আকাশে আজ চাদ নেই। কেনো নেই, তারও নির্দিষ্ট scientific theory রয়েছে। কিন্তু সাহিত্য কখনও বিজ্ঞানে কর্ণপাত করেনা।
চাদের অনুপস্থিতিতে তারা গুলো আজ একক আধিপত্য করছে। পুরো আকাশের বুক জুড়েই তারাদের একছত্র অবস্থান। আবার মেঘের সাথে চলছে অনবরত লুকোচুরি খেলাও।
কুঞ্জের ছায়া পথ ধরে হাটছি, আর খন্ড খন্ড মেঘ এবং তারাদের লুকোচুরি খেলা দেখছি। এই খেলার গহীনে তারাদের চোখে কেমন লাজুকলতা ফুটে উঠছে। ফুটে উঠছে কেমন ব্যকুলতাও। তাদের এই লাজুক এবং ব্যকুলতা আমার মাঝে কেমন জানি শিহরনের যোগান দিচ্ছে। ছুয়ে যাচ্ছে প্রতিটি লোমের অগ্রভাগ পর্যন্ত।
আমি হিমু নই। হিমু হওয়ার ইচ্ছেও নেই। তবুও হিমুর মতো হাটছি, উদ্দেশ্যহীন ভাবেই হাটছি। হিমু হাটে খালি পায়ে, হলুদ পাঞ্জাবী পরে। আর আমি জুতা পায়ে সাদা পাঞ্জাবী পরে। আমার আর হিমুর চিন্তাধারায়ও অনেক পার্থক্য রয়েছে। উদ্দেশ্যহীন ভাবে রাস্তায় হেটে হেটে সকলভ অযাচিত বিষয় আবিষ্কার করাই হিমুর কাজ। আর আমি! উদ্দেশ্যহীন পদযাত্রায় সৃষ্টির মধ্য হতে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুজে বের করাই আমার কাজ।
স্রষ্টার সৃষ্টির এই রহস্যময়তা দেখি, আর আফ্লুত হই। ইচ্ছে করে, সেজদাবনতচিত্তে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শ্রেষ্ঠত্ব গাইতে। আর চিৎকার করে বলতে, 'ওগো স্রষ্টা! তোমার art এর তুলনাই নেই।