
রূপোপজীবিনী শব্দটির আভিধানিক অর্থ যিনি নিজের রূপ বা সৌন্দর্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা তাদের আকর্ষণ করার গুণাবলী প্রয়োগ করে পুরুষদের মনোরঞ্জনের মাধ্যমে আপ্যায়ন করে থাকেন। এই শব্দটি দেহোপজীবিনী বা বেশ্যা শব্দটির তুলনায় অনেক নরম, কোমল ও সাহিত্যিক গোছের। এটি সরাসরি পতিতা শব্দটির মত অবমাননাকর নয়।
পতিতা বলতে বুঝান হয়, যে নারী নৈতিক ভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে, পতিত হয়েছে। সামাজিক ভাবে পতনের দৃষ্টিকোণ থেকে এই শব্দে নৈতিক বিচার ও অবমূল্যায়নের ধারণা থাকে। অর্থাৎ মনে করা হয় পতিতা নারীটি জীবিকা অর্জনের জন্য দেহ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকতে পারে বা নীতি সংগত নয় এমন কোন অন্যায় কাজের সাথে লিপ্ত থাকতে পারে।
রপোজীবিনী বা পতিতা দুজনই দেহ বিকিয়ে পুরুষদের প্রলুব্ধ করে আনন্দ দান করে থাকে। এক্ষেত্রে আকর্ষণ করার জন্য রূপোপজীবিনীর শারিরীক গঠন, সৌন্দর্য এবং খদ্দেরটিকে তার সান্নিধ্যে আসার প্রবল বাসনা তৈরী করবার জন্য বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হয়। দেহপোজীবিনীর জগতে তার দেহখানা আকর্ষণীয় হওয়া একটা বিশেষ মানদন্ড হিসাবে বিবেচিত হয়।
শুধু তাদের সাজসজ্জা নয়, তাদের বাসস্থান, বাসগৃহ বা শয়নকক্ষের সাজসজ্জাও হয় চোখের পড়ার মত সুন্দর। খুব গোছানো, পরিপাটি। যেন তাদের গৃহে প্রবেশ মাত্রই মনটা ভরে উঠবে এক ভাল লাগায়। তাই তাদের সার্বক্ষনিক চেষ্টা থাকে বাড়িঘর টিপটপ রেখে অতিথি অর্থাৎ খদ্দের আপ্যায়নের জন্য সদা প্রস্তুত থাকা।
কিন্তু এসকল বৈশিষ্ট্য যে আমার সহপাঠি রত্নার বাড়ির ক্ষেত্রেও খাটবে তা কখনো ভাবিনি। কারণ তার চাল চলনে এসবের ছাপ আমি কখনো দেখিনি, যতদিন পর্যন্ত না আমি তাদের বাড়ির ভিতর দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। বাড়ি তো নয় যেন ছবির মত সুন্দর কোন এক স্থানে আমি প্রবেশ করেছি। যেমন নিখুঁত, পরিপাটী করে সাজানো ঘরগুলো, মনে হয় এ জায়গাটি যেন একটি হোটেল কক্ষ, সাধারণ গৃহস্ত থাকবার জায়গা নয়।
কিন্তু সারাক্ষণ এত গুছিয়ে কেউ থাকতে পারে নাকি? আর কোন কাজ নেই কি তাদের? নাকি এক যাদুকরী ক্ষমতা আছে তাদের? হও বললেই হয়ে যায়। রত্নার এই লুক্কায়িত গুণটি আমার কখনোই চোখে পড়ে নাই। যদিও এটা ঠিক যে পোষাক পরিধানে সে যতনা সৌখিন ছিল, পাঠ্যপুস্তক কেনার বেলায় ততই উদাসীন ছিল। একপ্রকার অনীহা থেকেই বলতো, ‘কিনতেই যদি হয় বই, কিছুদিনের জন্য না হয় কিনব, পরে বিক্রি করে দেব। বই কেনা মানেই তো অর্থের অপচয়।’ অথচ কলেজে এসেছে, শিক্ষা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। মেধাবী খুব। চেহারা সুশ্রী হলে অন্য কিছু ভাবা যেত তাকে নিয়ে। সিনেমার নায়িকা না হতে পারলেও মডেলিং-ও তো কম গ্ল্যামারাস নয়। কিন্তু গ্ল্যামার যেখানে এসবের মানদন্ড, সেখানে সে বেমানান হয়ে পড়েছিল। ছোট, খাটো অবয়বের অধিকারী তার চেহারায় আবেদনময়ী ভাবটা জন্মগত ভাবে ছিল না। ভগবান কেন জানি এ বিষয়ে তাকে একেবারেই কৃপা করেন নি। তার মা, মায়ের মা, মানে মাতামহীর তুলনায় খুবই তুচ্ছ। আর তারা ছিল কতই না আকর্ষণীয়।
তাদের শয়ন কক্ষে প্রবেশের পথে মনে হলো যেন এক স্বপ্নময় জগতে প্রবেশ করছি। বিশাল সাইজের শয়ন খাটের মাথার কাছে সোনালী রঙের শিকের সারি। দেখে কেন এমন মনে হলো জানি না। মনে হলো আপ্যায়নরত অতিথির জন্য এই বিশেষ সুন্দর ডিজাইনের খাট। খাটের শিক ধরে এপাশ ওপাশ করতে যেন অতিথির কোন অসুবিধে না হয় তাই এই শিকের বেড়া। পাশের লাগোয়া প্রসাধন কক্ষটিও বেশ বড়। ড্রেসিং টেবিলের বিশাল আয়না জুড়ে অসংখ্য আলোক বাতি। মুখ পালিশের কত না সরঞ্জাম সেখানে! দোকান বললে ভুল হবে না। কিন্তু এই প্রশ্নই বারবার আমার মনে আসছিল, প্রসাধন করার মানুষটি কে এই বাড়িতে?
