গত বৃহস্পতিবার “সুনামগঞ্জের গ্রামে নতুন এক ‘বাংলাভাই’” শীর্ষক সংবাদ সমকালে এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ আরো কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর শুক্রবার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, যৌথবাহিনীর কর্মকর্তা, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সৈয়দপুরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এদিকে সৈয়দপুরে একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনে এবং রাতে তাহরিকুল উলামার সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে গ্রামবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে।
শুত্রক্রবার সকালেও সৈয়দপুর বাজার ও গ্রামের পয়েন্টে পয়েন্টে তাহরিকুল উলামার সদস্যরা উপস্থিত থেকে নজরদারিতে রেখেছে গ্রামের প্রগতিশীল সমাজকর্মী ও যুব-তরুণদের।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এমডি আলামিন যৌথবাহিনীর মেজর মুসতাফিজ, র্যাব-৯-এর ক্যাপ্টেন আলামিন পৃথকভাবে গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় সচরাচর যারা তাহরিকুল উলামার আইনবিরুদ্ধ উন্মত্ততার বিরুদ্ধাচরণ করে থাকেন তাদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না বলে একাধিক গ্রামবাসী জানিয়েছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাই তাহরিকুল উলামার সমর্থক।
এমনকি গত ৮ মে ‘ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদ’ ঘোষণা করে কলেমা পড়িয়ে নতুন করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছিল যাকে সেই অধ্যক্ষ সৈয়দ আবুল আহমদও শুত্রক্রবার উপস্টি’ত ছিলেন না। তার পক্ষে তার বড় ভাই যিনি কথা বলেছেন (সৈয়দ আবুল কালাম) তিনিও তাহরিকুল উলামার সমর্থক এবং স্থানীয় চারদলীয় জোটের নেতা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এমডি আলামিন শুত্রক্রবার বিকেল ৫টায় সমকালকে জানান, তিনিসহ একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা শুত্রক্রবার সৈয়দপুরে গিয়ে গত কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকায় ছাপা হওয়া সংবাদের সত্যাসত্য যাচাই করতে কথা বলেছেন। পত্রিকায় অভিযোগের ব্যাখ্যাও অনেকে অনেকভাবে দিয়েছেন। তিনি দ্র“তই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দেবেন। তিনি জানান, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজওয়ান আহমেদ ও তার ভাই তাহরিকুল উলামার সভাপতি মুফতি নোমান আহমদকে শুত্রক্রবার সৈয়দপুরে দেখা যায়নি।
আজকের বিবিসি পরিক্রমা এর রিপোর্ট শুনুন এখান থেকে Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০০৮ ভোর ৬:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



