এএফপি : বেলজিয়ামে মুসলিম মহিলাদের আপাদমস্তক ঢাকা পরিধেয় বোরকা অথবা মুখাবয়ব ঢাকার কাপড় হিযাব-নেকাব নিষিদ্ধে একটি নতুন আইন হতে যাচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন যাবত বোরকা-হিযাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে যে বিতর্ক ও নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জোরালো কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল তার পক্ষে এখন এই নতুন আইনটি পাস হতে যাচ্ছে বেলজিয়ামে। এ বিষয়ে বেলজিয়ামের পার্লামেন্টের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট গ্রহণের কথা ছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু সেদিনই প্রধানমন্ত্রী রাজা দ্বিতীয় এ্যালকারেটর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে দেশে গুরুতর রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। এই রাজনৈতিক সঙ্কট উদ্ভবের পরিপ্রেক্ষিতে এই তাৎপর্যপূর্ণ এজেন্ডাটি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত হয়ে যায়। তবে আইনটি পাস হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই আইনটি পাস হলে ইউরোপের মধ্যে বোরকা-হিযাব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রথম দেশ হবে বেলজিয়াম। ইতিপূর্বে ফ্রান্সে বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে বয়ে যায় তুমুল বিতর্কের ঝড়। গত বছর স্বয়ং ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি বলেন, বোরকা ও হিযাবকে এদেশে কখনোই স্বাগত জানানো হবে না। তখনই ওঠে বিতর্কের ঝড়। এর মধ্যেই একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করে তাদের উপদেশে সে দেশের হাসপাতালগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয় বোরকা ও হিযাব পরিধানের প্রথা। বেলজিয়ামের পার্লামেন্টে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপনের আগে একটি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে দেশের গ্রিন পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য স্টেফান ভন হেক বলেন, এদেশে বহিরাগতদের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের স্বার্থে এটা অবশ্যই হওয়া দরকার। কারণ, কথা বলার সময় একে অপরের মুখ দর্শন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়-রাস্তাঘাট, বাজার ও শপিং সেন্টারে চলাচলে নিরাপত্তার জন্য মুখ দর্শন খুবই জরুরি। এটা না হলে কাপড় দিয়ে পুরো শরীর ও মুখ ঢেকে রেখে যে কোনো সময় খুব সহজে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানো যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



