somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

1971 সালের কোনো কাদা নাকি জামাতের গায়ে লাগে নাই!

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'1971 সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সবচেয়ে সক্রিয় দল ছিল জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান। এই দলটি সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের শুধু বিরোধিতা করেনি, তার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ (পরবর্তীকালে এর নাম রাখা হয় ইসলামী ছাত্র শিবির)-কে নিয়ে পাকিস্তান রার জন্য তারা সশস্ত্র দল পর্যন্ত গড়ে তোলে। সারাদেশে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে হত্যা, ধ্বংস, লুট ও নারী ধর্ষণকে এরা শুধু সমর্থন, প্রত্য অংশগ্রহন ও সহযোগিতাই করেনি, এই দলটি শিতি মধ্যবিত্ত, ছাত্র, শিক, বুদ্ধিজীবি ও সাংবাদিকদের এরাই নির্বিচারে ধরে ধরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং 'গণিমতের মাল' বলে হাদিসের তাত্তি্বক ব্যাখ্যায় বাঙালী মেয়েদের জোর করে ধর্ষণ করাকে সিদ্ধ বলে ঘোষণা করে।'
'কিন্তু আদর্শবাদের নামে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রসংঘের এই নিষ্ঠুর পৈশাচিক আচরণের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, এটা তাদের জন্যে মোটেই অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কারণ যে আদর্শবাদে এ দলটি সংগঠিত, তার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে এসব ফ্যাসীবাদী কার্যকলাপ।'
'জামায়াতে ইসলামীর জনক মাওলানা মওদুদী তার প্রচারিত আদর্শে একথাই বারবার প্রকাশ করেছেন যে, অস্ত্র ছাড়া আদর্শ কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। মাওলানা মওদুদী কর্তৃক লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন যে, তলোয়ারের জোরেই ইসলাম দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দাওয়াতে নয়। মাওলানা মওদুদীর 'আল জেহাদ ফিল ইসলাম' গ্রন্থে আছে,
"রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াসাল্লাম তের বৎসর পর্যন্ত আরবকে ইসলামের আহবান জানাইতে থাকেন , মানুষকে বুঝাইবার জন্য যত প্রকার উৎকৃষ্ট পন্থা আছে তাহা অবলম্বন করেন , যুক্তি প্রমাণ দেন...। তিনি সত্য প্রকাশ ও সংস্থাপনের জন্য উপযোগী কোন উপায় বাদ দেন নাই।... কিন্তু ওয়াজ নসিহত ব্যর্থ হওয়ার পর ইসলামের আহবায় তলোয়ার হাতে লইলেন...। তিনি (সাঃ) তলোয়ার হাতে লওয়ার পর মানুষের মন হইতে ক্রমে ক্রমে পাপ ও দুস্কৃতির কালিমা দূর হইতে লাগিল।"
'ইসলাম সত্য, ন্যায় ও সাম্যের আদর্শ। বস্তুতঃ দেশে দেশে, কালে কালে ইসলাম সাধারণ মানুষের কাছে যে লালিত হয়েছে, তা ঐ আদর্শেরই গুণে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর জনক মাওলানা মওদুদী ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যে গুণ ব্যাখ্যা করেন তা মূলত পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী লেখকদেরই কথারই প্রতিধ্বনি মাত্র।' মেজর আসবার্ণ তাঁর 'ওংষধস টহফবৎ ঞযব অৎধন জঁষব' গ্রন্থে বলেছেন,
"আরববাসীরা এক হাতে কুরআন ও অন্য হাতে তলোয়ার লইয়া ভস্মীভূত ও ধংস্ব প্রাপ্ত শহর সমূহের পরিবারগুলোর আর্তির মধ্যে নিজেদের ধর্ম প্রচার করিয়াছে।"
এখানে মাওলানা মওদুদী ও মেজর আসবার্ণের বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। 1953 সালেও মাওলানা মওদুদী ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানে আহমদীয়া সমপ্রদায়ের বিরুদ্ধে এক ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হাজার হাজার পাকিস্তানী আহমদীয়া সমপ্রদায়কে হত্যা করে। এই কারণে আইয়ুব খানের আমলে বিচারপতি মুনীর ও বিচারপতি কায়ানীর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিচারকরা তাকে ফাঁসীতে মৃতু্যদন্ড প্রদান করেন। মানবিক কারণে পরে মওদুদীকে মা করা হয়। কিন্তু এই তি পাকিস্তানে থেকেই যায়।
