
কোন মুক্তিযোদ্ধা যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেন কিন্তু ওঠাবসা সব দেশদ্রোহী স্বাধীনতার শত্রুদের সাথে তখন বুঝে নিতে হবে তিনি আর মুক্তিযোদ্ধা নন। ৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন ঠিকই কিন্তু আজ দেশদ্রোহী দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ধ্বংসের নীল নকশা আঁকছে তা আমাকে ভিষণ ভাবে রক্তাক্ত করে।
যে রাজাকাররা আমাদের অস্তিত্ব পর্যন্ত বিপন্ন করে দিচ্ছিল, যে বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত করার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের তাদের সাথে দল বেঁধে একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন অন্য আরেকজন মুক্তিযোদ্ধাকে আক্রমণ করতে দেখি, চিহ্নিত রাজাকারদের সাথে যখন গলায় গলায় পিরিতি করতে দেখি তখন, প্রিয় হুমায়ুন আজাদের সেই প্রবচনটি মনে পড়ে যায়, "মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়"।
একবার রাজাকার মানে চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়। ১৯৭১ সালে প্রিয় এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য যারা লড়াই করেছিলেন আমরা তাদের জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।কিন্ত একাত্তরের সেই সূর্য সন্তান, সেদিনের একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন হিংসার খেলায় মত্ত হয়ে উঠেন, তখন স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে তাদের কর্মকাণ্ডে ভীষণ লজ্জিত হই আমরা।
শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদের মতো আমিও তাদের ঘৃণা করি যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু এখন দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভুলে গিয়ে দেশদ্রোহী রাজাকারদের সাথে একই প্ল্যাটফর্মে সিন্ডিকেট করে স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় শক্তিকে নোংরা এট্যাক করে।
যিনি একসময় মুক্তিযুদ্ধ করে আমাদের প্রিয় দেশ উপহার দিয়েছেন যখন দেখি তার সমস্থ কার্যকলাপ, মেলা মেশা, ওঠা বসা জামাত শিবিরের সাথে তখন তার প্রতি আমার কোন শ্রদ্ধা নেই।
এরা মুক্তিযোদ্ধা দের সঠিক সংখ্যা পর্যন্ত বদলে ফেলার নোংরা ষড়যন্ত্র করে। দেশের অভ্যন্তরীণ তথ্য বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রয়াস চালায়। এদের মুক্তিযোদ্ধা বলে অনুগ্রহ পূর্বক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দের অসম্মান করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




