somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শফিক রেহমানের নেড়িকুকুরের ঘেঊ ঘেউ, মজাই লাগলো পড়ে দেখেন,

১৭ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে [/sb

শফিক রেহমান




নিউইয়র্ক সিটি

১৭ ও ১৮ জুলাই ২০১০-এ নিউইয়র্কে আমেরিকা-বাংলাদেশ-কানাডা কনভেনশন (সংক্ষেপে এবিসি কনভেনশন)-এ এবার নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন নেড়িকুকুর।
সমবেত মানুষবৃন্দ
প্রথমেই আমি এবিসি কনভেনশনের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই রকম একটি বিরাট আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের এক নেড়িকুকুরকে নিমন্ত্রণ করার জন্য।
থ্যাংক ইউ। ঘেউ ঘেউ।

আর তারপর ধন্যবাদ জানাতে চাই আপনাদের সবাইকে, যারা এখানে এসেছেন আমার কথা শুনতে।
থ্যাংক ইউ। ঘেউ ঘেউ।
এবিসি কনভেনশন আয়োজকরা যে আমাকে, নেড়িকুকুরকে, নিমন্ত্রণ করেছেন তাতে আনন্দিত হলেও, অবাক হইনি। কারণ, আমেরিকানরা কুকুর ভালোবাসে। আমেরিকায় সাড়ে ছয় কোটি কুকুর আছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি পাঁচজন আমেরিকানের একটি কুকুর আছে। ৮৩ শতাংশ আমেরিকান বলেন, তারা তাদের কুকুরের প্রাণ রক্ষায় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছেন। আর ২৭ শতাংশ আমেরিকান উইল করে বলে যান মৃতুøর পরে তাদের পোষা কুকুরটির দেখাশোনা কিভাবে করতে হবে। আমেরিকানদের এই কুকুরপ্রীতি সাধারণ মানুষ থেকে প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বিদ্যমান।

আপনারা জানেন, বারাক হুসেন ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার পরে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি কুকুর তার দুই মেয়েকে উপহার দিয়েছেন যার নাম বিও­ অর্থাৎ বারাক ওবামা ইংরেজি বানানের দুটি আদ্যক্ষর। লক্ষণীয় যে, তার কুকুরের নামকরণে হুসেন-এর আদ্যক্ষরটি বাদ পড়ে গিয়েছে। বস্তুত প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেয়ার সময়ে একবার উচ্চারিত হুসেন শব্দটি, এখন আমেরিকায় প্রশাসন থেকে শুরু করে মিডিয়া পর্যন্ত হারিয়ে গিয়েছে। যারা এই কাজটি করেছেন, তারা হয়তো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জন্মসূত্রে ইসলামের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মুছে দিতে চেয়েছেন। তাই তারা ওবামার পোষা কুকুরের নামে হুসেনের আদ্যক্ষর এইচ দিতে চাননি। এটা একটা কারণ হতে পারে।
আরেকটা কারণ হতে পারে একটি ইসলামি শব্দের সঙ্গে কুকুরের সম্পৃক্ততা তারা চাননি। কারণ ইসলামের সঙ্গে কুকুরের বরাবরই একটা দূরত্ব আছে।

আর তাই এবিসি কনভেনশনে যোগ দেয়ার জন্য এয়ার টিকিট পাওয়ার পরে আমি দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাবছিলাম ঢাকায় জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নতুন নাম হয়েছে হজরত শাহজালাল (রাঃ) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এই পবিত্র নামধারী এয়ারপোর্টের মধ্য দিয়ে এক নেড়িকুকুরকে যেতে দেয়া হবে তো?

প্রশ্নটি আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল। যদি ইমিগ্রেশন অথরিটি অভিযোগ করে, আমি এয়ারপোর্টের পবিত্রতা লঙ্ঘন করেছি এবং সেই অভিযোগে যদি তারা আমাকে অ্যারেস্ট করে, রিমান্ডে নেয়? আর বাংলাদেশে, যেটা এখন মামলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে, সেখানে রিমান্ড মানেই তো টর্চার! আর এসব টর্চারে মানুষ মারাও যাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় বিচারাধীন ৫৬ আসামির মৃতুø হয়েছে।
শুধু টর্চারই না, মামলাদেশে ব্যক্তিবিশেষকে রিমান্ডে নিয়ে তাকে বিবস্ত্রও করা হয়। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। কেন যে তারা রিমান্ডে নিয়ে মানুষকে বিবস্ত্র করে তা আমি জানি না। এটা কি কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অতৃপ্ত যৌনসুখ মেটানোর জন্য?
তবে ন্যাংটার যেমন বাটপাড়ের ভয় নেই, তেমনি নেড়িকুকুরের বিবস্ত্রকারী ডিবি পুলিশের ভয় নেই। কারণ আমরা তো সবসময়ই বিবস্ত্র আছি!

