প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য গতকাল শনিবার সকল পত্রিকায় হেড লাইনে প্রকাশিত হয়েছে। আর তা হলো্, বেশি তাড়াহুড়া করলে প্রয়োজনে শরীয়া আইনে কিসাস প্রয়োগ করা হবে।
শরীয় আইন মানে ইসলামী আইন, আর কিসাস মানে হত্যার বদলে হত্যা বা খুনের বদলে খুন।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। কিন্তু এদেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন নেই। যদিও কিছু ইসলামী দল সেটা করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা একেবারেই ইসলামী আইনের বিরোধী এবং নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে। আর সেই দলেরই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এটা।
তাহলে যে দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন নেই সে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইনে কিভাবে কিসাস বাস্তবায় করা সম্ভব?
অর্থাঃ প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা তার মনের ক্ষোভে বলেছেন।
যেই কথাটি আসলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
আর প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মাধ্যমে মূলত তারাই লাভবান হবেন যাদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী এই কথাটা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের অর্থ দেশে শরীয়া আইন ব্যতীত জোর করে কিসাস প্রয়োগ করা হবে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগ। যদি আওয়ামীগ সরকার কিসারের মত এই রকম কোন ঘটনা ঘটায় তাহলে পরবর্তীতে যারা এর শিকার তারা যদি আওয়ামী লীগের উপর কিসাস করে তখন দেশের পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে?
সুতরা কথা বলার সময় অবশ্যই চিন্তা করে বলতে হবে। শুধু মনের খেদ মেটানোর তাকিদে কথা বললে তার ফলাফল উল্টো হওয়াটাই স্বাভাবিক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