পসারিনী যখন পসার বিক্রিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তার পেশাসংক্রান্ত কিছু আদত্ তার মধ্যে প্রোথিত হয়ে যায়। যেমন একটা হলো মোড়ায় বা পিঁড়িতে বসার সময় পদযুগল বেশুমার দূরত্বে রেখে বসা। রত্নার মায়ের বসার এই স্টাইলে দেখে প্রথমদিকে তো আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা আমি কি সত্যিই গণিকালয়ে অবস্থান করছি নাকি। একটু দূরে এক কমবয়সী কালো করে অচেনা লোক মাথার হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসে ছিল সেই বসার ঘরে। রত্নাকে জিজ্ঞাসা করাতে বললো, ‘আমার মামা। তার বউ খুব অসুস্থ। হসপিটালে ভর্তি। যায় যায়।’ তৎক্ষণাত মনে প্রশ্ন এলো, 'তাহলে মামীর কাছে না থেকে মামা এখানে কি করছে? আর হাত দিয়েই বা মুখ ঢেকে আছে কেন? বেদনায় কি উনি ভারাক্রান্ত?' তবে এ প্রশ্ন করিনি।
রত্না যদিও আটা, ময়দার স্তর মেখে ক্লাশে আসতো তবে তা খুব উৎকট ছিল না। আর নিজেই বলতো ৩৫ এর আগে প্রসাধণী ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তখন গুনে দেখলাম ৩৫ হতে এখনো আমাদের আরোও ১৫ বছর বাকী। ওরে বাবা। এত জ্ঞান কোথা থেকে পায়? আরেকটা বিশেষ শাখায় খুব জ্ঞান ছিল তার। তা হলো সিনামে জগৎ। সিনেমার নায়ক,নায়িকা, শহরের কোথায় যায়, কখন যায়, কার সাথে রাত্রিযাপন করে - এ সব খবরাখবর তার কাছে থাকতো।
পসারিণী যেমন লক্ষ্য রাখে তার পসারখানা কোন খদ্দেরের কাছে গেল, সেরকম এই জগতের পসারিণীরাও খোঁজ রাখতো শহরের কোন সুন্দরী আজ কোন খদ্দের জুটালো। রত্নার মা স্বামী পরিত্যক্তা। তৃতীয় কন্যা সন্তানটি জন্ম হয়েছিল হয়তো স্বামীর সাথে সম্পর্ক টিকাবার নিমিত্তে। কিন্তু সফলতা আসেনি। রত্না এভাবে কখনো বলেনি। শুধু বলতো তার বাবা ব্যবসার কাজে আজ সিংগাপুর কাল ব্যাংকক করে বেড়ায়, তার মায়ের কোন খেয়ালই রাখতে পারে না। ধনাঢ্য পাড়ায় বাসা ভাড়া নিতে গেলেও এই গল্পটিই তারা সবসময় চালু রাখতো। উচ্চবিত্তদের মত সমান সমান ঠাঁট দেখাতে পারলে বড় বোনটির জন্য ভাল প্রস্তাব আসবে এই ভেবে তাদের টোপ সবসময় কথার ফুলঝুরিতে পরিপূর্ণ থাকতো। যদিও আসল কথা না বললেও আমি অন্যদের কাছে শুনেছি রত্নার বাবার পাটের ব্যাবসা ছিল আদুপট্টিতে। কিন্তু পট্টি থেকে দূরে সরে এসে তারা নতুন পরিচয়ে এখন আবির্ভুত হতে চাইছে । সমাজের সেই সকল লোকদের সাথে উঠতে বসতে চায়, যাদেরকে তারা অধিকতর অভিজাত ও সভ্য মনে করে। কথাবার্তা, চাল চলন আর কথার চাকচিক্যে বাড়িওয়ালারা তাদের সমাদর করেই বাড়ি ভাড়া দিত। প্রতিবেশীরাও মাথা ঘামাতো না । অভিজাত পাড়ায় তো আবার কেউ কারো খবর রাখে না।