সে যাই হোক। হজরত শাহজালাল (রাঃ) এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন অথরিটিকে ধন্যবাদ, তারা আমাকে যেতে দিয়েছেন।
So, here I come America. .
(সো, হিয়ার আই কাম আমেরিকা)।
আমেরিকা, আমি এসে পড়েছি।
ঘেউ ঘেউ।

নিউইয়র্কে গত কয়েক ঘণ্টা থাকার পর ঢাকার সঙ্গে কয়েকটি বড় মিল-গরমিল আমার চোখে পড়েছে।
নিউইয়র্কে মানুষ এবং কুকুর, দিনে এবং রাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে। পথে ছিনতাইকারীদের ভয় নেই। ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের মৃতুøফাঁদ নেই। বিকলাঙ্গ ভিখারির হাতছানি নেই। ঢাকার পথে এসবই আছে। প্লাস এখন যোগ হয়েছে পথে আচমকা গ্রেফতার হয়ে যাবার ভয়। যেমনটা হয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি এখন জেলে আছেন। ঢাকার পথে এখন আরেকটা ভয় হচ্ছে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। কমিশনার চৌধুরী আলমকে পথ থেকে সবার সামনে ধরে নিয়ে গিয়েছে শাদা পোশাকের কিছু লোক। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিউ ইয়র্কের সঙ্গে ঢাকার একটি ন্যক্কারজনক মিল আমি দেখেছি। ঢাকার পথে মানুষ পেচ্ছাব-পায়খানা করে, বা বলা উচিত, পাবলিক টয়লেটের অভাবে করতে বাধ্য হয়। আর নিউইয়র্কের পথে সতর্কতামূলক নোটিশ থাকা সত্ত্বেও কুকুর পেচ্ছাব-পায়খানা করে।

আকাশছোঁয়া বিলডিং বা স্কাইস্ক্র্যাপারের শহর নিউইয়র্ক। এসব বিলডিং নির্মাণ সমাপ্তির পরে তা ভেঙে ফেলার কথা ওঠেনি। ঢাকায় হাইরাইজ বিলডিং নির্মাণ সমাপ্তির পর তা ভেঙে ফেলার কথা ওঠে। যেমন, সম্প্রতি গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেল এবং জব্বার টাওয়ার যে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে সে কথা উঠেছে। এই ধরনের অভিযোগে বছর দুয়েক আগে র্যাংগস টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিজিএমইএ বিলডিং ভাঙা হয়নি। আশ্চর্য লাগে ভেবে, যখন নির্মাণকাজ শুরু হয়, তখন এই ধরনের অভিযোগ কেন ওঠে না?

আরেকটি তফাৎ চোখে পড়েছে। নিউইয়র্ক ও সংলগ্ন এলাকায় দুই কোটির বেশি মানুষ বসবাস করলেও এবং এত গাড়ি থাকলেও পথে জনযট নেই­ যানজটও নেই। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় প্লেনে পৌঁছতে লাগে ৪৫ মিনিট। কিন্তু তারপর ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকা সিটি সেন্টারে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে দুই ঘণ্টার বেশি।
আমি দেখেছি, নিউইয়র্কে এয়ারপোর্ট থেকে সিটি সেন্টারে পৌঁছানো ত্বরান্বিত করতে এক্সপ্রেসওয়ে আছে, রেল সিসটেম আছে। বাংলাদেশের বর্তমান ডিজিটাল সরকারও বলছে, ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে, ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল করবে।
যেসব সময়ে এসব কথা সরকার বলেছে ঠিক সেই সময়েই ইলেকট্রিসিটির অভাবে সাধারণ মানুষ ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল ম্যাচ দেখতে না পেরে বিদুøৎকেন্দ্র ঘেরাও করেছে, বিক্ষোভ মিছিল করেছে, ভাংচুর করেছে। বিদুøৎ ও গ্যাসের অভাবে পঁুজি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানীতে এখন বহু স্থানে প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর বিদুøৎ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়­ মফস্বল ও গ্রামের অবস্থা আরো করুণ। কোনো কোনো স্থানে রাতে-দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা বিদুøৎ থাকছে।

পরিস্থিতিটা নিউইয়র্কে থেকে আপনাদের পক্ষে কল্পনা করা অসম্ভব। চিন্তা করে দেখুন, সম্মেলন চলার সময়ে কনভেনশন হলের বিদুøৎ যদি চলে যায়!
নিউইয়র্কের সঙ্গে ঢাকার আরেকটা তফাৎ দেখলাম। এখানে পথে পথে চমৎকার সব খাবার দোকান আছে এবং ভালো খাবার সাধারণ মানুষের খরচ করার সামর্থেøর মধ্যে। কিন্তু ঢাকা তথা বাংলাদেশে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, শাকসবজি ও তেলের দাম বেড়েই চলেছে। আগামী রোজার মাসে আরো বাড়বে। মোটা চালের কেজি এখন হয়েছে ৩৬ টাকা। ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হয়ে গিয়েছে নিখোঁজ। ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল নির্বাচনী জনসমাবেশে। বরং এখন দেখা যাচ্ছে, বহু দেশে চাকরি হারিয়ে অনেক মানুষ বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমি নেড়িকুকুর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। সাধারণ মানুষেরই যদি খাবার না জোটে, তাহলে আমরা নেড়িকুকুররা তাদের উচ্ছিষ্ট কোথায় পাবো?

