বাংলাদেশী মুসলমান তিন ধরণের আছে। এক শ্রেণী মূলতঃ বাঙালি, উদার, এবং বাঙালি হিন্দুদের পাশাপাশি শান্তিতে বাস করতে চায়। দ্বিতীয় শ্রেণী তালিবানি, মাদ্রাসা ছাপ, মনে করে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের বেঁচে থাকারই অধিকার নেই। বা থাকলেও, তাদের মুসলমানদের জুতোর সুকতলা হয়ে বাস করতে হবে, তাদের যখন খুশি নির্যাতন করা যেতে পারে, তাদের মেয়েদের ইচ্ছেমত ধর্ষণ করা যেতে পারে। তৃতীয় শ্রেণীটি সাধারণত সাতেপাঁচে নেই, কিন্তু যখনই দ্বিতীয় শ্রেণীরা হিন্দুনির্যাতন আরম্ভ করে, তখনই তারা দলে ভিড়ে লুটপাট, নির্যাতন, ধর্ষণ এসবে অংশ নেয়।
ভারত ও বাংলাদেশে আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, এই দ্বিতীয় শ্রেণীকে যতদূর সম্ভব বিনাশ করা। এই দ্বিতীয় শ্রেণী মূলতঃ কাপুরুষ, পঁচিশজন মিলে একজন অসহায় হিন্দুর পিছনে লাগতে এরা খুব দড়, কিন্তু হিন্দুরা একজোট হলে এদের কাঁপুনি উঠে যায়। এদের সম্বন্ধেই পশ্চিম পাকিস্তানী জল্লাদ নিয়াজী বলেছিল, "East Pakistan is a low lying land of low, lying people", পূর্ব পাকিস্তান একটি নীচু জমি, যেখানে নীচ, মিথ্যাবাদী লোকেরা বাস করে। সেইজন্যই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে দেখে এদের কাঁপুনি এবং তাকে কারারুদ্ধ করা।
জানালেন তথাগত রায়।