এই শিরোনামের সাথে লেখার বিশেষ কোনো সম্পর্ক নাই যেমনটি যার কথা লিখছি,তার সাথে আমার বিশেষ কোনো সম্পর্ক নাই ।উপসংহারে সে জানতো , আমাদের সম্পর্ক "নাম না জানা" আর আমি জানতাম , আমার কাছে তার হাজারো নাম আছে , সনাক্ত করতে সে যদি ভুল করে ...এই ভয়ে সে সবই "জিপ" করে রেখেছি।
হালকা হলুদ আর এ্যশ এর সমন্বয়,এটা ছিল অর্ধ স্বচ্ছ কাচের ফাঁক দিয়ে আমার চুরি করা তার প্রথম রুচি,"মেঠো পথ আর সরষে ফুল" ওয়াল পেপারটা এটা মনে করেই দিয়াছিলাম , সে কি বুঝেছিল ? না কি তার পটে আমি শুধুই এক "ফোকাস বিহীন" ফটোগ্রাফার ?
বাঁসি তরকারি ,১২ নাম্বার বাস , বন্ধু পরিবহন ...এই সব ব্যচেলর বিড়ম্বনা পেরিয়ে ২০ মিনিট আগে অফিসে আসা....যদি সে "বিনা মুল্যে বিতরনের জন্য" তার সেই অমুল্য হাসি শেষে ভুল করে জানতে চায় , ভাইয়া....ই.আর.পি কি খুবই কঠিন ? সে জানেনা ... তার সব প্রশ্নই যে কঠিন , শুধু "কেমন আছেন ?" ছাড়া।
ফুটন্ত গোলাপ যেমন গুটিয়ে রাখে পাপড়ি আর সৌরভ তার অনায়ত্ব,তার গুটিয়ে রাখা কথা , তার গুটিয়ে রাখা ল্যাপটপ , তার গুটিয়ে রাখা প্রশ্নত্তর , তার গুটিয়ে রাখা চাহুনি , তার নিরাপদ দুরত্বে দাড়িয়ে থাকা ......সব সত্য,মিথ্যা শুধু আমার সে সৌরভ ধরে রাখার চেষ্টা ।
পৃথিবীতে সব চেষ্টা লিপিবদ্দ হয় না , এক্সলে তার এনালাইসিস ও সম্ভব নয় , তাই তো সমান্তরাল রাস্তা বরাবর দুর পর্যন্ত তাকিয়ে মনে হয়েছিলো , হয়ত মিলবে , সহকর্মীকে দিয়ে তাই একটা মরিচিকার মানে খুজতে গিয়াছিলাম,ফলাফল তো জানা....নিজের উচ্চতাটা বুয়েট মেডিকেলের বাইরে আরেকবার জানা হোলো .......আরকি ।
নিজেকে সেই বাতিওয়ালা মনে হয় , সারা শহরের বাতি জ্বালানো যার পেশা .....আর দিনান্তে সে বাড়ি ফেরে আধাঁরের টানে...হায় , মালি কি জানে না যে তার স্বযত্নে লালিত গোলাপ তারই হাতে কাঁটা বিধিয়ে হয় অন্যের......এটাই বিধান ।ল্যাম্প-পোস্ট এর মাথায় বসে তিন তালার মানুষদেরকে একই উচ্চতায় আর খুব কাছে মনে হয়, হায় ......আমরা প্রায়শই কেনো ভিত হারিয়ে ফেলি ?
তাইতো চুরি করা খন্ডগুলো মাঝে মাঝে লুকিয়ে মিলিয়ে দেখি ....যদি তার সাথে মিল খুজে পাওয়া যায়....হটাৎ দেখা তার ছবি আর আমার জলছবি --এর মাঝেই সেই তার বিহীন সম্পর্ক , অদ্ভুত ,অদ্ভুত সে দুরত্ব , বাড়েও না কমেও না ...শুধু মাঝে মাঝে জানান দেয়....."নাম না জানা" না কি "নানান নামে জানা" না কি "আজো অজানা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



