সুরা মুলকঃ তিনি( আল্লাহ) উচ্চমযার্দাশীল- যাঁহার অধিকারে সমস্ত আধিপত্য রহিয়াছে, এবং তিনি সর্ব বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, যিনি মউত ও হায়াত সৃস্টি করেছেন, যেন তোমাদিগকে পরীক্ষা করেন যে তোমাদের মধ্যে কে কাজে অধিক উত্তম; আর তিনি মহা পরাক্রান্ত, ক্ষমাশীল, যিনি সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃস্টি করেছেন, তুমি আল্লাহর এই সৃস্টির মধ্যে কোন ত্রুটি দেখতে পাবে না; সুতরাং তুমি পুনরায় দৃস্টি নিক্ষেপ করে দেখে নাও, কোথাও কোন ত্রুটি তোমার দৃস্টি গোচর হয় কি? অতপরঃ পুনঃ পুনঃ দৃস্টি নিক্ষেপ করে দেখ, (অবশেষে) দৃস্টি অপদস্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকেই ফিরে আসবে। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করে রেখেছি, আর আমি ওগুলোকে শয়তানদের বিতাড়িত করার উপকরনও করেছি এবং আমি তাদের জন্য দোযখের আযাব ও প্রস্তত করে রেখেছি। আর যারা স্বীয় রব্বকে অস্বীকার করে তাদের জন্য জাহান্নামের আযাব রয়েছে: আর উহা নিকৃষ্ট বাসস্থান। যখন তারা তাতে নিক্ষিপ্ত হবে , তখন তাহারা উহার এক বিকট ধ্বনী শুনতে পাবে এবংউহা এইরুপে ফুটিতে থাকিবে মনে হবে যেনএখনই ফাটিয়া পড়িবে ক্রোধচ্ছ্বাসে; যখন উহাতে কাফেরদের কোন একটি দল নিক্ষিপ্ত হবে , উহার রক্ষকগণ তাহাদিগকে জিগ্গাসা করিবে , তোমাদের নিকট কি কোন ভয় প্রর্দশনকারী ( নবী) আগমন করেনি? ওই কাফেররা বলবে নিশ্চয় আমাদের নিকট ভয়প্রদর্শনকারী আসিয়াছিলেন , কিন্তু আমরা অবিস্বাস করেছিলাম , এবং বলেছিলাম যে আল্লাহ কিছুই নাযিল করেন নাই, আর তোমরা মহা ভ্রমে পতিত আছ । আর ইহাও বলবে যে , যদি আমরা শুনতাম কিংবা বুঝতাম তবে আমরা দোযখ বাসীদের অর্ন্তভূক্ত হতাম না। মোট কথা তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে, সুতরাং দোযখবাসীদের প্রতি লানত। নিঃসন্দেহে যারা নিজের রব্বকে না দেখিয়াই ভয় করে তাদের জন্য ক্ষমা এবং মহা প্রতিদান রয়েছে। তোমরা কথা চুপি চুপিই বল আর উচ্চস্বরেই বল , তিনি অর্ন্ত নিহিত বিষয়সমুহ পূর্ণ অবগত আছেন।(আর) তিুন কি জানিবেননা - যিনি সৃস্টি করিয়াছেন?অথচ তিনি সূক্ষদর্শী সর্ববিদিত।
সুরা মূলক, আয়াত ১--১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



