somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেউকারাডং এডভেন্চার -২

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেউকারাডং এডভেন্চার -১

বগা লেকে পৌছতেই, আর্মির ইসারায় আমাদের গাইড লাফিয়ে নেমে আরমি ক্যাম্পে চলে গেল, কিছুক্ষন পরে ফিরে আসল, আমাদের তাড়া করল তারাতারি করার জন্য।আমদের গাইড অনেক চালু ,সে ক্ষুব অল্প সময়ে আমাদের থাকার ঘড় ঠিক করল।এরকম গহিন জন্গলে টুরিস্টদের থাকার এমন সু ব্যবস্থা কল্পনাও করিনি।তবে আমার সাথের আরো বন্ধুরা কিছুটা মন কখারাপ করল, কারন জন্গলে থাকার এডভেন্চার মিছ করল।



পাহাড়ে সূর্যাস্ত অদ্ভুদ সুন্দর, সব ক্লান্তি দুর হয়ে গেল নিমিষেই,এখন গোছলের পালা, সবচাইতে অবাক হলাম, গাইড কোত্থেকে সেম্পু জোগার করল!বালুতে চুল সব জট,সেম্পর দরকার সবচাইতে বেশি। বন্ধুরা লাফাতে লাফাতে সব বগা লেকের পানিতে।আহা ! অনেক অনেক অনেক বছর পর পানিতে ,ঠান্ডা পানি , পানি আমার বন্ধু ,সাতার কাটতে কাটতে বগা লেকের মাঝখানে ,অন্ধকার হয়ে গেল,বন্ধুরা চিৎকার করে বলল তারা চলে যাচ্ছে ,আমি আরো কিছুক্ষন থাকব যদিও ক্লান্ত লাগছে,হঠাৎ করেই মাথায় প্রশ্ন এল,পানির নিচে কি ? বালি ,পথর নাকি কাদা ! নিশ্চই পাথর আর পাথর যদি হয় তাহলে অবশ্যই শেওলা জমে আছে।ছু্য়ে দেখতে ইচ্ছা করল।যা ভাবা তাই কাজ , বড় এক দম নিয়ে ডুব দেই, অদ্ভুদ ঠান্ডা পানি ! পানি যেন টানছে , মনে হচ্ছে অতলে হারিয়ে যাচ্ছি ,থাক পাথর ছু্য়ে কাজ নেই উপরে উঠি , দম বেশি নাই, উপরে উঠতেই বিপদ ঘটল,ডান পায়ে মাসল পুল খেলাম ! নতুন কিছুনা কিন্তু বড় অসময়ে,ওয়ার্ম আপ ছাড়া পানিতে নামাটা বোকামি হল।আল্লাহ কে স্মরন করলাম,কিছুটা রিলেক্স হতেই দ্রুত উপরে উঠে দম নেই।হূ ......।

সব বন্ধুরা আরমি ক্যাম্পে যাই , এন্ট্রি দেবার জন্য,আর্মিদের দেখলাম চা খাচ্ছে , নিরলজ্যের মত তাকিয়ে আছি :D, আর্মিরা আমাদের চাওয়া বুঝল,চা খাবার দওয়াত দিল , লুফে নিলাম।চা এর প্রয়জনীয়তা বুঝতে পারছি । চা খেতে খেতে একজনকে জিগ্গেস করলাম , বাগা লেকের পানির নিচে কি আছে ?লজ্জিত ভংগিতে উত্তর দিল ,বগালেকের গভীরতা বের করা যায়নি।আমি অবাক হলাম না।কিছু কিছু রহস্য অজানা থাকাই ভাল।রাতের খাবার তারাতরি খেয়ে নিলাম।খাবারের ব্যবস্থা গাইড ই করল।রাতে কিছুই করার নাই, ভূত প্রেতের গল্প বললাম, কেউ ভয় পেলাম বলে মনে হল না।



সকালে উঠে অল্প কিছু নাস্তা করে কেউকারাডং এর প্রস্তুতি।পানি প্রত্যেকে,স্যালাইন,পানি পিউরিফিকেসন ট্যবলেট,কিছু শুকনা খাবার আর পাহারি কালা সাথে নিই।শুরু হল যাত্রা ।উচু নিচু পাহড়ী রাস্তা , অসংখ্য পাথর ছড়ানো, নিঃস্হব্ধ ,মাঝে মাঝে পাহাড়ী বুন পিখিদের কিচির মিচির,পাহাড়ে অসংখ্য নাম না জানা গাছ ।এতক্ষন ছিল প্রায় সমতল এখন সুরু হল খাড়া ঢাল,উপলব্ধি করতে পারছি পাহাড়ী জিবন কতটা কষ্টের।গাইড কে জিগ্গেস করলাম আর কতটা পথ বাকি আছে?গাইড কোন উত্তর দিল না।বুঝলাম অনেক পথ বাকি, কিন্তু ভালোই কাহিল লাগছে।অসংখ্য মৃত ঝর্না চোখে পরল, বর্ষায় নাকি জিবন ফিরে পায়-গাইড জানাল।হটার মাঝে অনেক বার বিশ্রাম নিতে হল,একটি পাহাড়ী ঝর্নায় বিশ্রাম নিলাম।ঝর্নার সাথে পাথরের আত্মিক সম্পর্ক আছে।এবার একটি খারা ঢাল বাইতে লাগলাম, যান বের হয়ে যাবার দশা ,কিছুক্ষন পর গাইড ঘোষনা দিল আমরা প্রার ১-তৃতিয়াংশ পথ পারি দিলাম।আমাদের এক বন্ধু বসে পরল "সরি দোস্তরা আমি আর যেতে পারব না"।কারো কিছু বলার নেই ,সবাই চিণ্তা করতে লাগলাম কি করা যায়?

কত কত কঠিন খেলা ,দোস্ত আমরা হার্ড ওয়ার্ক করে জিতেছি ,এখন এই নির্বাক পাহাড়ের কাছে পরাজয় ? " আম গনা **** ইচ এন এভ্রি স্লপ অব দিস ড্যাম ট্র্যাক" -- একথা বলেই লাফিয়ে উঠল , "চল যাত্রা শুরু করি"।আমরা পানিতে স্যালাইন মিশালাম , সাথের ব্যাগ পাতলা করে যাত্রা শুরু করলাম। অদ্ভুদ আনন্দ পাহাড় ভ্রমনে।আমাদের পথে কোন কিছুই বাধা হয়ে দড়ায়নি।






দুদিকে শুধু পাহাড়ের চুড়া,পাহাড়ের গায়ে বাষের ঝাড়, কাশফুল ,কলা বাগান,অসংখ্য অচেনা গাছ, আর পাখিদের কিচির মিচির।পাহাড়ী ফুলও কিছু নজরে এল। কছু অচেনা ফল খেতে চাইলে গাইড বাধা দিল।




আহা , আবশেষে কেউকারাডং পৌছলাম।




৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×