তার সবচেয়ে বড় বোনটির নাম মালা। মালা আপার ভাল প্রস্তাব এলো একদিন। গৃহকর্মে মালা আপা সুনিপুণা। আংটি পরানোর দিনে মালা আপার জন্য একটা বিশাল বড় সিংহাসনে কিনে আনা হলো। রাণীর মত বসানো হবে তাকে যখন আংটি পরাবে পাত্রপক্ষ। এটাই তার মায়ের ইচ্ছা। বাড়ির বড় মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন। কত না উতকন্ঠা মায়ের। বাবার অনুপস্থিতি সবসময়ই পীড়া দিচ্ছে পুরো পরিবারকে। কিন্তু সমস্যা হলোনা তেমন একটা। ডাকসাইটে মামারা আছে পাশে। খরচপাতি থেকে শুরু করে যা লাগে সব দিবেন তারা।
গায়ে হলুদে আমরা বাড়ির সকলেই আমন্ত্রিত হলাম। কারণ স্বর্ণা নাম তাদের খুব জানা । একসংগে চলাফেরা করি বলেই বাড়ির সকলে চেনে আমার নামটি। একবার মালা আপা আমাকে দেখতে চেয়ে বাড়িতে এনেওছিল । উনি একটু বড় তো আমাদের থেকে । বুঝে অনেক কিছু বেশী। তাই কি বুঝেছিল কে জানে। আমায় দেখে তার বোনটিকে বলেছিল, ‘তোমার বন্ধু, এই স্বর্ণা মেয়েটি কিন্তু দেখতে সুন্দর আছে।’
ওরে বাবা!
যাই হোক গায়ে হলুদের দিনে তাদের বাড়ীতে যেয়ে দেখলাম, মালা আপার পরিবারের বয়োঃজেষ্ঠ্যা মাতামহী অর্থাৎ তার নানী বসে আছে অন্দর মহলে। দেখেই মনে হলো চারিদিকে যেন দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে তার শরীর থেকে। কি সুন্দর হাসিমুখ। ঘরটা যেন আলোয় ভরা। দুধে আলতা গায়ের রঙ। আজও যেন সমগ্র শরীর ভয়ংকর ভাবে কামনায় ভরপুর ।
এই ব্যক্তিত্ব যেন খুব চেনা।
কিন্তু কিভাবে?
আমার জীবনের গন্ডী তো খুব সংকীর্ণ। কলেজ থেকে বাড়ি আর বাড়ী থেকে কলেজ। বাস্তবতার সাথে তেমন ক্রিয়া বিক্রিয়া নাই। বড় পরিবারে থেকে বিভিন্ন কিসিমের মানুষ দেখেও বড় হয়নি। সেই ১৯/২০ বছর বয়সে আমি এত কিছু জানবো কিভাবে? বিশেষ করে গণিকাদের কথা, তাদের বাড়িঘরের সাজসজ্জার কথা। মালা আপার মাতামহীর বসার ভঙ্গিমা, বিশেষ করে আসন পেতে বসার ভঙ্গিমা যেন বলে দিচ্ছে রংমহলের সর্দারনি বসে আছেন মধ্যমণি হয়ে। তার মাংশল শরীরের প্রতিটি কণা যেন কামনার আবেগে ভরপুর । শরীর থেকে যৌন আবেগের তীরগুলো ছিটকে ছিটকে পড়ছে কোন এক রাজ দরবারের অন্দর মহলের জলসাঘরে। সেই পুরো রঙ্গমহল আজ তার চ্ছ্বটায় আলোকিত।
সর্দারনী,তার চোখের ইশারায় যেমন পুরো জলসাঘর পরিচালনা করেন, বাঈজীদের একতাবদ্ধ হয়ে নৃত্য, গীত পরিবেশনায় অংশগ্রহন করার নির্দেশ দেন, কোন অতিথিকে কিভাবে তীরবিদ্ধ করতে হবে তার বুদ্ধি, পরামর্শ সময়মতো চালান করেন - এসকল গুণ নিয়েই যেন মাতামহী তার ব্যক্তিত্বের চ্ছ্বটায় সেস্থানে উপবিষ্ট হয়ে আছেন। এ ঘর যেন মাতামহীর উপস্থিতিতে, মোহময়তার আবেশে আবিষ্ট হয়ে এক স্বপ্নপুরী হয়ে উঠেছে। এ কামময় ভাব, তার অন্তর্নিহিত। প্রকৃতি প্রদত্ত। আর তাই শারিরীক মোহময়তা স্বাভাবিক ভাবেই এভাবের সৃষ্টি করেছে।
