somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

কর্মস্থলে নারী এবিউজিং বন্ধ হোক এখনই....

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কর্ম স্থানে নারী এবিউজিং আসলে কিঃ সাধারণত কথা বা আচরণের মাধ্যমে নারী এমপ্লয়ীদের কর্মস্থানে শারিরীক ও মানসিক ভাবে উত্যক্ত করাকে এবিউজ করা বলা হয়। এতটুকু ভদ্র ভাষায়। একটু ডিটেইলস বলতে গেলে যা দাঁড়ায় তা হলো -
একজন মেয়ে কর্মচারীর শরীরে হাত দেয়া, কথার মাধ্যমে যৌনতার প্রতি উত্যক্ত করা, যে কোন আচরণের মাধ্যমে যৌন সুড়সুড়ি দেয়াকে এবিউজিং বলা হয়। এবিউজিং অনেক রকম হতে পারে। যেমনঃ ডিসক্রিমিনেশন, বুলিয়িং, বায়োল্যান্স, হ্যারাজমেন্ট এগুলোও এবিউজিং।

আমাদের দেশের কর্পোরেট অফিস গুলোর কমন দৃশ্য সাধারণত নারী এমল্পয়ীদের সিনিয়র কর্মচারীরা প্রলোভন দেখিয়ে থাকে।কেউ কেউ মাসেল দেখিয়ে প্রলোভন দেখায়, কেউ সেলারি ইনক্রিমেন্ট এর প্রলোভন দেখায়, কেউ জবচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে হীণ স্বার্থ চরিতার্থ করে। মেয়েরা চাকুরী হারানোর ভয়ে নিরবে সব সহ্য করে যায়। এসব অফেন্সিভ বিহেভিয়র প্রতিটি অফিসের কমন একটি চিত্র। সেক্সুয়াল কনডাক্ট এর সাথে কম্প্রোমাইজ করেই মিলিয়ন মিলিয়ন নারীরা জব করে যেতে বাধ্য হচ্ছে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা নামক জঘন্য মহামারীর কারণে।

কিছু নিকৃষ্ট মানুষের মানসিকতা হলো, একটা নারী যে ছেলের কাছে নিরাপদ সে পুরুষ কিনা সন্দেহ। এরাই ধর্ষক। প্রতিদিন আমাদের সমাজে কত নারী ঘুরে বেড়ায়। আমাদের ঘরে বাইরে অফিসে কত নারী কাজ করে। তাদের প্রতি আপনার আচরণ মানুষের মতো হবে নাকি জানোয়ারের মতো হবে, তা আপনার মগজের উপর এবং ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার উপর নির্ভর করবে।একটি কর্মরত মেয়ে যে পুরুষের কাছে নিরাপদ সে মানুষ, আর যার কাছে অনিরাপদ সে আসলে ধর্ষক।

একটি ঘটনা শেয়ার করিঃ
গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে, লিনার গ্রুমিং স্কুল থেকে একটা ওয়েল গ্রুমড মেয়ে। ধরে নেই ওর নাম সানজিদা। একটা শোতে বাংলাদেশের এক বিখ্যাত কোম্পানির এম ডি সাহেব এটেন্ড করেন। তার সাথে ছিল খুবই স্মার্ট হ্যান্ডসাম, উঁচা,লম্বা,বডি বিল্ডার ওয়েল ম্যানারড একটা ছেলে পি এস। শোতে মেয়েটির রেসপন্সিবিলিটি ছিল ভি আই পি গেস্ট দের রিসিভ করা ও হসপিটালিটি নিশ্চিত করা। মেয়ে তার কাজের প্রতি অনেক নিবেদিত প্রাণ। ৬/৮ মাস গ্রুমিং করা মেয়ে গুলোকে আপনি আপনার কোম্পানির জন্য চোখ বন্ধ করে হায়ার করতে পারবেন। কনফিডেন্ট লেভেল এতোটাই গ্রো করে যে, সব কঠিন কাজকে ওদের কাজে সহজ মনে হয়। এরা নিজেকে এতো যোগ্য হিসেবে তৈরী করে যে, এদের কাজ খুজতে হয়না। কাজ এদের খুঁজে।তো সানজিদা যখন এম ডি সাহেব কে রিসিভ করতে গেসে, তখনই ছেলেটি সানজিদা কে টার্গেট করে। সানজিদা হসপিটালিটি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে ছেলেটি সানজিদার ভিজিটিং কার্ড খোজে। সানজিদা প্রফেশানাল ওয়েতে কার্ডটি দেয়। ঐ দিন রাতেই ফোন আসে ছেলেটির মোবাইল থেকে।

'আপনি অনেক স্মার্ট, অনেক ভালো জব ডিজার্ভ করেন, আমাদের একজন কাস্টোমার রিলেশনশিপ ম্যানেজার দরকার, আপনি পারফেক্ট , চাইলে ইন্টারভিউ দিতে পারেন, আমাদের এম ডি আপনার হসপিটালিটি এবং এক্টিভিটিজে ভিষণ সন্তুষ্ট। আপনি একটা ইন্টারভিউ দিতে পারেন, আগেই বলেছি, এই এডুকেটেড ওয়েল গ্রুমড মেয়েরা এতো স্মার্ট এবং কনফিডেন্ট যে, যে কোন জব এর জন্য ফিট। বিশেষ করে এদের বডি ল্যাংগুয়েজ, এক্সপ্রেশন, ওয়ে অফ টকিং, প্রেজেন্টেশন, গেটাপ,ড্রেসাপ এবং ক্লিয়ার ভয়েজ টোন এর কারণে অন্য মেয়েদের থেকে আলাদা। প্রথম দিনেই সিলেক্টেড। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরের দিন ঐ ছেলেটির পক্ষ থেকে ফোন আসে। একদিন কফি খাওয়ার অফার করে। এবং বাজে ইংগিত করে তার নিজের মতো।(পাঠক কে এখানে বুঝে নিতে হবে ছেলেটার ইনটেনশান)| মেয়েটির জবের অভাব নেই। তাই জব রিজেক্ট করে। পরে সে অফিস থেকে ওর কাছে ফোন আসলে, সে এমডি সাহেবের সাথে সব শেয়ার করে।এমডি ঐ ছেলেকে ফায়ার করেন এবিং সানজিদাকে খুব ভালো সেলারি তে নিয়োগ দেন।

উক্ত ঘটনা বলার কারণ হলো সব স্থানে ভালো এবং পার্ভাট আছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।


- লিনার স্কুল থেকে গ্রুমিং করা একজন কর্পোরেট গার্ল।

ফিমেল ভয়েজে আইয়ুব বাচ্চুর 'হাসতে দেখো গাইতে দেখো' গানটি শুনুন। অসম্ভব নস্টালজিয়া ♥️
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৫
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮


আমি যখন স্কুলে পড়তাম, দুপুরের শিফটে ক্লাস ছিল। একদিন স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি ছোটো মামা সংসদ টিভিতে অধিবেশন দেখছেন। কৌতূহল হলো, মামা এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন। আমিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×