শুরুতেই বলছি, মিন্নির চরিত্র খারাপ, মিথ্যাবাদী এবং সে এখানে সাধু নয়। ঠিক আছে তার এসবের সুক্ষ্ম ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হোক।
কিন্তু, যারা দিনের আলোতে কুপিয়ে রিফাত শরিফকে হত্যা করেছে আর যেসব গডফাদারের ছত্রছায়ায় লালিত হয় নয়ন বন্ড ও ফরাজিদের ০০৭ নামের সন্ত্রাসী গ্রুপ, ওরা (শম্ভু বাবুরা) কী শুধুই সাধু?
এমপির পুত্র মানববন্ধনের মাধ্যমে সরাসরি কুপিয়ে হত্যাকারী রিফাত কিংবা রিশান ফরাজির বিচার চায়নি। সে শুধু মিন্নির বিচার চেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাতে মানববন্ধনে নেমেছে। মিন্নি বারবার বলেছিল যে তার শ্বশুরের উপর, উপর মহলের চাপ রয়েছে বিধায় এতদিন পর শম্ভু বাহিনী উনাকে দিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। যেখানে আমরা এমপির পুত্রকে উপস্থিত দেখেছি। এমপি পুত্রের এত আয়োজনের পরেই মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ, ১ নাম্বার সাক্ষী মানেই সবচেয়ে বিশ্বস্ত। এই মামলার এক নাম্বার এবং একমাত্র সাক্ষী ছিলো মিন্নি।
এমপির পুত্র মিঃ সুনাম দেবনাথ ফেইসবুক স্ট্যটাসে লিখেছেন রিফাত হত্যাকারীদের একজনকেও যেনো কোনো আইনজীবী আইনী-সহায়তা না প্রদান করে।
তার জের ধরেই মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী জীবন বাঁচানোর ভয়ে কোটে দাঁড়াননি।
পরিশেষে, মিন্নির পক্ষে আইনজীবীরা দাঁড়াবে শুনেই পাঁচ দিন রিমান্ডের যায়গায় মাত্র দু'দিনের মাথায় শুক্রবারে বন্ধের দিনে তাও বিকেল বেলায় মিন্নিকে কোর্টে উঠিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। এমনকি আদালতের সামনে কথা বলতে চেয়েছিলেন মিন্নী কিন্তু মুখ চেপে ধরলেন পুলিশ। ___ মিন্নির বাবা
বিষয়টি সন্দেহজনক।
মামলার প্রভাবশালী আসামী রিফাত বা রিশান ফরাজিকে বুলেট প্রুফ জেকেট পরিয়ে জামাই আদরে এরেস্ট করা হলো। অথচ, শুধু টোকাই নয়ন বন্ডকে সুপরিকল্পিতভাবে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হলো।
অথচ নয়নকে জীবিত ধরে বিচারের আওতায় আনলেই সকল সত্য পানির মত পরিস্কার হয়ে যেত।
তবে কার ইশারায় এবং কাদেরকে বাঁচাতে সত্য ঘটনা ধাপাচার জন্য নয়নকে এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হলো?
আবারও বলছি, নয়ন বেঁচে থাকলে বিচার কোনোভাবেই ভিন্নভাবে প্রবাহিত করা যেত না।
তবে কী বিচারকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতেই এ নাটক?
এতেই প্রমাণিত হয় যে মামলার নেপথ্যের ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়ে গডফাদারদের বাঁচানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে নেমেছে ওরা।
সুতরাং ওদের উপর আস্থা রাখা কিভাবে সম্ভব?
কারণ আমরা জানি, নুসরাতের ঘটনাকেও সর্বপ্রথম অন্যভাবে প্রভাহিত করার জন্য মাঠে নেমেছিলো অসি মোয়াজ্জেমসহ কিছু সংবাদ মাধ্যম।
বিঃ দ্রঃ নয়ন বন্ড এবং রিফাত শরিফের মাঝে বন্ধুত্ব ছিলো যেমন সত্য ঠিক মটর সাইকেল চোরাচালানীর ব্যবসায়ের দ্বন্দ্বের জের ধরে দু'জন দু'জনের শত্রুতে পরিনত হওয়াটাও সত্য।
মনে রাখতে হবে যে, মিন্নি মিথ্যাবাদী এবং চরিত্রহীন হলেও, সরাসরি কুপিয়ে হত্যাকারী নয়। ভুলে গেলে চলবেনা যে, এক নয়ন বন্ড মরে গেছে কিন্তু সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চোরাচালানি এবং মাদক সম্রাজ্যের পাপ মোছন না হলে অর্থাৎ শম্ভু বাবুদের বিচার না হলে দিনেদিনে ওদের ছত্রছায়ায় হাজারো নয়নের জন্মের মাধ্যমে অভিশাপ মুক্ত হবে না আমাদের প্রানের স্বদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৭