আবার এও শুনেছিলাম মাতামহীর কন্যা মানে রত্নার মা-ও তার এই মধ্যবয়সে একজন আনন্দ বিকানোতে পারদর্শী কাম - পসারিণী। সেদিন বুঝলাম তার ময়ের এই খাসিয়াৎ বা বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মাতামহীর থেকেই উত্তরাধিকার সূত্র প্রাপ্ত। তাই তীব্র চাহিদার সামনে বোধহয় রত্নার মায়ের স্বামী প্রবরটি টিকতে পারেন নি। ধূলিসাৎ হয়েই স্বামীই গৃহত্যাগ করেছেন।
রত্নার মা তার শারিরীক সৌন্দর্য আর মনোরঞ্জন করবার শক্তি দিয়ে বহু মানুষের একাকীত্ব ঘুচিয়ে থাকেন বিনিময়ে নিজের একাকীত্বও পূর্ণ করেন। তাই মালা, রত্নার মা আর মাতামহীকে দেখে সেদিন উপলব্ধি করলাম, শুধু অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণেই দেহ পসারিণীর কাজে নারীরা লিপ্ত হয়না। তারা এ কর্মে লিপ্ত হতে পারে তাদের ব্যক্তিত্বের মাঝে লুক্কায়িত যে কামনা শক্তি বিশেষ ভাবে সদা জাগ্রতমান এবং সর্বদাই অপরকে আকর্ষণে ক্রিয়াশীল, তারই অনুরণন, আবেগ আর ইচ্ছার ফলে। দেহকে পসার বানাতে তারা বাধ্য করেনা, দেহ নিজেই পসারে রূপান্তরিত হয়। নারীরা যখন সেই তীব্র কাম শক্তিতে ভাবায়িত হয়, খদ্দেররা তখনই সেই নারীর প্রতি লালায়িত হয়। সেই নারী বারবণিতা নয়, সে তখন রূপোপজীবিনী নয়, সে দেহপসারিণী নয়; সে শুধু নিজেকে পরিতৃপ্ত করা, আর অপরকে সন্তুষ্ট করার এক মাধ্যম মাত্র।
মালা আপা এই লাইনে আসতে পারেনি সেই একই কারণ। রত্নার আদলে তার শরীর গড়া। খদ্দের আকৃষ্ট করার ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলী কোনটিই নেই। কিন্তু একটা কথা সেদিন উপলব্ধি করেছিলাম যে, কামাতুর ব্যক্তিত্বের চ্ছ্বটা যার চোখে পড়ার পড়বেই। খদ্দের আপনা আপনি সেখানে আবির্ভুত হবে। কামিনীর বাস্তবতা তার জীবনে এরূপেই স্পষ্ট হবে। সে হবে কাম- বিকানি। অভাবের তাড়নায় তাকে রাস্তায় নামতে হবে না। না হবে কোন অর্থকড়ির লেনদেন। পেশা নয়, শুধু শখ। এ শখ থেকেই দেহ দানের কাজে লিপ্ত হবে সেই সকল পসারিণীগণ। তারা বেশ্যা নয়, রূপোপজীবিনী। তাদের ব্যতিক্রমী ও অস্বাভাবিক কামে ভরা শারিরীক আবেদন, মারাত্মক সৌন্দর্যের তীব্র আবহ তাদের চারপাশে যে ভাবনার নিঃসরণ ঘটাবে, তাই- ই তাদের নিজেদেরকে বেশ্যবৃত্তিতে সমর্পণ করাবে।
প্রকৃতিই নির্ধারিত করে দেয় কে সেই নারী, যার শরীরর প্রতিটি কণা কামনার তীর দিয়ে ছিটকে পড়ার জন্য ভরা থাকে। মালা আপার অশীতিপর মাতামহীও প্রকৃতির এ নির্বাচন থেকে বাদ যান নি। তার অঙ্গভঙ্গী, বসার ভঙ্গিমা, মন ভরানো হাসি জানান দিয়েছে তার ফেলে আসা যৌবনের কাম জাগানিয়া শক্তি আজও তার মাঝে জাগ্রত। জন্ম জন্মান্তরে এরা কাম বিকোবে। ক্লান্তিহীন ভাবে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