লেখক আসবার্ণ -এর সাথে মাওলানা মওদুদীর ব্যাখ্যার মিল খুবই নিকটবর্তী। বস্তুত মওদুদী প্রচারিত ইসলামের ব্যাখ্যায় আধ্যাত্মিকতার চেয়ে বেশী ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা, অস্ত্র, সংহার এবং লড়াই করে নিজেদের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করা। বস্তুতঃ মওদুদীবাদীদের এই আদর্শ যিনিই গ্রহন করেছে তিনিই এই ধরণের ধর্মীয় উন্মাদনার শিকার হয়েছেন। আজ পর্যন্ত এই মতবাদীদের মধ্যে ল্যণীয় ব্যাপারটি হল এই যে, যে ইসলামের জন্য তারা এতো উন্মাদ, সেই ইসলামের অনুশাসন যে তারা খুব একটা মেনে চলেন এমনও নয়। জামাত ও শিবির কর্মীদের সংগঠন নিয়ে যেমন ছোটাছুটি, আন্তরিকতা দেখা যায়, নামাজ আদায়ে তাদের তেমন নিবিষ্ট মনে হয় না, এটা তারা একটা রুটিন ওয়ার্কের মতোই করে যায়। দেখা যায়, অনেক কর্মী নামাজ আদায়ের সঠিক নিয়ম নীতিই জানে না। শুধু উঠ-বস করার মধ্য দিয়ে নামাজ হয় না। যে নামাজে আন্তরিক নয়, সে কিভাবে ইসলাম কায়েম করবে। এ অনেকটা এক প্রকার সমাজতন্ত্রীদের মতো, মুখে সাম্যের বুলি, কাজে-কর্মে অভিসন্ধি। জামায়াত-শিবিরের কাজে- কর্মে দুনিয়াদারী বেশী, আধ্যাত্মিকতা কম।
বাঙালীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধে, জামায়াতে ইসলামী নিজ দেশের মুসলমান বাঙালীদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ধরলো তা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিলো না। এমনকি 1971 সালের 25 মার্চের পরই যে তারা অস্ত্র নিয়ে নেমে পড়লো, তাও নয়, অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা ও এর আয়োজন তারা অনেক আগে থেকেই করছিলো, এমনকি প্রকাশ্যেই তা তারা বলে বেড়াচ্ছিলো। 1969 সালের 15 অক্টোবর করাচিতে মাওলানা আবু আলি মওদুদী হজ্বব্রত পালনে মক্কা যাওয়ার পূর্বে কর্মীদের এক সমাবেশে বলেন, "সমাজতন্ত্রীদের মোকাবেলার জন্যে জীবন উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হতে হবে।" মাওলানা মওদুদী এদিন শেখ মুজিব ও মাওলানা ভাসানীকে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি তাদের (শেখ মুজিবুর রহমান ও মাওলানা ভাসানীকে) চ্যালেঞ্জ প্রদান করে বলেন, "বল প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে বিপ্লব করতে চাইলে জামাতও শক্তি দিয়ে শক্তির মোকাবেলা করবে।" তিনি এদিন আরও বলেন, "ওলামাদের ফতোয়া দেয়া উচিত যে, সমাজতন্ত্র সমর্থক ও প্রচারকদের পেছনে নামাজ পড়া জায়েজ নয়।" তিনি জামাত কর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমাজতন্ত্র প্রচারক মসজিদের ইমামদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন। মাওলানা, সমাজতন্ত্র প্রচারক ওলামাদের পরিচালিত মাদ্রাসায় অর্থ-সাহায্যদান বন্ধেরও আহবান জানান। তিনি কর্মীদের ধর্ম রার্থে জীবন কোরবানী দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ধর্ম রায় কোরবানী অপরিহার্য। মাওলানা মওদুদী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাধীন সংবাদপত্র প্রকাশ করা উচিত এবং এখানে যাতে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি পিয়নও প্রবেশাধিকার না পায় তার ব্যবস্থা করা উচিত। 1970 সালের দোসরা এপ্রিল মাওলানা মওদুদী লাহোরে সমাজতন্ত্রীদের প্রতিরোধ করার জন্যে দেশের সর্বত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি তার দল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বক্তৃতা করছিলেন। মাওলানা মওদুদী বলেন, সমাজতন্ত্রীদের আন্দোলনের আগেই এসব বাহিনী ও সংস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, এরা জোর করে জমি ও কলকারখানা দখল করে নিতে চায়। 5ই জুন 1970 সালে জামায়াতে ইসলামের মিত্র সংগঠন জমিয়তে ওলামায়ে পাকিস্তানের মজলিস-এ-আমল এর নেতা সাহেবজাদা ফয়জুল হাসান, সমাজতন্ত্রীদের প্রতিরোধ করে দুই লাখ লোকের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করার ঘোষণা দেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যক মস্কোপন্থী এবং পূর্ব পাকিন্তানে সমপরিমান চীনপন্থী রয়েছে।'
