একজন ঘূর্ণি-বোলারের দুঃস্বপ্ন মনে হয় বাংলাদেশের পক্ষে কোন টেস্ট ম্যাচ খেলা।প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরাযখন অবলীলায় "গতি দানব"দের নির্বিষ বল খেলে যাচ্ছে ,বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চাপা দিচ্ছে তখন নাট্যমঞ্চে ঘূর্ণি-বোলারের আগমণ,সাফল্য,সহযোদ্ধার অভাব,নটরাজ আম্পায়ারের কিছু বিপরীত স্বীদ্ধান্ত,উইকেটের পেছনে অর্বাচীন "খুঁটি-রক্ষক" আর তালু ফস্কে বেড়িয়ে যাওয়া দু-একটা বেয়াড়া বল।সব মিলিয়ে পাঁচমেশালী আচারের মত একটা স্বাদ।বেশী খেলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে।একজন ঘুর্ণি-বোলার যে খানে দ্বিতীয় ইনিংসে ভঙ্গুর পিচে বেশী উইকেট পায় সেখানে বেশিরভাগ সময়েই বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মত বল করতে হয় না,আর করতে হলেও সে লক্ষে পৌঁছুতে প্রতিপক্ষের খুব একটা বেগ পেতে হয় না,দশ উইকেট বা বাড়ীফেরার তাড়া থেকে দ্রুত খেলা শেষ করতে গিয়ে নিজের দোষে না ইচ্ছেকরে সাজঘরে ফিরে বাড়ির জন্য ব্যাগ গোছানো তা ওই খেলোয়ার আর সর্বজ্ঞই বলতে পারবেন।তাই ঘূর্ণি-বোলার থাকেন ঐ দূরে,ঐ বাউন্ডারিতে।তাকে আর হাত ঘোরাতে হয় না,বিপক্ষ দলের খেলোয়ার রা ম্যাচ সেরা ,সিরিজ সেরার পূরষ্কার নিয়ে বাড়ী যায়,পাঁচ দিনের খেলা তিন দিনে শেষ করে সাংবাদিক, মাঠকর্মী রা ছুটি কাটায়।চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে সাফারী,গাইডেড ট্যুর আর সাইটসিয়িং এর "আ্যডভান্স বুকিং", বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ ওতো তিন দিনেই শেষ।সাংবাদিক সম্মেলনে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির সাংবাদিকদের ক্ষুরধার প্রশ্নে ক্ষত বিক্ষত আঘাতে ছড়ায় বিদ্রূপের লবণ,সমালোচনার জ্বলুনী আর হেট মাথা আরো হেট করে বেড়িয়ে আসেন খেলোয়ার রা।
এতগূলো অনূভুতির মিশেল কে আর যাই হোক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সুখানূভুতি বলা যায় না।তাই বাংলাদেশ দলে ঘূর্নি-বোলারের জায়গাটা দূঃস্বপ্নের খুব কাছাকাছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫১