হাসু বিয়ের সাত মাস পরে ঢাকা চলে এলো স্বামীর সাথে। নতুন সংসার। দু কামরার ঘর। হাসুর সেই অনেক দিনের স্বপ্ন। ছিমছাম গোছানো একটা সংসার। শুধু স্বামী আর হাসু থাকবে সংসারে। হাসু রান্না করে রাখবে। স্বামী অফিস থেকে ফিরে এলে দুজনে মিলে খাবে। গল্প করবে। তরকারীতে লবণ কম হলে স্বামী বলবে, এ ছাইপাস কি রান্না কর? মুখে দেয়া যায়না।
হাসু তখন অভিমান করে না খেয়ে উঠে যাবে। কঠিন অভিমান। সহজে ভাংতে নেই। হাসুর চোখের জল দেখে স্বামী বেচারা অস্থির হয়ে যাবে। স্বামী বলবে, তরকারী অতি সুস্বাদু হইছে, লবণ কুনো সমস্যাই না বউ। এমন তরকারীই আমার পছন্দ।
হাসুর সে স্বপ্ন এখন সত্যি। স্বামীর নাম আবুল কালাম। সে গার্মেন্টসে চাকরি করে। সুপারভাইজার। মাইনে কত তা এখনো বলেনি হাসুকে। জিজ্ঞেস করলে মুখ টিপে হাসে। বলে, মেয়েদের বয়স আর ছেলেদের বেতন জিজ্ঞেস করতে হয়না। হাসুর তখন রাগ হয়। ভাবে আমাকে বললে কি এমন ক্ষতি? আবুল কালাম বলে চল আজকে সিনেমা দেখে আসি, শাকিব খানের নতুন ফিল্ম, বাবা কেন রিক্সাওয়ালা। হাসু অভিমান ভুলে সাজতে বসে যায়। বাংলা সিনেমা তার খুবই পছন্দ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