এসব বক্তৃতা বিবৃতি থেকে একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার যে, রেজাকার-আলবদর বাহিনী হঠাৎ করেই 1971 সালে গঠিত হয়নি। প্রকৃতপ,ে জামায়াতে ইসলামের এ বিষয়ে পূর্বেই মানসিক ও বৈষয়িক প্রস্তুতি চলছিল। 1971 সালে তা চূড়ান্ত ও চরম রূপ ধারণ করে মাত্র। ( সূত্রঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ডঃ মোহাম্মদ হান্নান )
পাকিস্তানের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলাম, মাওলানা মওদুদী এবং তার একনিষ্ঠ শিষ্য অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন বিতর্কিত এবং বিভিন্ন মহলের কাছে নানা প্রশ্নের কেন্দ্র। এমনকি পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেমরা পর্যন্ত তাদের কর্মকান্ডকে ইসলামের পরিপন্থী বলে ঘোষণা করেন। আলেমরা বলেছেন, মওদুদীর ইসলাম ও রাসুলের ইসলাম এক নয়। মওদুদী মূলত তার নিজের স্বার্থে ইসলামের নাম ব্যবহার করছেন। অনেকে মওদুদীকে 'কাফের' বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মাওলানা মওদুদী 1969 সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। সফরের পর তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক উদ্ভট প্রচারনা চালাতে থাকেন। একই বছরের 30শে জুন তিনি লাহোরে বলেন, পূর্ব পাকিন্তানে তিনি কিছু লোকের মধ্যে হিন্দুদের প্ররোচনায় বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতা দেখতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, এরা পশ্চিম বাংলার সাথেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্য মাওলানা মওদুদী বলেন, তার দলের লোকেরা এদের প্রতিরোধ কারা শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে মাওলানা মওদুদী দৈনিক পাকিস্তানে চিঠিপত্র কলামে হাফিজুর রহমান নামে একজন ছাত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই চিঠিতে ছাত্রটি হিন্দু সংস্কৃতির প েও পাকিস্তান সৃষ্টির বিপ েলিখেছিলো।
পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেম ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন এর আগেও বহুবার জামায়াতে ইসলামী নেতা মওদুদী তুলেছিলেন। তখন পূর্ব পাকিস্তান থেকেই এর জবাব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবার জবাব আসে খোদ পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রখ্যাত নেতা ও পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতী মাহমুদ পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকার জন্যে মাওলানা মওদুদীর প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, মওদুদী পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন। এর উদ্দেশ্য মহৎ নয়। মুফতী মাহমুদ আরও বলেন, ধর্মীয় প্রেরণা ও দেশপ্রেমে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কোনো অংশে খাটো নয়। যখনই কায়েমী স্বার্থবাদীদের কুমতলব চরিতার্থ করার প্রয়োজন হয়েছে তখনই পূর্ব পাকিস্তান, সিন্ধু, সীমান্ত প্রদেশের অনুন্নত এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার শুরু হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ পুরনো খেলা বন্ধ করতে হবে। মুফতী মাহমুদ বলেন, মাওলানা মওদুদী হালে পূর্ব পাকিস্তান সফর করে ফিরে এসে কতকগুলি আজগুবী তথ্য পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণকে শুনিয়েছেন। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রদেশের উভয় অংশে কিছু বাড়াবাড়ি হয়েছে এবং তাতে পূর্ব পাকিস্তানে দেশদ্রোহিতার গন্ধ খুঁজে ফেরা অত্যন্ত হীন মনোভাবের পরিচায়ক। এর দ্বারা দু অংশের তিক্ততাই শুধু বাড়বে। এ সমস্ত নেতাদের অভিভাবকসুলভ মনোভাব ত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রকৃত সমস্যা অনুধাবন করার পরামর্শ দেন তিনি। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 9 জুলাই, 1969)
প্রকৃতপইে পাকিস্তানের জন্যে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী মুসলমানদের দাবিই ছিল সবচেয়ে জোরালো। পাকিস্তানের সমর্থনে বাঙালীরা দিয়েছিলেন 96% ভোট, যেখানে পাঞ্জাবীরা দিয়েছিল মাত্র 49% ভোট। তারপরও বিভিন্ন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী মুসলমানদের দেশপ্রেম সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রকৃতপ েপাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিকে ল্য করলে দেখা যাবে যে, যখনই পূর্ব পাকিস্তানীরা তাদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি চেয়েছে তখনই পশ্চিম পাকিস্তানী ধর্মীয় দলগুলি পবিত্র ইসলামকে তাদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করেছে।
জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা মওদুদী লাহোরে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে উস্কানী, তাদের দেশপ্রেম সম্পর্কে কটা করায় পূর্ব পাকিস্তানের 91 জন আইনজীবিও এক বিবৃতিতে তার নিন্দা করেন। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, "...অবশ্য মাওলানা মওদুদীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, কারণ তিনি পাকিস্তানের প্রতিরারই বিরোধী ছিলেন এবং এখন পাকিস্তানের প্রতি তার অকৃত্রিম অনুরাগ দেখানোর জন্যে তিনি পূর্ব পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গণতন্ত্রমনা জনগণের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বহু জিনিস তো আবিষ্কার করবেনই। বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, মওদুদীর বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। তিনি পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন সম্পর্কে ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। বাংলা নববর্ষকে হিন্দু নববর্ষ দিবস বলে অভিহিত করায় তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 25 জুলাই, 1969)
মাওলানা কাওসার নিয়াজী 25 আগস্ট 1969 ইং তারিখে সামরিক আইনে মাওলানা মওদুদীর বিচারের দাবী করেন। তিনি বলেন, মওদুদী জামায়াতের সাপ্তাহিক 'এশিয়াতে' - তে এক নিবন্ধে কোরআনের অপব্যাখ্যা করে লিখেছেন, অমুসলমানের সুশ্রী ছেলেরা ও তরুণী কন্যারাই হবে বেহেশতের গোলেমান ও হুর। মাওলানা কাওসার নিয়াজী আরও বলেন, মওদুদীর এই ব্যাখ্যা উদ্ভট এবং অমুসলমানদের প্রতি অপমানজনক। তিনি এজন্যে সামরিক আইনের 50 নম্বর ধারা মওদুদীর বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর আহবান জানান। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 25 আগষ্ট, 1969)
মাওলানা কাওসার নিয়াজীর এই বক্তব্যের পর জামায়াতে ইসলাম তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়। এই হুমকি প্রকাশ্যেই দেয়া হয় এবং এরপর কাওসার নিয়াজী যখন ঢাকায় আসেন তখন হোটেল শাহবাগে পরপর 13টি টেলিফোনে তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এই কথা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারী বলেন, মওদুদীর সমালোচনা করার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়াজীকে ভোগ করতেই হবে।
এর প্রেেিত মাওলানা কাওসার নিয়াজী বলেন, মওদুদীর বিরুদ্ধে বই লেখার জন্যে মাওলানা ওবায়েদুল্লাহ বিন সাইদকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বলেন, জামায়াতকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা তিনি জানেন। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 25 ডিসেম্বর, 1969)


1969 সালের তেসরা সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া ও মেনন গ্রুপ এবং ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক ছাত্রসভায় জামায়াত নেতা মিয়া তোফায়েল সমপ্রতি শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক সাংবাদিককে 'কমিউনিস্ট' বলে যে গালি দিয়েছে তার নিন্দা করা হয়। সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখ ঢাকায় জমিয়তে ওলামায়ের নেতা মাওলানা গোলাম গাউস হাজারভী এক বিবৃতিতে বলেন, জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে ইংরেজ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সাহায্যপুষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান। দোসরা