somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনার প্রতিষ্ঠানে আমাদের মেয়েদের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ বজায় রাখুন...

২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকেলে অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলাম।

এমন সময় ২৪/২৫ বছরের একটি মেয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলো। খানিকটা হাঁপাচ্ছে সে।

কিছু সময় ভ্রু কুচকে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজ অবদি এমন ঘটনা ঘটেনি যে কোন শ্রমিক অনুমতি ব্যতীত দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়েছে।

দরজার বাইরে আড়ালে সিকিউরিটি দাঁড়িয়ে আছে। সেও বোধহয় কিছুটা হতভম্ব ও বিব্রত।

মুখের ভঙ্গি কিছুটা হাসি হাসি করে পরিস্থিতি যথাসম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম।

মেয়েটি কাঁপা গলায় বলল, "ছার আমি এইখানে লেবারদের জন্য রান্না করি।"

কিছুটা হেসে বললাম, "ও আচ্ছা, বেতনের বিষয়ে কিছু বলবে?"

"জি না"

"ছুটি লাগবে?"

"জি না"

এমন সময় চেয়ে দেখলাম, মেয়েটির চোখ দুটো টলমল করছে। মনে হলো জল গড়িয়ে পড়বে।

"কী সমস্যা বলো তো? কারো অসুখ করছে?"

"জি না ছার।"

"আচ্ছা বলো কেন এসেছ?"

"ছার, শাওন ছার আমারে পেছন তে ঝাপটায় ধরছে।"

প্রথমে ঠিক বুঝতে পারলাম না। তারপর ধরা গলায় ঘটনার খানিক বর্ণনা দিল মেয়েটি। কারখানার প্রডাকশন ম্যানেজার তাকে পেছন থেকে ঝাঁপটে ধরেছে। হাত ধরে একটি রুমে নেবার জন্য টানা-টানিও করেছে।

ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে ডাকলাম। সে বলল, বিষয়টি সে মীমাংসা করেছে। শাওন কে শাসিয়ে বলেছে- ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ আর না করে।

বললাম, "আপনার বোন কিংবা স্ত্রীকে যদি এভাবে কেউ পেছন থেকে ঝাঁপটে ধরে তবে তাকে কি শুধু শাসিয়েই ছেড়ে দেবেন?"

"জি না।"

বুঝতে পারলাম, ব্যাপারটা কোন রকম ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলছিল। শাওনকে ডাকা হলো। মেয়েটিকে বললাম,"তোমার পায়ের জুতা খুলে ওকে বাইরে নিয়ে সবার সামনে জুতা পেটা করো।

কোথা থেকে যেন রাজ্যের শক্তি ভর করলো মেয়েটির শরীরে। সে চপা-চপ জুতা পেটা করতে লাগলো শাওনকে। শাওনের দু'গালে স্যান্ডেলের তলার দাগ স্পষ্টাকারে ফুটে উঠেছে।

তারপর মেয়েটিকে বললাম, "নিচে থুতু ফেলে ওকে চাটতে দাও। একটু ভালো মতো ফেল, থুতুতে যেন বেশি করে কফ থাকে।"

সে গলা কেশে কফসহ থুতু ফেললো নিচে। শাওনকে দিয়ে সেই থুতু চাটানো হলে।

তারপর বললাম,"ওর কানের গোড়ার চুল ধরে ভালো মতে টেনে দাও।"

মেয়েটি এমন ভাবে টানলো যে, তার চিমটিতে কয়েকটি চুল ছিড়ে এলো।

পুলিশে দিতে চাইলে মেয়েটি বাঁধা দিয়ে বলল, "ছাইড়া দেন ছার অর জনমের শিক্ষা হইছে।"

বললাম, "ছেড়ে যখন দিতে চাচ্ছ, তবে রোলার দিয়ে অর পেছনে গুনে গুনে দশটা বাড়ি মারো।"

মেয়েটি তাই করলো।

তারপর হারামজাদাটাকে তৎখনাত পাওনা মিটিয়ে কষে পাছায় লাথি মেরে কারখানা থেকে বিদায় করে দেয়া হলো।

এসব হারামজাদাদের কোন ক্ষমা নেই। প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা এসব বদমাশদের কর্মকাণ্ডকে সামান্য শাসিয়ে কেউ ধামা-চাপা দেবার চেষ্টা করবেন না প্লিজ। এদের নগদে জুতা পেটা করে থুতু চাটিয়ে পাছায় লাথি মেরে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় করুন...। আপনার প্রতিষ্ঠানে আমাদের মেয়েদের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ বজায় রাখুন...।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×