somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীমঙ্গলের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাস্তার দুরবস্থা ও মানুষের দুর্ভোগ

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রীমঙ্গলের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাস্তার দুরবস্থা ও মানুষের দুর্ভোগঃ শ্রীমঙ্গলের অভিজাত আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এটা নতুন কোনো খবর কিংবা আকস্মিক ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন হতেই এই প্রক্রিয়াটি চালু আছে। শ্রীমঙ্গল স্বাধীন দেশের চায়ের রাজধানী হয়ে উঠবার পূর্বে বিকাশমান এই নগরীতে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার ওপর দৃষ্টি দেয় নাই কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ। ফলে বসুন্ধরায় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় নি কর্তৃপক্ষ ও সরকার। অবশ্য বিগত ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একবার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন রাজনৈতিক সফরে শ্রীমঙ্গলে আসলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ঢাকায় ফিরে গিয়েই দৈনিক ভোরের কাগজে এ নিয়ে বিশাল নিব্ন্ধ লিখেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ড্রেইনিং ব্যবস্থা না থাকা, রাস্তার দুরবস্থাসহ নানা সমস্যার কথা জানার পর সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তড়িত গতিতে ব্যবস্থা নিয়ে শুধু রাস্তায় ইট সলিংয়ের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। ঢিলেঢালাভাবে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেও সমস্যা তো থেকেই গেল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু পানি।
দেশ স্বাধীন ও শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানীর মর্যাদা পাবার পর আবাসিক এলাকাগুলি বিকশিত হয়ে এলাকাকে আরো সৌন্দর্য ও মর্যাদামণ্ডিত করবে, ইহাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু ঘটতেছে সম্পূর্ণ উল্টোটা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাস্তার মোড়েই শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, দি বাডস রেসিডেনসিয়্যাল মডেল কলেজ, দরবারে রহমানপুরী, গাউছিয়া নোমানিয়া আজমিয়া মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, শপিংমল, নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের অফিস, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, পয়ঃনিষ্কাশনের সমস্যা, ড্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা না থাকা ও যানজট এখন এই আবাসিক এলাকার স্বাভাবিক চিত্র। এর ওপর সামান্যবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্কুল-কলেজের সময় ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম, ছিনতাই ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তো আছেই। এই আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য ও রূপ ধ্বংস হচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব আসলে কার?
বসুন্ধরাকে ২০ বছর মেয়াদের মহাপরিকল্পনায় একটি আদর্শ আবাসিক এলাকার মর্যাদায় গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হোক। এই আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের চাহিদা ও সুবিধা পূরণ করা হোক। পরিবেশ ধ্বংসসহ বাসিন্দাদের জন্য নানা অসুবিধা, সমস্যা, দুর্ভোগ সৃষ্টি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার রূপ-বৈশিষ্ট্য ধ্বংস করবার দায় কাঁধে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই।
নগর পরিকল্পনার সঙ্গে সর্ব প্রকার নাগরিক সুবিধা, নগরবাসীর স্বাস্থ্য পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষার বিষয়টি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। শুধু আজকের প্রয়োজন নয়, আগামী দিনের প্রয়োজনকে হিসেবে রেখেই নগর পরিকল্পনা করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের এখানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুরদর্শিতার নিদারূণ অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আবাসিক এলাকার রূপ-বৈশিষ্ট্য ধরে রাখবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্ব হলে ভয়াবহ পরিণতি রোধ করা কঠিন হবে। কাজেই সামগ্রিক ও সমন্বিত নগরায়ন পরিকল্পিনার অংশ হিসেবেই বসুন্ধরাসহ শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য আবাসিক এলাকার রূপ-বৈশিষ্ট্য বিকাশে পদক্ষেপ গ্রহণ অতি জরুরি হয়ে পড়ছে মনে করি। কাজটা অসম্ভব নয়। আমি মনে করি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং সরকার দৃঢ় ও অটল মনোভাব গ্রহণ করলে একটু দীর্ঘ মেয়াদে হলেও অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আর যাহাই হউক স্থায়ী ড্রেইনিং ব্যবস্থা ও রাস্তা সংস্কার করা অসম্ভব নয়। অন্তত শ্রীমঙ্গলের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাতে আবাসিক এলাকার ন্যূনতম রূপ-বৈশিষ্ট গড়ে তোলা যায়, সেই ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা অবশ্যই জরুরি বলে আমি মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×