালে 'আল্লাহ' ও 'মুহাম্মদ' খুঁজে পেয়েছেন, একই প্রক্রিয়ায় আবুল হোসাইনের কংকালে গুরু নানকের প্রতীক খান্দা, হিটলারের নাজি পার্টির প্রতীক স্বস্তিকা, এবং আরবি অক্ষরে 'শয়তান' শব্দটি আবিষ্কার করা সম্ভব।
ধার্মিক ও ধর্মান্ধ, এ দুটি এক জিনিস নয়। ধর্মকে হৃদয়ে ধারণ করে পালন করতে হয়। ধর্মীয় ধর্মের বদলে যারা রাজনীতিক ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করে, তাদের অন্ধত্ব বিপজ্জনক। বাংলায় 'আবুল' শব্দটি এখন যে-অর্থে ব্যবহৃত হয়, ঠিক সেরকম একটি কাজ এই ডক্টর আবুল হোসাইন করে ফেলেছেন। 'আধুনিক গরু-রচনা সমগ্র' বইয়ে 'ছাগল ও তার পিএইচডি ডিগ্রি' নামে যে-রচনাটি আছে, তার প্রাসঙ্গিকতা বাংলাদেশের সমাজে বহুকাল টিকে থাকবে।
লিখেছেন—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪৯