সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ ! হ্যাঁ প্রবচন হিসেবে কথাটি মেনে নেওয়া যায়। তবে বাস্তব চিত্রটা অন্যরকম। এখন সংবাদপত্র কোটিপতি ব্যবসায়ীদের ব্যবসার হাতিয়ার। অবৈধভাবে আয় বিণিয়োগের একটি নতুন খাত। অন্যকে ঠকিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে যারা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিডিয়ার নানা ক্ষেত্রে বিণিয়োগ করে যাচ্ছেন। এদের কারো কারো এক অক্ষর লেখার যোগ্যতা না থাকলেও ইদানিং তাদের প্রকাশিত পত্রিকায় মন্তব্য প্রতিবেদন লিখে সরকার, সমাজকে নানা উপদেশ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর সাংবাদিক নামের গুটি কয়েক ন-পুংশক এদের সহযোগিতা করছে।
সর্যাকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে নিউজপ্রিন্টের ওপর থেকেশুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করতে গিয়ে সপ্তম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলেন। অথচ বেশির পত্রিকাই সপ্তম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না করেও সরকারের দেওয়া সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। কম টাকায় সাংবাদিক রেখে কাজ করাচ্ছে। সাংবাদিকরাও জীবণ সংগ্রামে টিকে থাকতে না পেরে অবৈধভাবে উপার্জনের দিকে ঝুকে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
একজন মালিক সম্পাদকের উদহরন দেওয়া যায়। তিনি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে কাজ করে দু'হাতে কামাচ্ছেন। পত্রিকা থেকেও ভাল আয় হচ্ছে। বিগত সরকারের সময় প্রভাবশালীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন বলে শোনা যায়। বর্তমান সরকারের সময়ও তার রমরমা ব্যবসা। ওই মলিক সম্পাদক সপ্তম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবান তো দূরের কথা সরকার পরিবর্তনের পর সরকারি বিঞ্জাপন কমে যাবে এমন ধারনা থেকে তার পত্রিকার সাংবদিকদের প্রাপ্ত বেতন(এমনিতেই কম বেতন দেওয়া হয় পত্রিকাটিতে) ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার পাশাপশি সাংবাদিক ছাটাই করলেও কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। পত্রিকাটির সাংবাদিকরা বর্তমানে কম বেতনেই চাকরি করছেন। অথচ কোন কথ বরা যাবে না। প্রতিবাদ তো দূরের কথা। যারা কথা বলবেন অর্থাৎ সাংবাদিক নেতারা... তারাও মালিক পক্ষ। এসব অনিয়মের প্রতিকার কি? কোন অনিয়মের প্রতিকার করত সাধারণ মনুষের শেষ আশ্রয় যারা সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে নানা অবিচার হচ্ছে তার প্রতিকারের দাবি কার কাছে জানাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