নভেম্বর পীর মোহসেনউদ্দীন দুদুমিঞা ও মাওলানা মহিউদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, মাওলানা মওদুদী ও তার বেতনভোগী কর্মীরা ইসলামের নামে পাকিস্তানে পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদকে মজবুত করার দায়িত্ব পালন করছে। মওদুদী সাহেব ইহুদীদের ন্যায় অশ্লীল ভাষায় সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করে 'রাফেজী' মতবাদের সমর্থক বলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এজন্যে উপমহাদেশের সকল আলেম সমাজ মওদুদীকে 'গোমরাহ' তথা 'সুন্নত আল জামাত'- এর বহির্ভূত বলে বক্তব্য দিয়েছেন। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 2 নভেম্বর, 1969)
19 সেপ্টেম্বর 1969 সালে ঢাকায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম ধর্মনিরপেতাবাদী ও সমাজতন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "পাকিস্তান শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য তৈরী হয়েছে।" (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 19 নভেম্বর 1969)
একই দিন পশ্চিম পাকিস্তানের লারকানায় জামায়াতের অস্থায়ী আমির মিয়া তোফায়েল বলেন, "সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদের চেয়েও মারাত্মক এবং দেশের সংহতির জন্যে তিকারক।" 1970 সালের 14 জানুয়ারী মাওলানা মওদুদী কমিউনিস্ট পার্টিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "পাকিস্তানের মৌলিক আদর্শ বিরোধী কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দেয়া উচিত হবে না।" 12 জানুয়ারী 1970 সালে জামায়াতের নতুন নেতা মেজর জেনারেল (অবঃ) ওমরাও খান রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, "দেশ কয়েকটি মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন।" তিনি আরও বলেন, "পূর্ব পাকিস্তান সহজেই কমিউনিজম কবলিত হয়ে যেতে পারে।" 6 মার্চ 1970, এদিন পাবনা টাউন হল ময়দানে অধ্যাপক গোলাম আযম বলেন, "ন্যাপ ও আওয়ামী লীগ ঐক্য করলে পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিতীয় ইন্দোনেশিয়ার পরিণতি হবে।" তিনি আরও বলেন, "প্রেসিডেন্ট সুকর্ণের ভাগ্যে যা ঘটেছিলো শেখ মুজিবের ভাগ্যেও তাই ঘটবে।" 23 মার্চ পাকিস্তান দিবসে ইসলামী শাসনতন্ত্র দিবস পালনকালে জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান ও আলীয়া মাদ্রাসার অধ্য ইসহাকের নেতৃত্বে একটি মিছিল দাও, কুড়াল, লাঠিসহ শহর প্রদণি করে এবং তারা শ্লোগান দেয়, "কমিউনিস্ট সমাজতন্ত্রীরা নিপাত যাক"। "শেখ মুজিবের গুন্ডামী চলবে না, চলবে না।" 29 জুন সোমবার পিপিআই পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়, ঢাকায় মাওলানা মওদুদী ইসলামী ছাত্রসংঘের এক প্রশ্নোত্তর সভায় দানকালে বলেন, দার নিজের নামের 'আবুল আলা'( যার অর্থ হচ্ছে- আল্লাহর পিতা)-এর সমালোচনা শুরু হয়েছে মাত্র দু'বছর ধরে। তিনি বলেন, তার বর্তমান বয়স 67 এবং গত 50 বছর ধরে তিনি লিখেছেন এবং জনগণের কাছে তিনি ভালোভাবেই পরিচিত। এতদিন কেউ এ নামের সমালোচনা করেনি, কিন্তু আজ তা করা হচ্ছে।
রাওয়ালপিন্ডি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলামুল্লাহ খান এক বিবৃতিতে 22 সেপ্টেম্বর বলেন, আল কোরআনের অপব্যাখ্যা করা বইগুলি মাওলানা মওদুদী প্রত্যাহার করে নেবেন বলে ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি। বিবৃতিতে মাওলানা আরও বলেন, আমরা কমিউনিজমের বিরোধী, কিন্তু পুঁজিবাদ খতম না হওয়া পর্যন্ত দেশে প্রকৃত শান্তি আসতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন, মওদুদী আলেমদের পুঁজিবাদের প েবলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। একই দিন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মাওলানা সবুর, মওদুদীকে প্রকাশ্য বিতর্কে অবতীর্ণ হওয়ার জন্যে আমন্ত্রন জানান। তিনি মওদুদীর বিরুদ্ধে কোরআনের অপব্যাখ্যা করার অভিযোগ আনেন।
(সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 22 সেপ্টেম্বর, 1969)
5 অক্টোবর 1969 তারিখে এন.এস. এফ. (রশীদ হাসান গ্রুপ) রাওয়ালপিন্ডিতে এক বিবৃতিতে বলেন, জামায়াতে ইসলাম ও তার ছাত্রশাখা পাকিস্তানে রক্তপাতের সম্ভাবনা দেখছে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে দেওয়া হবে না। এ ছাত্রসংগঠনের সভাপতি ছাত্রনেতা রশীদ হাসান খান 12 অক্টোবর পুনরায় জামায়াতে ইসলামীকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
19 অক্টোবর 1969 তারিখে পীর মোহসেনউদ্দীন দুদুমিয়া ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মাওলানা মওদুদীর কার্যকলাপে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, কারণ মওদুদী এখন সকল জায়গাতেই কমিউনিজমের গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পীর সাহেব আরও বলেন, "মওদুদী সাহেব নিজে কোনো সনদপত্র প্রাপ্ত মাওলানা নন। হায়দ্রাবাদের নিজামের দরবারে তদানীন্তন সাম্রাজ্যবাদী প্রভূদের তুষ্ট করার জন্যে তিনি কাজ করতেন। সেই প্রভূদের থেকেই তিনি মাওলানা খেতাব পান।" 1969 সালের 19 অক্টোবর ন্যাপ (ভাসানী) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়, রাজনৈতিক মতলব হাসিলের জন্যে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মসজিদ ব্যবহারের নিন্দা করা হয়। এতে আরো বলা হয়, পিতা-মাতা তাদের কন্যাকে কোথায় বিবাহ দেবেন তার নির্দেশও জামায়াত দিতে চাচ্ছে। অথচ এই জামায়াতের আমীর মওদুদীই একদিন পাকিস্তান আন্দোলনকে 'হারাম আন্দোলন' এবং পাকিস্তানের জন্যে যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তাদের 'হারাম মউত' হয়েছে বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 21 অক্টোবর, 1969)
এবোটাবাদ থেকে 30 অক্টোবর পাকিস্তানের 13 জন বিশিষ্ট আলেম এক যৌথ ঘোষণায় বলেন যে, মাওলানা মওদুদী বিপথগামী এবং তাঁর অনুসারীদের পেছনে নামাজ পড়া না-জায়েজ। 7 নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা অলিউর রহমান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ধর্মের প্রভাব সমাজ থেকে ষোল আনাই মুছে যাবে। কারণ আলেম সমাজই আজ বিপথগামী হয়ে পড়েছে। তিনি ধর্ম নিরপে রাজনীতি কিংবা রাজনীতি নিরপে ধর্ম পালন করার জন্যে সকলের নিকট আহবান জানান। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 7 নভেম্বর, 1969)
রাজশাহীতে 11 এপ্রিল 1970 সালে অধ্যাপক গোলাম আযম বলেন, " জয়বাংলা শ্লোগান ইসলাম ও পাকিস্তান বিরোধী।" তিনি আরও বলেন, "বাঙালীরা কখনো জাতি ছিল না।" জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান বা অন্য কোন দেশ থেকে অর্থ সাহায্য পায় একথা তিনি অস্বীকার করেন। পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে 18 জুন 1970 তারিখে এক সংবর্ধনায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের সাধারণ ভাষা। তিনি বলেন, "52 সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু তা ভূল হয়েছিলো।" (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 19 জুন 1970) 28 আগষ্ট মাওলানা মওদুদী বলেন, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতাদের কখনো ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ছিলো না। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের খোদ প্রতিষ্ঠাতারাই হিন্দুদের সম্পত্তি এবং এমনকি পাকিস্তানে যেসব মেয়েদের ফেলে যাওয়া হয়েছে তাদের লুট করার কাজে এসব প্রতিষ্ঠাতারা নিয়োজিত ছিলো। তিনি আরও বলেন, 1941 সালেই তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের ইসলামী রাষ্ট্র হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানে কাফিরানা সরকারের মোকাবেলা করাই তার প্রধান ল্য। (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান 28 আগষ্ট, 1970)
(এই লেখাটি ডঃ মুহম্মদ হান্নান কতর্ৃক রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে কাট-পেষ্ট করা হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৫৩
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×