সিগারেটে প্রথম টান দিয়ে বিতিস্টা লেগে উঠলো। ফেলে দিলাম। শরীর খারাপ করার প্রথম ধাপ হচ্ছে এটি। চা-সিগারেট কিছুই রুচিতে লাগবেনা। শরীরটা তাহলে সত্যিই খারাপ করেছে। হাটা শুরু করলাম। শহরটা গত ৩ মাসে অনেকটা বদলে গিয়েছে। চওড়া এবং রঙিন টাইলসে মুড়ানো বড় রাস্তার ফুটপাত ধরে হাটতে মোটেও মন্দ লাগছেনা। একটুখানি আফসোস হচ্ছে। ১৪টাকা দাম একটা বেনসন সিগারেটের। একটান দিয়েই ফেলে দিলাম; নিছক অপচয়।
শরীর খারাপ করলে মন অস্থির হতে শুরু করে। সাব-কনশাস মাইন্ড অতি মমতাবোধে জেগে উঠে। এই মুহূর্তে একজন রুপবতী রমনীর প্রতি মমতাবোধ হচ্ছে; চরম মমতাবোধ। মমতাবোধের মাত্রা এতটাই প্রকট যে; কান্না পেয়ে যাচ্ছে। আহারে!
এক মায়াবতী রমনী; যার সাথে খুব অল্প কিছু সময় কাটিয়েছি। এতটাই অল্পযে তার কোনো নাম দেয়া হয়নি। গল্পের স্বার্থে একটা নাম দেয়া যাক। আতস! এই গল্পে আমি তাকে আতস বলে সম্বোধন করবো। আতস একমাত্র এবং প্রথম নারী; যে আমাকে প্রেম আবেদন জানিয়েছে। আমাকেও ভালোবাসা যায়, এর আগে আমার সেই ধারণাই ছিলোনা।
মাস দুয়েকের গভীর সম্পর্কে আতসেরর সাথে আমার শেষ কথা ছিলো- 'দেখুন, আমি যদি হারিয়ে যাই; শত খুঁজেও আর পাবেননা। হাজার আফসোস হলেও তখন আর লাভ হবেনা।' সত্যিই তাই হলো। আমি তারে খুঁজে বেড়াচ্ছি পাগলের মত, অথচ বলতে পারছিনা। শঙ্কা, লজ্জা, ভয়।
চাঁদ টা বড় হচ্ছে, সাথে হুরহুর করে দুঃখ গুলোও ঘাঢ় হচ্ছে। আতসের চোখ গুলো আমাকে ভয়ঙ্কর ভাবে বিদীর্ণ করে। আর আট দশটা বাঙালী মেয়েদের থেকে আতসের চোখ ছিলো আলাদা। আমি তারে প্রায় বলতাম- 'আপনার চোখ গুলোর দাম জানেন? অর্ধ পৃথিবীর দামের সমান। পৃথিবীর কোনো মানুষের স্বামর্থ্য নেই এই চোখের মালিকানা দাবি করার।' এই মুহূর্তে ইচ্ছে করছে, আতসের চোখের মালিকানা দাবি করার। আমার চাওয়া গুলো এতটাই অসামঞ্জস্য ক্যানো?
শহরে শীত বাড়ছে। শরীর কেপে কেপে উঠছে। জ্বরটাও বোধহয় আসলো। শরীরটা আর হাটতে চাচ্ছেনা। এনার্জী ফল করছে বোধহয়। ঘরে ফেরা যাক!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৮