এসব চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে আরো বিপদ হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে গায়েবি গণসমন জারি। মাহমুদুর রহমানসহ আমার দেশ পত্রিকার আরো পাঁচজন নির্দিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পত্রিকার আরো ১০০ জন অজ্ঞাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় সরকার ওই পত্রিকার যেকোনো ব্যক্তির নাম ওই মামলায় ঢুকিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারে। অনেকটা শূন্যস্থান পূরণ করার মতো ব্যাপার আর কি!
একইভাবে আশুলিয়াতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তোষ প্রকাশের পর সেখানে অজ্ঞাত ৬০,০০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গায়েবি গণসমন জারি করা হয়েছে। হঁ্যা। ৬০,০০০ সংখ্যাটি সঠিক। গিনেস বুক অব রেকর্ডসে হয়তো এই উদ্ভট ব্যবস্থাটি স্থান পাবে।
বাংলাদেশে এসব চলমান সমস্যার ওপরে আরো এসে পড়েছে ইনডিয়ার সঙ্গে গত বছরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের ৫০ দফা চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। যদিও এই চুক্তি বিষয়ে পার্লামেন্টে কোনো আলোচনা হয়নি। তবুও বাংলাদেশে ইনডিয়ার করিডোর হচ্ছে। কিন্তু নেপালের ট্রানজিট হচ্ছে না। বাংলাদেশের পশ্চিমে ফারাক্কা বাঁধের মর্মান্তিক মরু অভিজ্ঞতার পরে, বাংলাদেশের পূর্বে বাঙালি মুখোমুখি হতে চলেছে টিপাইমুখ বাঁধ অভিজ্ঞতার।

বিডিআরের হাতে সেনা অফিসাররা আক্রান্ত হয়েছে। পরিণতিতে বিডিআর ও সেনা, এই দু’টি বাহিনীই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আর তার পরিণতিতে সীমান্ত এলাকা প্রায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে অনেকেই এখন চিন্তিত।
সব মিলে বাংলাদেশের সংকট যে কত গুরুতর আকার ধারণ করেছে সেটা হয়তো আপনারা বুঝবেন একটা ছোট গল্প যদি বলি।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবলিউ বুশের সময়ে সূচিত অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা কবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে সেটা জানতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা গিয়েছিলেন গড-এর কাছে।
গড উত্তর দেন, আরো দশ বছর লাগবে।

উত্তর শুনে ওবামা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান।
এরপর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন যান গডের কাছে এবং প্রশ্ন করেন ব্রিটেনের চলতি মন্দাবস্থা কাটিয়ে উঠতে কত বছর লাগবে?
গড উত্তর দেন, আরো বিশ বছর লাগবে। উত্তর শুনে ক্যামেরন কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান।
এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যান গডের কাছে এবং তিনি জানতে চান গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সূচিত বাংলাদেশের দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে কত বছর লাগবে? কোনো উত্তর না দিয়ে এবার গড-ই কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান।
এটা নৈরাশ্যজনক রাজনৈতিক চুটকি।

কিন্তু এর বিপরীতে মনে রাখবেন বাংলাদেশ বিরোধী বহু প্রচারণা, স্বদেশে ও বিদেশে হওয়া সত্ত্বেও, আমেরিকার প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিনের ১০ এপ্রিল ২০০৬-এ, অর্থাৎ গত বিএনপি সরকারের শেষ বছরে প্রকাশিত একটি খুবই আশাবাদী রিপোর্ট। টাইম ম্যাগাজিন তাদের কভার স্টোরি রিবিলডিং বাংলাদেশ শিরোনামে বাংলাদেশের চমৎকার অগ্রগতি ও অনুকরণীয় উন্নতির লম্বা ফিরিশতি দিয়েছিল। প্রশংসা করেছিল। মনে রাখবেন ২০০৫ সালে ক্যাটরিনা ঝড়ের পরে গত বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশ এক মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিল আমেরিকাকে, যার পরিমাণ ছিল অন্য দেশগুলোর তুলনায় পঞ্চম এবং জাপানের সমান।
সুতরাং শত বিপদ ও হাজার সমস্যা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে সসম্মানে ও সগর্বে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। প্রয়োজন শুধু গভীর দেশপ্রেম ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি এবং সেটা বাস্তবায়নে অটল সাহস ও কঠোর শৃঙ্খলা। আর এসব গুণাবলী আয়ত্ত করার জন্য উচিত জীবনের সব ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রসার।

আমি আশা করি, আপনারা, আমেরিকান বাঙালিরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করবেন। তখন বাংলাদেশে সবাই ভালো থাকবে। তাহলে আমরা নেড়িকুকুররাও ভালো থাকবো।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
ঘেউ ঘেউ।
এবিসি কনভেনশন
নিউইয়র্ক


(সুত্র, নয়া দিগন্ত, ১৭/০৭/২০১০)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৫২
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×