আজ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনার দিন। নদ-নদীবেষ্টিত এ ভূভাগের সবচেয়ে বড় অর্জন, বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের দিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ ৪০তম স্বাধীনতা দিবস। পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এ জনপদে আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠেছিল স্বাধীনতার অনির্বাণ শিখা। ৩৯ বছর আগে এই দিনে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন-সাবৃভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মার্চের অসহযোগ আন্দোলন এবং ২৫ মার্চ ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চের রক্তলাল সূর্যোদয় বয়ে এনেছিল বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা| এদিনই সূচিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারবিরোধী সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মূলত একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঘোষণার পর আপামর জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, কলকারখানা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। অচল হয়ে পড়ে সারাদেশ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার বিশাল জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের ¯স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণার পরপরই স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ বাঙালি জাতি চূড়ান্ত সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সারাদেশে বেজে ওঠে স্বাধীনতার দামামা। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমানের Kɯ^i ভেসে আসে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এর পরে দীর্ঘ নয় মাসের ইতিহাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজের মাধ্যমে মানবজাতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার ন্যক্কারজনক অধ্যায়। আর এ ঘৃণ্য ইতিহাসের বিপরীতে তখন রচিত হয় ইতিহাসের মহীয়ান অধ্যায়। মুক্তিকামী বাঙালির বীরগাথা। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় ¯^vaxb বাংলা বিপ্লবী সরকার। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয় একাত্তরের ১৬ wW‡m¤^i ঢাকায় দখলদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে ¯^vaxb-mve©‡fŠg বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আজ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতারবীর শহীদদের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। ভোরেই সারাদেশে উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা। এ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বেতার ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিশু, ছাত্র, যুব, নারী সংগঠন, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও আজকের কর্মসূচিতে রয়েছে সেমিনার, আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব এডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার বাণীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বাণীতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় দিন। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা| এ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকল স্তরের জনগণকে। যাদের অসামান্য অবদান ও সাহসী ভূমিকা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে Z¡ivwš^Z করে। আমি স্মরণ করছি শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যারা ¯^vwaKvi আদায়ের সংগ্রামে বিভিন্ন পর্যায়ে এদেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উল্লেখ করেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়া। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সফল অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও আমাদের অর্জন কম নয়। এতদসত্ত্বেও স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রকামী। গণতন্ত্রের বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ব্যতীত সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরমতসহিষ্ণুতা, সংযম এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গণতন্ত্র বিকাশের পূর্বশর্ত। জাতীয় জীবনে আমাদের সর্বক্ষেত্রে তাই ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার পাশাপাশি অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। জাতীয় সংসদকে পরিণত করতে হবে সকল আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে। আমি আশা করি, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। ¯^vaxbZvi এই মহান দিনে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করতে আমি দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই। কারণ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মর্যাদাশীল, সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়াই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মহান ¯^vaxbZv ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী সকল বাঙালিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বাণীতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী বাহিনী যখন নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তখন ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ¯^vaxbZv ঘোষণা করেন। তারই নির্দেশে পরিচালিত নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ-শেষে ১৬ wW‡m¤^i চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আজকের এই গৌরবময় দিনে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। আমি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। ¯^vaxb-mve©‡fŠg বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা ¯^Rb হারিয়েছেন, ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন, সেসব মুক্তিকামী মানুষের কথা আমি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। পাশাপাশি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে যেসব দেশ ও বিদেশী ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা দিয়েছেন তাদের প্রতি। ¯^vaxbZv দিবসের প্রাক্কালে আমি দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী মহলের অপপ্রয়াস সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকার যে সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে ঠিক তখনই ¯^vaxbZv বিরোধী, সামপ্রদায়িক ও চিহ্নিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি গণতন্ত্র ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো অপতৎপরতা নস্যাৎ করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান ¯^vaxbZv আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে দিনবদলের লক্ষ্যে, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অসামপ্রদায়িক ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ¯^vaxbZvi সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি বাঙালিকে দেশেপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সামিল হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সকলে মিলে জাতির জনকের আজন্ম লালিত ¯^‡cœi সোনার বাংলা গড়ে তুলবই ইনশাআল্লাহ।
বিরোধী দলীয় নেতার বাণী
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া তার বাণীতে ¯^vaxbZv দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। বাণীতে বলা হয়, মহান ¯^vaxbZv ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জল দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার ¯^vaxb ¯^Ë¡v ফুটে উঠেছিল। ¯^vaxbZv যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শ্রদ্ধা জানাই যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি ¯^RvwZi মুক্তি। ¯^vaxbZvi ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্মরণ করি, সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাস জীবন-মরণ লড়াইয়ে অর্জিত হয়েছে ¯^vaxbZv| শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির ¯^vaxbZvi জন্য চরম ত্যাগ ¯^xKvi করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ¯^vaxbZv ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন জাতীয় নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে তার ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয় মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা ¯^vaxbZv অর্জন করতে সক্ষম হই। বাণীতে বলা হয়, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হই নি। বারবার ফ্যাসিবাদী, ˆ¯^ivPvix শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশী-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার ব্যাহত হয়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে আমাদের সমৃদ্ধি আর্জনের প্রচেষ্টা।
বাণীতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশকে পরামুখিপেক্ষী রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ¯^vaxbZv ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতায় লিপ্ত দেশী-বিদেশী চিহ্নিত মহল। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মাতৃভূমির ¯^vaxbZv সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় ঐক্য।
বিএনপি মহাসচিব তার বাণীতে ¯^vaxbZv দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দিনে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন তাও আজকে বিনষ্ট করে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চালুর কথা শোনা যাচ্ছে। নতুন করে ফ্যাসিবাদের বিস্তার লাভ করেছে। তাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
মহান ¯^vaxbZv দিবস উপলক্ষে আজ ভোর ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে দলটির কার্যালয়সমূহে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ৬টা ১ মিনিটে দলের পক্ষ থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আগামী ২৭ মার্চ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি।
বিএনপির কর্মসূচি
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের হবে। দলের যুগ্ম-মহাসচিব মো. রুহুল কবির রিজভী ¯^vÿwiZ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপিসহ দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও †¯^”Qv‡mex সংগঠন ¯^vaxbZv দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।
আলোচিত ব্লগ
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।