এইটা কোন কথা হইলো!!!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
রিং চিপস। অনেকেই খেয়েছেন। আমরা ক্লাস টু/থ্রী তে পড়ার সময় স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে বন্ধুরা সবাই মিলে মজা করে রিং চিপস খেতাম। পটেটো চিপস এর তুলনায় রিং চিপস আমাদের বেশি আকর্ষন করত কারন এগুলো আংটির মত হওয়ায় খাওয়ার সময় হাতের পাঁচ আঙ্গুলে ঢুকিয়ে মজা করা যেত। হলুদ প্যাকেটের এই চিপস হঠাৎ করেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। কিন্তু তখন এর অনুপস্থিতি অতটা অনুভব করি নি। হয়ত স্কুলের ক্যান্টিনের হলুদ প্যাকেটের রিং চিপস-এর প্রতি আমাদের আকর্ষন থাকলেও আকর্ষনের মাত্রা অতটা ছিল না।

এর মাঝে হয়তো অনেকটা সময় কেটে গেছে। সেদিন বাসে করে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ রাস্তার পাশে ছোট একটা টং দোকানে সেই রিং চিপস-এর হলুদ ট্যাকেট ঝুলতে দেখলাম। বিশ্বাস করেন, কেন জানি আমার প্রচন্ড লোভ লাগল চিপস-এর জন্য, আঙ্গুলে রিং গুলো ঢুকানোর জন্য। কিন্তু চলন্ত বাস কিভাবে থামাতে বলি আর জায়গাটি পুরো রানিং পয়েন্ট অর্থাৎ আশেপাশে কোন স্টপেজও নেই। কি আর করা, বাসায় পৌছলাম। কিন্তু মাথায় ঘুরপাক খেতেই লাগল। বিকালে এক ফ্রেন্ডের (সোহেল) সাথে আড্ডা দেয়ার সময় হঠাৎ বলে ফেললাম এই কাহিনী। ও তো শুনে পুরো অবাক। তো আমরা বাসার আশেপাশের দোকানে খুজেও দেখলাম কিন্তু কোথাও এই জিনিস নেই। বাসায় ফিরলাম। আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম, দু'দিন পর সোহেল এসে বলল ও নাকি আমার জন্য অনেক জায়গায় খুজেছে কিন্তু পায় নি। সম্ভবত দামী চিপস- এর ভীড়ে এই চিপস দোকানে স্থান পায় নি। যাই হোক আজকে বিকালে আমি এক দোকানে সেই হলুদ রিং চিপস-এর প্যাকেট ঝুলতে দেখে খুশীতে গদগদ হয়ে তিন প্যাকেট কিনে বাসায় আসি। এরপর রাতে সোহেল আর আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে প্যাকেট খুলে চিপসগুলো খাওয়ার আগে আঙ্গুলে ঢুকানোর চেষ্টা করি কিন্তু একি!! কানি আঙ্গুল (কনিষ্ঠ আঙ্গুল) ছাড়া আর একটি আঙ্গুলেও রিং গুলো ঢুকল না!!! তারমানে যখন ছোট ছিলাম তখন আঙ্গুলগুলোও ছোট ছিল, পাঁচ আঙ্গুলেই চিপস ঢুকত। আর এখন আঙ্গুল বড় হয়ে গেছে!! আমার বেশ আফসোস হতে লাগল পাঁচ আঙ্গুলে চিপস ঢুকিয়ে খাওয়ার জন্য।
নাহ! রিং চিপস আমার খায়েশ পূরন করতে দিল না।

এইটা কোন কথা হইলো!!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।...
...বাকিটুকু পড়ুন
মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন...
...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল...
...বাকিটুকু পড়ুন

জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন