স্কুলের এক ম্যাডামের প্রতি ফরিদপুর
এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রটার লোলুপ
দৃষ্টি ছিলো বহু আগে থেকেই। শুরু থেকেই
সে একটা মোক্ষম সুযোগ খুজছিলো।
সে কলেজে থাকাকালীনসময়েই শুরু হয়
মুক্তিযুদ্ধ। ছাত্রটিও পেয়ে গেলোসুযোগ।
পাকি সেনাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে প্রচুর
অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে নিজস্ব এক
মিলিটারি বাহিনী তৈরী করে। নাম দেয়
খাড়দিয়ার মেলিটারী বাহিনী।
পাক- বাহিনীর দোসর এই বাহিনী খাড়দিয়ার
আশে পাশের প্রায় ৫০ গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালীন সময়ে চালায় তান্ডবলীলা। ঐ
এলাকার বহু মানুষকেহত্যা করে সে ব্রীজ
থেকে নদীতে ফেলে দিত।
নারীলোভীটা ক্ষমতা পেয়ে ঐ
শিক্ষিকাকে যুদ্ধের সময়
জঘন্যভাবে সম্ভ্রমহরণ করে- সে ঐ মহিলার
সমস্ত শরীর ছিন্নভিন্ন করে ফেলে,
কামড়ে শরীরের অনেক অঙ্গ ছিড়েও ফেলে।
এমনকি তাকে সন্তান ধারনে অক্ষম পর্যন্ত
করে দেয়।
শুধু তাই নয় ঐ এলাকার বহু
মহিলাকে এনে সে একঘরে আটকে রাখে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের
সম্ভ্রমহরণ করে।
এক ব্যক্তি তাকে বলে: “এই তুই মসজিদে ইমাম
সাহেবের ছেলে হয়ে এগুলো কি করছিস।”
সে তখন সবার সামনে তৎক্ষণাৎ ঐ
ব্যক্তি লাথি মেরে ফেলে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনাটা শোনায় নটরডেমের এক
কেমিস্ট্রি টিচার। যার পরিবারের ১৮
জনকে গুলি করে হত্যা করে এই নরপশুটা।
ঠিকই অনুমান করেছেন। এই পশুটাই তার
এলাকায় “খাড়দিয়ার বাচ্চু” নামে পরিচিত।
আমরা চিনি বাচ্চু রাজাকার নামে। আবুল
কালাম আযাদ নামে যিনি ধর্ম বিষয়ে বয়ান
দিয়ে বেড়াতেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে।
আজ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই
পশুটার ফাঁসির আদেশহয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ
দেখি নি, কিন্তু জাতির কলঙ্ক মুক্তির এই
দিনটি যারা দেখে যেতে পারছে আমি সেই
সৌভাগ্যবানদের একজন।