প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেই
কে যেন ডাকে আমায়,
বুকের ভিতর থেকে ডাকে.
মাথার ভিতর থেকে ডাকে,
ডেকে বলে, “সব ভুলে যেতে নেই,
শুদ্ধ মানুষ সব ভুলে না”।
আমি জানিনা আমি কিভাবে শুদ্ধ হবো ?
আমার শুদ্ধতার গায়ে অশুদ্ধতা
লেপ্টে থাকে পোষা বিড়ালের মতো।
আমার অশুদ্ধতাকেও আমি
ভালোবেসে ফেলি সব ভুলে।
অশুদ্ধতায় আমি ভুলে যাই
ভালোবাসার মানুষদের কথা,
অভিমান আর বিরহের কথা,
প্রতারিত হওয়ার গল্প,
প্রতারিত করার গল্প,
বুকের নষ্ট জমিনের কথা,
প্রতিশোধের গল্প,
আমি ভুলে যাই - সব ভুলে যাই ।
আমার এই অশুদ্ধতা,
এই অক্ষমতা,এই ভুল
আমাকে অভিনয় শেখায়- বারবার
ভালো থাকার অভিনয় ।
অশুদ্ধতায় আমি নিজেকেই ভুলতে বসেছি,
তাই আমি বুঝিনা,
বুক আর মাথার ভেতর কে ডাকে?
এই অক্ষমতায় বুক আর মাথার ভেতর আগুন ধরে যায় ।
নদীতে ডুব দেব ভেবেছি,
আগুন নিভানোর জন্য,
নদীর জল অপবিত্র হয়ে যাবে
এই ভয়ে তাও পারি না
তাই আমার বুক পুড়ে যায় ,
মন পুড়ে যায়,
পুড়ে যায় সব
পুড়ে যায় আর পুড়ে যায়
পুড়েনা শুধু আমার অশুদ্ধতা।
এখন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি
আমি তীব্র হাহাকার নিয়ে,
এক সময় বুকের ভিতর কেঁদে ফেলি
চিৎকার করে মাথার ভেতরই বলি,
“ এক জীবনে আমার আর
শুদ্ধ হওয়া হলো না।"
—————————-
রশিদ হারুন
কাব্যগ্রন্থ- সময় ভেসে যায় বৃষ্টির জলে
১৮/০১/১৮
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৮