বেড়ি-বাধে বসে আছি আমরা
দু'জন নিশাচর ভাল ছেলে
একটি অসঙ্গায়িত বন্ধুত্ব
নির্বিরোধে-পরস্পরের জন্য
রাতের কাল আঁচল আমাদের
অর্ধনগ্ন দুটি শরীরকে যেন ঠিক
মায়ের মত রেখেছে ঢেকে,
আমরা অসামাজিক কিনা জানি না
তবে আমরা অপার্থিব নই,
তাই, জন্মদাত্রী মায়ের টান
পারেনি আমাদেরকে ঘরে আঁটকাতে,
জয় হল তাই রাত্রি নামের
প্রকৃতি সুন্দরীর প্রতি অমোঘ আকর্ষণ,
আমরা তারই দুই নির্বোধ আর
স্ব-ঘোষিত প্রেমিক-প্রবর।
নদীর ঐ সিলভারের প্রলেপে
যখন পূর্নিমার আলো এসে নামে
তখন আমাদের প্রেমিকার গাঁয়ে
ওঠে এলার্জির,আর আমাদের
মাথায় জাগে বিদ্রোহের আগুন।
নদীর বুকে ভাসমান চাঁদটিকে
হাতের নাগালে পেয়ে তাই
আমার পাগলাদাশু বন্ধুটি ঝাঁপ দেয়
আগুনের সাগরে, চাঁদটিকে ডুবিয়ে
মারবে বলে, তীরে বসে দেখি আমি
মানুষ আর চাঁদের অবাক ধস্তা-ধস্তি
খন্ড-বিখন্ড চাঁদটিকে রেখে অবশেষে
বন্ধুটি বাধে ফেরে বিপ্লবীর ন্যায়
বলে,-ব্যাটার সাহস কত, আমাগো
ডার্লিংরে বিরক্ত করে ? ওর কথা
শেষ না হতেই দেখি নদীর বুকে
পূর্ণবিকশিত চাঁদ আমাদের দিকে
তাকিয়ে আগের মতই মিটমিটিয়ে
হাসছে, আমি বলি,-আজ আর নয়,
মা ভাত নিয়ে বসে আছে,
চল বাড়ি ফিরে যাই,
আমি আগেই বলেছি-
আমরা অসামাজিক নই,কতটা পার্থিব
তাতো বুঝতেই পারছেন,
তাই প্রেমিকা রাত্রিকে চাঁদের
হাতে ছেড়ে দিয়ে
অবশেষে আমরা সামাজিক
মায়ের কোলে ফিরি ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



