আমরা যে সমাজে বাস করি, তাকে কি ‘মানুষের সমাজ’ বলা যায়??
এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিতে/পেতে চাইলে প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে আসে আরো কিছু প্রশ্ন :
প্র : সমাজ কী?
উ : একজাতীয় প্রাণীর(বিশাল)দল বা সমাবেশ।
প্র : মানুষের সংজ্ঞা কী?
উ : আমরা সবাই জানি,
‘প্রাণ থাকলে প্রাণী হয়,মন না থাকলে মানুষ হয় না’
তাহলে বোঝা গেল , মনই মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য যা অন্য
প্রাণী থেকে মানুষকে আলাদা করেছে।
প্র : মন কী?
উ : অন্তরিন্দ্রিয়,হৃদয়,চিত্ত।
প্র : ‘মন থাকা’ মানে কী?
উ : ‘হৃদয়বান’ হওয়া।
প্র : হৃদয়বান অর্থ কী?
উ : উদারচিত্ত,সহানুভূতিশীল।
প্রশ্ন : আমরা সবাই কি উদারচিত্ত? আমরা সবাই কি সহানুভূতিশীল?
উত্তর : অবশ্যই না । (অনেক মানুষ(!!)-ই সহানুভূতি কী জানে না;তাদের জন্য আরো একটি সংজ্ঞা দিতে চাই না)
তাহলে এই দাঁড়ালো যে ----- আমাদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষরূপী ‘অ-মানুষ’ আছে ।
মানুষের সমাজে এতো অমানুষ আসলো কোত্থেকে??
তবে কি ‘সমাজের মানুষ’ রা এখনো ‘মানুষের সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি !?
মানব সমাজ গঠনের এতকাল পরও ‘সমাজের মানুষ’ দের এই ব্যর্থতা আমাকে হতাশ করে।
কারণ,আমি এই সমাজেরই একজন মানুষ ।।
বি.দ্র.
১) আতলামি করতে ইচ্ছা হল,তাই করলাম।
২) দয়া করে কেউ আক্রমণ করবেন না; আমি একজন ছাপোষা ব্লগার।
৩) অমানুষ কেউ যদি থেকে থাকেন : দয়া করে মানুষ হন। জন্মগতভাবে আপনি মানুষ ছিলেন;তবে কেন অমানুষ হিসেবে বেঁচে থাকবেন ! মনকে জাগ্রত করুন। তাকিয়ে দেখুন, মানুষেরা আপনাকে ঘৃণা নয়,সহানুভূতির চোখে দেখছে ।তবে মনে রাখবেন ,সহানুভূতি একটি মানবীয় গুন;একে দুর্বলতা ভাবাটা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।
৪)পোস্টটা ভাল না লাগলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন।আমি একজন নতুন ব্লগার।ভুল হতেই পারে।।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



